Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঈদের আগে ফের অস্থির বাজার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

ঈদের আগে দেশে ভারতের পেঁয়াজ আসবে না এমন খবরে, আবারও অস্থির বাজার। দুই দিন দর কমলেও, আবার ৫০ টাকা ছুঁইছুই দেশি পেঁয়াজের দাম। কোরবানির প্রস্তুতি নিয়ে নাজেহাল ক্রেতারা। সুখবর নেই সবজির দোকানে। বন্যার প্রভাব না থাকলেও একাধিক পণ্যের দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে টমেটো। ক্রেতারা বলছেন, এভাবে লাফিয়ে দাম বাড়লে সংসার সামাল দেয়া কঠিন। তবে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে ইলিশ।
দেশি পেঁয়াজের ভরপুর সরবরাহ এখন বাজারে। দোকানে রাখার জায়গা নেই। সবাই ভেবেছিল কোরবানির আগে অন্তত পেঁয়াজ নিয়ে দুর্ভোগ হবে না। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কারণ ছাড়াই চড়া পেঁয়াজের দাম।
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গিয়ে জানা গেলো, এবার পেঁয়াজ আবাদে কৃষকদের কেজিতে খরচ হয়েছে কম-বেশি ২০ টাকা। অথচ আড়তে সে পণ্যের দর ৪৫ টাকার ওপরে। এর ব্যাখা নেই কারো কাছে। মাঝে আমদানির ঘোষণায় দুই দিনের জন্য দর কমলেও, গতকাল আবার স্বরূপে ফিরলেন ব্যবসায়ীরা। জানালেন, কোরবানির আগে ভারতীয় পেঁয়াজ আসার কোনো সুযোগ নেই।
এদিকে, সবজি বাজারে টমেটো মিলছে হাতেগোনা দোকানে। যেখানে আছে, সেখানে দর ২০০ টাকার ওপরে। আমদানির সঙ্কট এখানেও। নতুন করে বেড়েছে কাঁচামরিচ, শসা, গাজরের দাম। গত সপ্তাহে হুট করে দাম বেড়ে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হয় ৩০ টাকা, এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে আলুর কেজি ছিল ২০ টাকা। আলুর দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মিলন বলেন, আলুর দাম সহসা কমার সম্ভাবনা কম। নতুন আলু বাজারে আসলে তখন দাম কমতে পারে। তার আগে দাম কমার বদলে বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। অন্যান্য সবজির মধ্যে বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। করলাও গত সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে নতুন আসা কাঁকরোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। তেলাপিয়া, পাঙাস মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৬০ টাকা। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। কৈ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৩০ টাকা। পাবদা মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব মাছের দামে পরিবর্তন আসেনি।
এছাড়া এখন ইলিশের গন্ধে মাতোয়ারা মাছের বাজার। ৭ দিনের ব্যবধানে দাম নেমেছে অর্ধেকে। বড় আকারের ইলিশের কেজি ১০০০ টাকা। মাঝারির দাম ওঠানামা করছে ৬০০ টাকার আশপাশে।
এদিকে মুরগির বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ব্যবসায়ীরা জানালেন, ঈদের আগে সরবরাহ আরও বাড়বে। মধ্যবিত্তের ফ্রিজ খালি করার সুবাদে গরু ও খাসির গোশতের দোকানে ভিড় নেই। চাহিদা কম থাকায় আগামী কয়েক মাস গোশতের দাম কিছুটা কমতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈদের আগে ফের অস্থির বাজার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ