কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

নাটোরের গুরুদাসপুরে মো. মামুন হোসেন (২২) নামে এক ছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকা খাইরুন নাহারের
এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৮০ হাজার গরু, ছাগল ও মহিষ প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব গরু স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে ৫০ ভাগই বিক্রি হবে অন্য জেলায়। এইসব পশুর নাম ডন, বাদশা, শেরখান, কালো মানিকসহ বিভিন্ন নাম রেখেছে খামারি, ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। এদের মধ্যে ‘শেরখান’-কে নিয়ে কিছু কথা।
‘শেরখান’ নাম শুনলেই মনে হবে কোন এক প্রভাবশালীর ব্যক্তির নাম। কিন্তু এটি হাতির মত বিশাল আকৃতির কোরবানির পশু। যার নাম রাখা হয়েছে শেরখান। এবার ঈদে কুষ্টিয়ার কোবরানির হাট কাঁপাবে এই শেরখান। যার ওজন ১ হাজার ৬০০ কেজি। মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া গ্রামের প্রান্তিক খামারি আকমাল ইসলাম। দীর্ঘ চার বছর ধরে ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটি নিজের সন্তানের মত লালন-পালন করে বড় করেছেন। আদর করে গরুটি’র নাম দিয়েছেন শেরখান। সুঠাম দেহের অধিকারী সুউচ্চ এই গরুটিকে কোরবানির হাটে তোলার জন্য অনেক কষ্টে গোয়ালঘর থেকে বের করতে হয়েছে। বিশাল আকৃতির গরুটি লালন-পালন করায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও মিলেছে পুরস্কার। প্রশংসিত হয়েছেন উপজেলা সেরা খামারি হিসেবে।
গরুটির মালিক আকমাল ইসলাম জানান, ৪ বছর ধরে গরুটিকে ঘাস, খোল, ভূষি, কলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ফল খাইয়ে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন করে নিজ সন্তানের মত অতিকষ্টে বড় করে তুলেছি। আদরের পশু শেরখানকে লালন-পালন করতে তার অনেক অর্থ ব্যয় হয়েছে। শেরখানকে বড় করতে অনেক টাকা ঋণ হয়েছে তার। ঋণের টাকা পরিশোধ করতেই এবারের কোরবানির হাটে বিক্রি করতে হচ্ছে শেরখানকে। হাটে যে সমস্ত গরু উঠছে তার মধ্যে শেরখান এখন সবচেয়ে বড়।
মিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সোহাগ রানা জানান, এই উপজেলায় পশু স্বাস্থ্য সম্মতভাবে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন কৃষকরা। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস তাদের নানাভাবে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছেন। প্রতিদিন শত শত মানুষ উপজেলার ধুবইল ইউনিয়নের হাজীপাড়া এলাকায় কৃষক আকমালের বাড়িতে গরুটিকে দেখতে করছেন। গরুটি দেখতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে আমরাও গিয়েছিলাম। গরুটির মালিক স্বাস্থ্যসম্মতভাবে লালন-পালন করে গরুটিকে বড় করে তুলেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।