Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কে এই সুন্দরী ক্রিপ্টোকুইন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০২২, ১২:০১ এএম

‘ওয়ান কয়েন’ নামের একটি ভুয়া ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন এক নারী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই এই নারীকে ‘ক্রিপ্টোকুইন’ আখ্যা দিয়ে মোট ওয়ান্টেড ১০ পলাতক আসামির তালিকায় তার নাম যুক্ত করেছে। কে এই ক্রিপ্টোকুইন তা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে অনলাইন মাধ্যমে।

‘ক্রিপ্টোকুইন’ ২০১৭ সালের অক্টোবরে হঠাৎ করেই গায়েব হয়ে যান। তারপর থেকে এফবিআই তাকে ধরতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি করেছে এই গোয়েন্দা সংস্থা। গত ৩০ জুন ওই নারী এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধীর তালিকায় ঢুকে পড়েছেন।

এফবিআইয়ের খাতায় ‘ক্রিপ্টোকুইন’ নামে পরিচিত এই নারীর নাম রুজা ইগনাতোভা। এফবিআই জার্মানির নাগরিক রুজার বিরুদ্ধে কোটি কোটি ডলার লুটের অভিযোগ করেছে। তার সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে এক লাখ ডলার পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে এফবিআই।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের গোয়েন্দাদের নজরেও আছেন রুজা। গত মে মাসে তাকে মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত করে ইউরোপোল। একই সঙ্গে গ্রেফতারে সহায়তার তথ্য দিতে পারলে চার লাখ ডলারেরও বেশি পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের এই সংস্থাও। তবে ইউরোপ অথবা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের কেউই এখনও রুজাকে গ্রেফতার করতে পারেননি।

রুজার (৪২) জন্ম বুলগেরিয়ার সোফিয়ায়। মাত্র ১০ বছর বয়সে তিনি পরিবারের সঙ্গে জার্মানির স্রামবার্গ শহরে চলে যান। সেখানেই বেড়ে উঠেছেন এবং পড়াশোনা করেছেন। গোয়েন্দাদের দাবি, রুজা উচ্চশিক্ষিত এবং আইনের মারপ্যাঁচ সম্পর্কেও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।
এফবিআই বলছে, ওয়ানকয়েনে বিনিয়োগ করলে প্রচুর মুনাফা হবে বলেও প্রচারণা চালাতে থাকেন রুজা। বিনিয়োগকারীরা যত মানুষকে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি সংস্থায় টেনে আনতে পারবেন, তাদের তত লাভ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি।

স্মার্ট, মার্জিত চেহারার উচ্চশিক্ষিত রুজার কথায় বিশ্বাস করে অনেকেই ওয়ান কয়েনে বিপুল বিনিয়োগ করেন। এফবিআইয়ের মতে, ওয়ান কয়েন নামের ক্রিপ্টোকারেন্সির আসলে শেয়ারবাজারে কোনও মূল্যই ছিল না। এফবিআইয়ের দাবি, ওয়ান কয়েন আসলে ক্রিপ্টোকারেন্সির ছদ্মবেশে থাকা একটি প্রতারণার জাল। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা লুটেছেন রুজা। সূত্র : সিএনএন, ব্লুমবার্গ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ