Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় শিক্ষক ফোরাম

ইসলামী কর্মতৎপরতা

| প্রকাশের সময় : ২৯ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, বর্তমান সিলেবাস থেকে নবী রাসূল (সা.) ও সাহাবায়ে কেরামগণের জীবনরচিত বাদ দিয়ে রামকৃঞ্চ ও রামায়ণের ইতিহাস সংযোজন করা হয়েছে যা ৯৫% মুসলমানের ঈমান ও আমলে চরম আঘাত। তিনি বলেন, গরুকে মা সম্বোধন করে কোমলমতি শিশুদের হিন্দুত্ববাদ শিখানো হচ্ছে। দেব-দেবির নামে বলি দেয়া গরু বা পাঁঠা হালাল বলে শিখানো হচ্ছে। এভাবে সরকারের ছত্রছায়ায় মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রায় সময়ই বলে থাকেন আমি মুসলমান। আমি নামাজ পড়ি, কুরআন তেলাওয়াত করি এবং নাস্তিকদের ব্যাপারে বলেছেন ধর্মের উপর আঘাত করলে আমারও গায়ে লাগে। কাজেই ধর্ম ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তি করলে ছাড় দেয়া হবে না। অপরদিকে শিক্ষা আইন, শিক্ষানীতির মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হিন্দুত্ববাদের দিকে নিয়ে যাওয়া কার স্বার্থে। এসব অবিলম্বে বাতিল না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে উঠলে সরকারের আখের রক্ষা হবে না।
সম্প্রতি রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম ঢাকা জেলা আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও মাওলানা নূর হোসাইনের পরিচালনায় পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক ফোরামের সদস্য সচিব মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, মাওলানা বাছির উদ্দিন মাহমুদ, মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর প্রমুখ।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, কওমী মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রেখে সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। সনদের স্বীকৃতি কারো দয়া নয়, বরং এটা তাদের অধিকার। তিনি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, ক্ষমতাসীন ধর্মনিরপেক্ষ মতাদর্শ বাস্তবায়নে ইসলাম ও ইসলামই একমাত্র বাধা। তাই তারা সিলেবাসের মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদেরকে ঈমান ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদে ধাবিত করতেই নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করেছে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের যৌনাচার শিক্ষার নামে অবাধ যৌনাচারে উদ্ধুদ্ধ করছে। ইসলামী শিক্ষার অভাবে সর্বত্র ঘুষ, দুর্নীতি, হত্যা, ধষণ মহামারী আকার ধারণ করেছে। এমনকি মা কর্তৃক সন্তান হত্যা এবং সন্তান কর্তৃক মাতাপিতা হত্যার মত ঘটনা ঘটছে ইসলামী শিক্ষার অভাবেই। তাই অবিলম্বে সিলেবাস বাতিল করতে হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম, বি-বাড়ীয়া, নারায়ণগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, রংপুর মহানগর, নরসিংদী, খুলনা মহানগর।
ইসলামী ঐক্য আন্দোলন
ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হুসাইন বলেছেন, কুরআন চর্চায় কেবল সমাজকে অধ:পতন থেকে বাঁচাতে পারে। দেশের সামাজিক অবস্থা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানাবে। তিনি বলেন, দেশ যখন সরকারের ভাষায় উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে, তখন আমাদেরকে সন্তান হারানো মায়ের, স্বামী হারানো স্ত্রীর, বাবা হারানো সন্তানদের আর্তচিৎকার শুনতে হচ্ছে। কোরআনের জ্ঞান না থাকার কারণে সমাজ আজ অধ:পতনের চরমসীমায় পৌঁছে গেছে, এমন কোনো পাপ নেই যা আমাদের দেশে হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, যে জাতি পাপকে পাপ মনে করে না তাদের পতন অনিবার্য। তিনি ঘরে ঘরে কোরআন চর্চার মাধেমে মাধ্যেমে সমাজ বিপ্লবের আহ্বান জানান। তিনি গত ২৫ অক্টোবর  বিকেলে ইসলামী ঐক্য আন্দোলন ঢাকা মহানগরীর মতিঝিল থানা শাখার দায়িত্বশীলদের বৈঠকে একথা বলেন। থানা শাখার আমির আলহাজ মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন থানা শাখার নায়েবে আমির শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজমল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেকুল হাসান প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ