Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূমি বরাদ্দ প্রস্তাব আজ কমিটিতে উঠছে

কুড়িল-পূর্বাচল মহাসড়কের পাশে জলাধার খনন

প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

তালুকদার হারুন : কুড়িল-পূর্বাচল মহাসড়কের দুই পাশে জলাধার খননে ভূমি বরাদ্দের প্রস্তাব আজ মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটিতে উঠছে। বেলা ১১টায় ভূমি মন্ত্রণালয়ে এই কমিটির বৈঠক শুরু হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান ডিলু। জলাধার খননে ভূমি বরাদ্দই হবে এ প্রকল্পের টার্নিংপয়েন্ট। জানা গেছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৯৮ একর ভূমি অধিগ্রহণ করতে হবে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী এপ্রিল মাসেই এ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী সভায় (একনেক) কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদ পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন নামের এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ প্রকল্প শুরু হয়ে ২০১৮ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রকল্পের আওতায় খাল খননের পাশাপাশি দুই পাড় বাঁধানোসহ হাঁটার রাস্তা বা ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ধরনের দৃষ্টিনন্দন সেতুও নির্মাণ করা হবে।
জানা গেছে, রাজধানীর কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত ৩০০ ফুট সড়কের দুই পাশে জলাধার তৈরি করা হবে। নিকুঞ্জ, বারিধারা, জোয়ার সাহারা, ডিওএইচএস, ক্যান্টনমেন্টসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে এ জলাধার হবে ১০০ ফুট চওড়া। এ জন্য ব্যয় হবে ৫ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। বর্ষাকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ডিওএইচএস, বারিধারা ও বিমানবন্দর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য ৩০০ ফুট রাস্তার পাশে এ জলাধার উন্নয়ন করা হবে। এছাড়া ড্যাপ অনুযায়ী পানি সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য খাল সংস্কারসহ জলাবদ্ধতা নিরসনের মাধ্যমে সংলগ্ন এসব এলাকার পরিবেশ উন্নয়ন এবং নতুন কালভার্ট ও তীর রক্ষার মাধ্যমে বিদ্যমান অবকাঠামোর উন্নয়ন করাই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে ৯৮ একর জমি অধিগ্রহণ, ২ লাখ ৭ হাজার ৯৭১ দশমিক ৯৫ ঘনমিটার মাটি খনন, ৪ লাখ ১২ হাজার ৭৪০ দশমিক ৩০ বর্গমিটার রক্ষাপ্রদ কাজ, ৭৯ হাহার ৪৪৭ দশমিক ১২ ঘনমিটার স্রাজ রিমুভাল, ৫ লাখ ৭১ হাজার ২৩৪ দশমিক ৩ ঘনমিটার মেকানিক্যাল কম্প্যাকশন, ৪ হাজার ৪৭৫টি বৃক্ষরোপণ, ৪ হাজার ৪৬০ বর্গমিটার কালভার্ট নির্মাণ, ৩ হাজার ৩৯৮ দশমিক ৩৫ বর্গমিটার প্যালাসাইডিং ওয়ার্ক, ৭৭ হাজার ৪০৬ দশমিক ৩৩ ঘনমিটার মাটির কাজ।
সূত্রমতে, কুড়িল থেকে পূর্বাচল প্রকল্পের কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত ৩০০ ফুট রাস্তার উভয় পাশে নয়াভিরাম জলাধার তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলে আসছিল। পূর্বাচলের মূল নকশায় দুটি ক্যানেলের অস্তিত্ব থাকলেও উভয়পাশে বিভিন্ন স্থাপনা থাকায় রাজউক এ প্রকল্প বাস্তবায়নে পিছু হটে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত এ প্রকল্প গতি পায়। প্রধানমন্ত্রী কুড়িল থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত সিএস খতিয়ান দেখে বেদখল জমির তালিকা তৈরির জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। এটি যখন একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয় তখন প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পটি নিয়ে তার মত দেন।
এ বিষয়ে রাজউক চেয়ারম্যান জিএম জয়নাল আবেদীন ভূইয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এ প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। আজ মঙ্গলবার এ প্রকল্পের ভূমি বরাদ্দের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটি উঠছে। ভূমি বরাদ্দের পরই আমরা দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করবো। প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৬১৯ কোটি ২১ লাখ টাকা। এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় ধরা হয়েছে ৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আমরা দ্রুতই ভূমি অধিগ্রহণ করে প্রকল্পের কাজ শুরু করবো। আশা করি, আগামী এপ্রিল মাসে এ প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমি বরাদ্দ প্রস্তাব আজ কমিটিতে উঠছে
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ