Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খোলায় আরেকজন গ্রেপ্তার

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০২২, ৩:৩২ পিএম

পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে অপপ্রচার এবং নাশকতার পরিকল্পনা সন্দেহে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সিটিটিসির প্রধান মো. আসাদুজ্জামান।

মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট অভিযান পরিচালনা করে পদ্মা বহুমুখী সেতুর অবকাঠামো ক্ষতি সাধনের উদ্দেশে ভিডিওধারণ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও অন্তর্ঘাতমূলক কাজ সম্পাদনকারী মাহদি হাসানকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে ভিডিওধারণকৃত মোবাইলফোনটি উদ্ধার করেছে।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘নাট খোলার আগে সে রেঞ্জ ব্যবহার করে। সে ভিডিওতেই বলেছে, রেঞ্জ ছাড়াই খুলে ফেলা যাচ্ছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, সে হাত দিয়ে খোলার আগে রেঞ্জ ব্যবহার করেছে।’ তবে রেঞ্জ উদ্ধার করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘উদ্ধারের প্রক্রিয়া চলছে।’
আসাদুজ্জামান বলেন, ‘একদল অসাধু চক্র পদ্মা সেতু যাতে নির্মিত না হয়, তার জন্য আগে থেকেই বিভিন্ন অপপ্রচারসহ সেতু ধ্বংস ও ক্ষয়ক্ষতিজনিত কার্যকলাপে লিপ্ত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় পদ্মা বহুমুখী সেতু উদ্বোধনের পর থেকেই বিভিন্ন গোষ্ঠী সেতুর বিরুদ্ধে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।’
সিটিটিসির প্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর কিছু অসাধু ব্যক্তিকে দেখা যায়, যারা স্থাপনায় উঠে বিভিন্ন নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। গত ২৬ জুন বিকেলে সামাজিক মাধ্যমে ২৬ সেকেন্ডের ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, গ্রেপ্তার মাহদি হাসান সেতুর রেলিংয়ের সঙ্গে সংযুক্ত নাট-বল্টু খুলে আবার লাগিয়ে দিচ্ছে।’
এই কর্মকর্তা জানান, ঘটনার পর মাহদি হাসান লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ এলাকায় আত্মগোপন করেন। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের পদ্মা সেতু উত্তর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মাহদির কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে কি না, জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সে তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসায় পড়ত। তাঁর জামাত-শিবিরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। পরবর্তীতে সে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ