Inqilab Logo

বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিদেশি বিনিয়োগের পালে হাওয়া

পদ্মা সেতু ঘিরেই বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে :ড. আহসান এইচ মনসুর এফডিআই’র ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, প্রধান সমস্যা ব্র্যান্ডিং এবং বন্দরের অটোমেশন : সৈয়দ এরশাদ আহমেদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৯ এএম

আরও একটি সু-খবর দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রফতানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মতো বিদেশি বিনিয়োগের পালেও জোর হাওয়া লেগেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার দেশে বিদেশি বিনিয়োগের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, গত ৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২১-২২ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪৭০ কোটি ৮০ লাখ (৪ দশমিক ৭১ বিলিয়ন) ডলারের সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে দেশে, যা আগের বছরের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি। নিট এফডিআই এসেছে আরও বেশিÑ ৬১ শতাংশ। গত অর্থবছরে ২ দশমিক ১৮ বিলিয়ন ডলার নিট এফডিআই এসেছে দেশে। ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩৩৮ কোটি ৭০ লাখ ডলারের এফডিআই পেয়েছিল বাংলাদেশ। আর নিট এফডিআই এসেছিল ১ দশমিক ৩৫ বিলিয়ন ডলার। দুই বছরের বেশি সময়ের করোনা মহামারির ধাক্কা কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে ওলটপালট হয়ে যাওয়া অর্থনীতি নিয়ে যখন নানান হতাশা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছিল, তখন স্বস্তির ইঙ্গিত দিচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগের এই উল্লম্ফন। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ঘিরে আগামী দিনগুলোতে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ আরও বাড়বে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার ও ব্যবসায়ী নেতারা। তবে বিশেষজ্ঞরা বিেিদশি বিনিয়োগে বাধা হিসেবে বিদেশে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং না করা এবং বন্দরের অটোমেশন এখনও নিশ্চিত করতে না পারা। যদিও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশের সর্বশেষ বিনিয়োগের পরিবেশ সংক্রান্ত রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্নীতি, আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতা, অপর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং সীমিত অর্থায়নের সুযোগের মত বেশ কিছু কারণ বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বড় বাধা সৃষ্টি করছে। এতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মোট ১২টি বাধাকে চিহ্নিত করা হয়েছে, এর মধ্যে বড় বাধা দুর্নীতি। এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, দুর্নীতি এবং আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার সমস্যা নিয়ে কাজ করছে সরকার। তিনি বলেছেন, এই মূহুর্তে নতুন বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় সেবার একটি বড় অংশকে সরকার ডিজিটালাইজড করেছে, এর ফলে আগ্রহী বিনিয়োগকারীরা নিবন্ধন-সহ অনেক প্রস্তুতি অনলাইনেই করতে পারেন। একই সঙ্গে অবশ্যই পরিবেশ পরিস্থিতি আরো অনেক বেশি উন্নতি হবে, আমি নিশ্চিত।
আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে ডলারের তীব্র সঙ্কট দেখা দেয়ায় টানা কয়েক মাস টালমাটাল অবস্থার পর অবশেষে দেশের অর্থনীতি নিয়ে স্বস্তির খবর দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। গত ১২ জুলাই দায়িত্ব নেয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমদানি কমছে। বিপরীতে বেড়েছে রফতানি ও প্রবাসী আয়। নিম্নমুখী মূল্যস্ফীতিও। আর এতে আগামী দুই মাসের মধ্যে অর্থনীতিতে চাপ কেটে যাবে বলে আমি আশাবাদী। বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রা বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের নেয়া পদক্ষেপগুলো ইতিবাচক ফল নিচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩২৩ কোটি ৩০ লাখ (৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন) ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিট বিনিয়োগের অঙ্ক ছিল ১২৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। ২০১৮-১৮ অর্থবছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন (৫০০ কোটি) ডলার বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল দেশে। এর মধ্যে নিট এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ২৬৩ কোটি ডলার।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আসে ওই বছর। এর মধ্যে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ করে জাপানের কোম্পানি জাপান টোব্যাকো। আকিজ গ্রুপের তামাক ব্যবসা কেনা বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি (১ দশমিক ৫ বিলিয়ন) ডলার বিনিয়োগ করেছিল তারা। বিভিন্ন খাতে মোট যে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসে, তা থেকে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান মুনাফার অর্থ দেশে নিয়ে যাওয়ার পর অবশিষ্ট অঙ্ককে নিট এফডিআই বলা হয়।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর থেকেই দেশে বিনিয়োগের আবহ তৈরি হয়। ২৫ জুন বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এই সেতুকে ঘিরে কয়েক মাস ধরে দেশে বিভিন্ন খাতে নতুন বিনিয়োগ হচ্ছিল। সে কারণেই শিল্প স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধনি যন্ত্রপাতি বা ক্যাপিটাল মেশিনারি, পরিবহন খাতের বাস-ট্রাক তৈরির যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য খাতের সব ধরনের যন্ত্রপাতি-সরঞ্জামের আমদানি বেড়েছে। সব মিলিয়ে দেশে বিনিয়োগের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে।
আর দেশি বিনিয়োগ বাড়লে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়েÑ অর্থনীতির এই সূত্রকে সত্যি প্রমাণ করেই দেশে এখন বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতির গবেষক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, এই যে গত কয়েক মাস ধরে প্রচুর আমদানি হচ্ছিল, ডলারের চাহিদা বেড়েছে তার মানে এখন দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। আর এ সব কিছুই কিন্তু পদ্মা সেতুকে ঘিরে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু যেভাবে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে দিয়েছিল, পদ্মা সেতু তার থেকেও বেশি অবদান রাখবে অর্থনীতিতে। এ বিষয়টি দেশি বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও বুঝতে পেরেছেন। সে কারণেই দেশি বিনিয়োগের সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগও বাড়ছে।
কয়েক বছর ধরে আমাদের বিনিয়োগ একই জায়গায় আটকে আছে; জিডিপির ৩১ থেকে ৩২ শতাংশের মধ্যে। করোনার মধ্যে সরকারি বিনিয়োগ কিছুটা হলেও বেড়েছিল, বেসরকারি খাতে তেমন বিনিয়োগ হয়নি। এখন সবকিছু অনুকূলে থাকায় সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে গতি এসেছে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও নতুন উদ্যমে বিনিয়োগ করছেন। সে কারণেই আমদানি বেড়েছিল। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। আগামী দিনগুলোতেও এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন ড. আহসান মনসুর। তবে ডলারের বাজারকে দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। অনেক পতন হয়েছে টাকার; আর নয়। এখন যে করেই হোক টাকাকে শক্তিশালী করতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি বেড়ে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছে, যা গত সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। টানা আট মাস ধরে বাড়তে বাড়তে ২০২২ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকটি ১১ শতাংশ ছাড়িয়ে ১১ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশে উঠেছিল।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ফেব্রুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি কমে ১০ দশমিক ৭২ শতাংশে নেমে আসে। মার্চে তা দশমিক ৫৭ শতাংশ পয়েন্ট বেড়ে ১১ দশমিক ২৯ শতাংশে ওঠে। সর্বশেষ জুন মাসে তা আরও বেড়ে ১৩ শতাংশ ছাড়িয়ে ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠেছে। অন্যদিকে গত ২০২১-২২ অর্থবছরের ৮ হাজার ২৪৯ কোটি ৫০ লাখ (৮২ দশমিক ৪৯ বিলিয়ন) ডলারের বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। তবে আমদানির লাগাম টেনে ধরতে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নানা পদক্ষেপ নেয়ায় আমদানি খরচ কমতে শুরু করেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলার পরিমাণ কমেছে প্রায় ৩২ শতাংশ। গত অর্থবছরে রফতানি আয় বেড়েছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়েও ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২১-২২ অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছিল ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ। জুলাইয়ে ২১০ কোটি (২ দশমিক ১০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ১৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। অর্থনীতির আরেক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভও বাড়তে শুরু করেছে। গত বৃহস্পতিবার দিন শেষে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। জুলাই মাসের ৫ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারের আমদানি খরচ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাত মাসের বেশি সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
১২ জুলাই এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে। চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে অব্যাহতভাবে ডলার বিক্রির ফলে আরও কমে যায় অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এই সূচক। কয়েক দিন ধরে টানা কমে গত ২৬ জুলাই তা ৩৯ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে যায়। ২৭ জুলাই তা আরও কমে ৩৯ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর থেকেই তা বাড়তে শুরু করেছে। আমদানি ব্যয় কমার পাশপাশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স এবং রফতানি আয় বাড়ার কারণে প্রতিদিন রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির পরও রিজার্ভ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে বলে জানিয়েছেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিদেশি বিনিয়োগে ইতিবাচক ধারায় সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগকারীদের চেম্বার অ্যামচেমের সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, করোনার ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যেও আমদানি-রফতানি বাড়ছে। অন্য সূচকগুলোও ভালো। তিনি বলেন, রাজনীতিতে অস্থিরতা নেই দীর্ঘদিন। পদ্মা সেতু চালু হয়ে গেছে। মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু কর্ণফুলী টানেলসহ কয়েকটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলও এ বছরেই চালু হবে। সব মিলিয়ে দেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগেও একটি ভালো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। এখন এটাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা দিলে দেশে এফডিআই আরও বাড়বে। এরশাদ আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এফডিআইয়ের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ব্র্যান্ডিং। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে আমরা এখনও আমাদের ব্র্যান্ডিং যথাযথভাবে তুলে ধরতে পারিনি। এ ছাড়া আমাদের বন্দরের সমস্যা আছে। এতদিনেও আমরা আমাদের বন্দরের অটোমেশন করতে পারিনি। এগুলো ঠিক হলে বাংলাদেশে আরও বেশি বিনিয়োগ আসবে বলে আশার কথা শুনিয়ে সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একা বিনিয়োগ করে খুবই কম। দেশি বিনিয়োগকারীদের হাত ধরে বিদেশি বিনিয়োগ আসে। সে কারণে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হলে দেশি বিনিয়োগও বাড়াতে হবে। নিজস্ব অর্থে পদ্মা সেতু নির্মাণ বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। এই সেতু ঘিরে এখন যেহেতু দেশি বিনিয়োগ বাড়ছে, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদেশি বিনিয়োগও আসবে।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সূত্রে জানা যায়, আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় তৈরি পোশাক খাতে কোরিয়া, চীন ও হংকং থেকে উল্লেখযোগ্য বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। এ ছাড়া বিদ্যুৎ, ব্যাংক, টেলিকমিউনিকেশন খাতেও কিছু বিনিয়োগ এসেছে। আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী, বিদেশি কোম্পানিগুলো তিনভাবে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। মূলধন হিসেবে নগদ বা শিল্পের যন্ত্রপাতি হিসেবে, বাংলাদেশে ব্যবসা করে অর্জিত মুনাফা বিদেশে না নিয়ে পুনর্বিনিয়োগ করে এবং এক কোম্পানি অন্য কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করতে পারে। এ তিন পদ্ধতির যেকোনোভাবে দেশে বিনিয়োগ এলে তা এফডিআই হিসেবে গণ্য করা হয়।
গত অর্থবছরে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মোট বিনিয়োগের প্রায় ১৭ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। দ্বিতীয় অবস্থানে সিঙ্গাপুর। তারা মোট বিনিয়োগের ১৬ শতাংশের মতো বিনিয়োগ করেছে। তৃতীয় অবস্থানে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ ৮ শতাংশ। এ ছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, চীন, মিসর, যুক্তরাজ্য, হংকং এবং অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ রয়েছে। ২০১৫-১৬ থেকে ২০২১-২২ এই পাঁচ অর্থবছরে দেশে মোট ২৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার এফডিআই এসেছে। এর মধ্যে নিট এফডিআই’র পরিমাণ ১৭ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার।##



 

Show all comments
  • Abulbasher Ripon ৬ আগস্ট, ২০২২, ৮:৪৫ এএম says : 0
    পালে হাওয়া দেখতে পেল মানুষ একলাফে চল্লিশ টাকা বৃদ্ধি জ্বালানি তেল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদেশি বিনিয়োগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ