Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ভূমি কুতুবের জামিন স্থগিতে দুদকের আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০২২, ১২:০২ এএম

জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট বরাদ্দের মামলায় ৫ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন ওরফে ‘ভূমিকুতুব’র জামিন স্থগিত চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল রোববার আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। গত ১৪ জুলাই হাইকোর্টের অবকাশকালিন একটি ডিভিশন বেঞ্চ তাকে জামিন দিয়েছিলেন।

এর আগে,ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দের মামলায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কুতুব উদ্দিন আহমেদকে ৫ বছরের কারাদণ্ড ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। গত ১৫ মার্চ নিম্ন আদালতের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন কুতুব উদ্দিন। পরে একাধিকবার তিনি উচ্চ আদালতে জামিন আবেদন করেন।

প্রসঙ্গত: ২০১৮ সালের ৮ এপ্রিল ভূমি মন্ত্রণালয়ের তৎকালিন প্রশাসনিক কর্মকর্তা কুতুব উদ্দিন আহমেদকে গ্রেফতার করে দুদক। মামলার তদন্তকালে সংস্থার উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলম তাকে গ্রেফতারে নেতৃত্ব দেন। ওইদিনই ঢাকার গুলশান থানায় কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন একই কর্মকর্তা। কুতুব উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ,তিনি সরকারি কর্মকর্তা হওয়া সত্ত্বেও ভুয়া আমমোক্তারনামার মাধ্যমে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট তার শ্বশুরসহ কয়েকজনের নামে বরাদ্দ করান। শ্বশুর ও স্বজনদের নামে অভিজাত এলাকা গুলশানে সরকারি ১০ কাঠা জমি ক্রয় দেখিয়ে নিজেই বসবাসের অভিযোগ আনা হয় এজাহারে।এজাহারে নাজমুল ইসলাম সাঈদকেও আসামি করা হয়। একই বছরের ১২ এপ্রিল কুতুবউদ্দিনকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কুতুবউদ্দিন গুলশানে রাজউকের অধিগ্রহণকৃত সাড়ে ১৬ শতাংশ (১০ কাঠা) জমি শ্বশুর ও অন্যদের নামে ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করার বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে। ১৯৬৪ সালে গুলশান-বারিধারা আবাসিক মডেল টাউন সম্প্রসারণ প্রকল্পের জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ৩১ একর ১৪ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে এই জমি নিচু জলাশয় হওয়ায় রাজউকের জন্য অলাভজনক হবে বলে ১৯৬৯ সালে এ কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। পরে রাজউক পুনরায় ওই ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিলে এ নিয়ে দীর্ঘদিন মামলা চলে। ২০০৪ সালে হাইকোর্ট এক রায়ে ওই ভূমির ওপর রাজউকের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়। দুদকের অনুসন্ধানে ধরা পড়ে,কুতুব ভূমি মন্ত্রণালয়ে কর্মরত থেকে প্রভাব বিস্তার করে কৌশলে এক গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে রাজউকের সম্পত্তি অবমুক্ত করে নাজমুল ইসলাম সাইদকে জমির ভুয়া আমমোক্তার সাজিয়ে এবং শ্বশুর আব্দুল জলিল মৃধাসহ আরও দুজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নিজেই ১০ কাঠা জমি আত্মসাৎ করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমি কুতুবের জামিন স্থগিতে দুদকের আবেদন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ