Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর জনজীবন অতিষ্ঠ

১৬ ঘণ্টা লোডশেডিং

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৮ আগস্ট, ২০২২, ১২:০৭ এএম

জ্বালানী সাশ্রয়ে সরকার ঘোষিত সিডিউল মাফিক লোডশেডিং-এ চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলাবাসী। প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার বিভিন্ন সময় ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টাই লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দিনে ৪/৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ দেয়া হলেও রাতে দেয়া হয় মাত্র এক থেকে দুই ঘণ্টা। ফলে তীব্র গরমে জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠছে। অপরদিকে বরফকলগুলোতে বরফ জমতে না পারায় সাগরে যেতে পারছে না ফিসিং ট্রলার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাগেরহাট জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে গড় হিসাবে বাগেরহাট সদরে দুই ঘণ্টা, মোংলায় এক ঘণ্টা, রামপালে দুই ঘণ্টা, ফকিরহাটে তিন ঘণ্টা, মোল্লাহাটে তিন ঘণ্টা, চিতলমারিতে দুই ঘণ্টা, কচুয়ায় তিন ঘণ্টা। কিন্তু শরণখোলা ও মোরেলগজ্ঞ উপজেলায় গড়ে ১৭ ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। লোডশেডিংএ এমন চরম বৈষম্যে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যুতের লোডশেডিং দেয়ার দাবি জানান তারা।
শরণখোলার সিনিয়র সাংবাদিক শেখ মোহাাম্মদ আলী বলেন, জ্বালানী সাশ্রয়ে সরকারের দেয়া সিদ্ধান্তকে আমরা শ্রদ্ধা জানাই। কিন্তু বৈষম্যমূলক লোডশেডিং করায় মনে হচ্ছে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করছে বিদ্যুৎ বিভাগের কতিপয় কর্মকর্তা। মোরেলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মেহেদী হাসান লিপন জানান, জাতীয় গ্রীডের অযুহাত দিয়ে আমাদের এই দুই উপজেলায় সিডিউলের চেয়ে অতিরিক্ত লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।
রায়েন্দাহাট বাজার ব্যাবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাবুল বলেন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ৮টার মধ্যে আমরা দোকান বন্ধ করি। কিন্তু এরপর সারারাত বিদ্যুৎ না থাকার কারনে গরমে কেউ ঘুমাতে পারে না। যার কারণে দিনেও ব্যাবসায়ীরা ঠিক মতো দোকান চালাতে পারছে না।
মেঘা বরফ কলের মালিক মো. গোলাম মোস্তফা তালুকদার বলেন, দিনে কিছুটা বরফ জমা হলেও রাতে বিদ্যুৎ না থাকায় তা আবার গলে যায়। শরণখোলা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আ. রহিম হাওলাদার জানান, বরফের অভাবে জেলেরা সাগরে মাছ ধরতে যেতে পারছে না।
শরনখোলা উপজেলা চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্তা বলেন, এতো বেশি লোডশেডিং দেশের অন্য কোথাও দেয়া হচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। বিষয়টি জেলা সমন্বয় সভায় উপস্থাপন করা হবে। এভাবে লোডশেডিং দেয়া হলে সরকারের এতো উন্নয়ন সব ম্লান হয়ে যাবে।
এ ব্যপারে শরণখোলা পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির সহকারি জেনারেল ম্যানেজার আশিক মাহামুদ সুমন জানান, আমাদের এখানে দিনে ৭ মেঘাওয়াট ও রাতে ১০ মেঘাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও বাগেরহাট গ্রিড থেকে দেয়া হচ্ছে মাত্র তিন থেকে চার মেঘাওয়াট। তাই সেই হিসাবে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ