Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুর্বলতা রেখেই শক্তিতে জোর সিডন্সের

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১১ এএম

টেস্ট ম্যাচের মতই টি-টোয়েন্টিরও করুণ দশা বাংলাদেশের। দীর্ঘ পরিসরের মতিগতি যেমন ২২ বছরেও ধরা হয় বাংলাদেশের, একদম সংক্ষিপ্ততম পরিসরের মেজাজ মর্জিও যেন প্রায়ই ধন্দে ফেলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের। দলে বিস্ফোরক ব্যাটসম্যানের অভাব, বড় পুঁজির দিকে যাওয়া তাই হয় কঠিন। তবে ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স মনে করছেন, ম্যাচ জিততে বিশাল পুঁজি দরকার নেই। কারণ বাংলাদেশের আছে দারুণ বোলিং লাইনআপ।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণ আসার পর বাংলাদেশের প্রধান কোচ ছিলে সিডন্স। ২০১১ সালে তিনি যখন চলে যান তখন এই সংস্করণে যে অবস্থা ছিল সেটা খুব বেশি হেরফের হয়নি এত বছরে। এবার নতুন ভূমিকায় আসার পর বাংলাদেশকে কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে দেখেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের তিন ম্যাচের সিরিজ তাই তার জন্যও চেনা বোঝার ক্ষেত্র।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগের দিনই টি-টোয়েন্টির ভেন্যু ডমিনিকার উদ্দেশ্যে চলে যেত মাহমুদউল্লাহর দল। তবে আটলান্টিক মহাসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে একদিন পিছিয়ে গতকালই ক্যারিবিয়ান দ্বীপটিতে যাবার কথা রাসেল ডমিঙ্গোর শিষ্যদের। যেহেতু হাতে সময় কম, ভেন্যুতে গিয়ে অনুশীলনের সুযোগও মিলবে না যথেষ্ট, এর ফাঁকে সেই কাজ কিছুটা এগিয়ে রাখতে গত দু’দিন সেন্ট লুসিয়ায় টি-টোয়েন্টি ব্যাটারদের পাওয়ার হিটিং নিয়ে কাজ করেন সিডন্স। দলের কার কি অবস্থা তা নিয়ে এখনি গভীরে যেতে চাইলেন না, ‘টেস্ট ম্যাচ ভালো যায়নি কিন্তু‘ আমি এখন টি-টোয়েন্টিতে ফোকাস করছি। আমি কেবল দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে দেখেছি খেলোয়াড়দের আমার আসার পর থেকে। কাজেই আমার এই জায়গায় বেশি সময় পাওয়া হয়নি, মতামত দেওয়ার মতো অবস্থা হয়নি। তবে জানি বেশ কিছু ভালো খেলোয়াড় আছে, দেখা যাক তিন ম্যাচে কি হয়।’
আপাতত টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ের ধরণ বুঝাতে সময় ব্যয় করছেন এই অজি কোচ, ‘টি-টোয়েন্টি দলে আমাদের নতুন কিছু খেলোয়াড় আছে। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জেতা বা ভালো খেলার জন্য দলটা তৈরি করা এবং এশিয়া কাপও আছে। টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংয়ের দর্শন নিয়ে কাজ করা।’
টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের বড় সমস্যা পাওয়ার হিটিং ও যথেষ্ট প্রান্ত বদল না করতে পারা। পাওয়ার হিটিংয়ের ঘাটতি মেটাতে অন্য উপায়ে যেতে হবে বলে মত সিডন্সের, ‘এটা আসলে কঠিন। জাতি হিসেবে এখানে অনেক বড় (শারীরিক আকৃতিতে) খেলোয়াড় নেই। যেমন জস বাটলার ৬ ফুট দুই ইঞ্চি (আসলে ৫ ফুট ১১ ইঞ্চি), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৬ ফুট ২ ইঞ্চি (আসলে ৫ ফিট ৯ ইঞ্চি) এবং বড়সড়, মার্কার স্টয়নিসও বড়। আমাদের অন্য উপায় বের করতে হবে।’ সেই অন্য উপায় বলতে নিজেদের বোলিং। মুস্তাফিজুর রহমান, সাকিব আল হাসানদের উপর অনেক বড় ভরসা তার, ‘আমাদের খুব ভালো বোলিং লাইনআপ আছে, আমার মনে হয় না আমাদের বিশাল পুঁজি সংগ্রহ করতে হবে। আমাদের ভাল একটা রান আনতে হবে। সিঙ্গেল গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু‘ বাউন্ডারি অবশ্য টি-টোয়েন্টিতে ম্যাচ জেতায়। বেশি বাউন্ডারি হলে বেশি ম্যাচ জেতা হয়। আমরা এখনো পাওয়ার হিটীংয়ে নজর দিচ্ছি, ভাল ক্রিকেটে নজর দিচ্ছি। ছক্কার ঘাটতি পোষাতে আমদের বেশি বেশি চার মারতে হবে, সিঙ্গেল নিতে হবে এবং কিছু যদি মারা যায়।’
আগামীকালও পরশু ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে হবে প্রথম দুটি টি-টোয়েন্টি। ৭ জুলাই গায়ানা স্টেডিয়ামে হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। এরপর গায়ানাতেই দু’দল মুখোমুখি হবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্বলতা রেখেই শক্তিতে জোর সিডন্সের
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ