Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রফতানি বেড়েছে পৌনে ২শ’ কোটি ডলারের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

জ্বালানির মূল্য বাড়ায় রফতানিতে বড় ধরণের প্রভাব পড়বে বলে আশঙ্কা করছেন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীরা। আর এ আশঙ্কার মধ্যেই সু-খবর দিল এ খাতের ব্যবসায়ীরা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের। যা শতাংশের হিসেবে ৬০ দশমিক ৩০ শতাংশ। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (অটেক্সা) এর তথ্য সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। সোমবার (৮ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছেন বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল।
তথ্য অনুসারে, ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে ৫০১ কোটি ৯০ লাখ ৭ হাজার ডলারের। ২০২১ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রফতানি হয়েছিল ৩১৩ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ডলারের। সে হিসেবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালের একই সময়ে পোশাক পণ্য রফতানি বেড়েছে ১৮৮ কোটি ৭৯ লাখ ৮ হাজার ডলারের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই রফতানি আদেশগুলো এসেছিল চলতি বছরের মে মাসে, যখন বৈশ্বিক পরিস্থিতি এখনকার মতো অস্থির ছিল না। তবে বর্তমান পরিস্থিতি অতটা ভালো না। বর্তমান পরিস্থিতির বিষয়ে বিজিএমইএর পরিচালক ও মুখপাত্র মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, করোনা পরবর্তী সময়ে এবং ভূ-রাজনৈতিক সংকটের কারণে বিশ্ব বাণিজ্য ও অর্থনীতি এই মুহূর্তে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জ্বালানির উচ্চমূল্য এবং সরবরাহের ঘাটতি বিশ্ব পরিস্থিতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। যেহেতু আমরা বিশ্ববাজারে কাজ করি, আমাদের শিল্পও এর মাধ্যমে প্রভাবিত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত দেড় বছরে সুতার দাম বেড়েছে ৬২ শতাংশ, মালবাহী পরিবহন খরচ বেড়েছে ৫০ শতাংশ, রং-রাসায়নিক খরচ বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ, ন্যূনতম মজুরি গত বছরের শুরুতে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। এর ফলে আমাদের গড় উৎপাদনে গত ৫ বছরে খরচ বেড়েছে ৪০-৪৫ শতাংশ। সেই সঙ্গে উৎপাদনশীলতা এবং দক্ষতা আমাদের জন্য একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয়। কারণ বাংলাদেশে গড় উৎপাদনশীলতা প্রায় ৪৫ শতাংশ, ভিয়েতনামে উৎপাদনশীলতা ৫৫ শতাংশ এবং তুরস্কে ৭০ শতাংশ। এই সঙ্কট পরিস্থিতিতে উদ্যোক্তারা নিজ নিজ সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পাচ্ছেন যা তাদের এগোতে সাহায্য করছে। আমরা সরকারের কাছ থেকেও কিছু নীতিগত সহায়তা চাই। সরকার নীতিগত সহায়তা দিলে আমরা এগিয়ে যাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগের মতো সহযোগিতা এবং সহায়ক পদক্ষেপের মাধ্যমে এই কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারব।
মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, পণ্য তৈরি এবং বাজারের অতিরিক্ত ঘনত্ব, বিশেষ বাজারে অনুপস্থিতি, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পের উনড়বতি ইত্যাদির মতো দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি। খরচ কমিয়ে আমাদের দক্ষতা এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করে প্রতিযোগিতামূলক থাকার চেষ্টা করছি বলেও জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ