জ্বালানির দক্ষ ও সাশ্রয়ী ব্যবহার জ্বালানি নিরাপত্তায় কার্যকর অবদান রাখবে : তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেছেন, জ্বালানির দক্ষ,
ময়মনসিংহে এক কোটিপতি অফিস সহকারীকে নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এনিয়ে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। তার নাম মো. জাকির হোসেন। তিনি ময়মনসিংহ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিযুক্ত। কর্মক্ষেত্রে তিনি অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেট হলেও ব্যক্তি জীবনে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তার রয়েছে বিলাসবহুল বাড়ী, ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার, বিশাল জায়গাজুড়ে একাধিক মৎস্য খামার, শহরে ও গ্রামে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার অডেল সম্পদ। এমন দাবি সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রের।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, ১৯৯১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া গ্রামের মৃত হাছেন আলীর ছেলে মো. জাকির হোসেন স্বাস্থ্য বিভাগের অধীনে সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। এরপর তিনি ১৯৯৭ সালের ২৪ আগস্ট বিধি লঙ্গন করে অফিস সহকারি কাম মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। যা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধির লঙ্গন বলে এক নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, পদোন্নতি পেয়ে জাকির হোসেন জেলার স্বাস্থ্য সেক্টরে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। এই প্রভাব খাটিয়ে তিনি জেলার ক্লিনিক, ডায়গনোস্টিক সেন্টার ও বেসরকারী হাসপাতালের লাইসেন্স ও নবায়ন প্রদানে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেন।
বর্তমান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ইনকিলাবকে জানান, চলতি বছরের গত ২২ জুন এক চিঠিতে ফের তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. জায়েদ মাহবুব খান জানান, মো. জাকির হোসেন দুর্নীতির মাধ্যমে বিলাসবহুল বাড়ী-গাড়ী ও কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন মর্মে লিখিত অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদানেও তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আগামী ৫ জুলাই অফিস সহকারি জাকির হোসেনকে জেলা সির্ভিল সার্জন কার্যালয়ে তদন্ত বোর্ডের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে যত দ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দাখিল করা হবে জানিয়ে ডা. জায়েদ মাহবুব খান আরও বলেন, অনুসন্ধানে প্রয়োজনে অভিযোগের অধিকরত তদন্তও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় একটি মিথ্যা রির্পোট হয়েছিল। এ ঘটনায় আমি মামলা দায়ের করেছি। ওই মামলার তদন্তে এসব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। এছাড়াও আমার কি সম্পদ আছে তাও ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে। এখন তদন্ত হলে, হোক। এ সময় পদোন্নতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারদেশের ন্যায় ময়মনসিংহ থেকে আমিসহ দুইজন গার্ড থেকে পদোন্নতি পেয়ে অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক হয়েছি। যোগ্যতা না থাকলে এটা হতো না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।