Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ওপারে দাম কিছুটা কমে বা সরকার ডিউটি কম নেয় তা হলে পুরো দমে চাল আমদানিকরা সম্ভব:বলছেন আমদানিকারকরা

কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৬ থেকে ৮ টাকা

হিলি সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২২, ৬:০৯ পিএম

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে অস্থির হয়ে উঠেছে চালের বাজার। বেড়েছে সব ধরণের চালের দাম। বাজারে কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে চালের বেড়েছে ৬-৮ টাকা।এতে চরম বিপাকে পড়েছেন নিন্ম-মধ্যবিত্ত আয়ের ক্রেতারা। আর বিক্রেতারা বলছেন,মিল মালিকরা চাল উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছেন।আর একারণেই বাড়ছে দাম।

সরবরাহ কম হওয়ায় চালের উর্দ্ধগতি কোন ভাবেই কমছে না। প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম। হিলি বাজারে মোটা চালের তুলনায় চিকন চালের দাম সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। যে মিনিকেট চাল ৫৩ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই মানের চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ৫২-৫৪ টাকার শম্পা কাটারি বিক্রি হচ্ছে ৬৪-৬৫ টাকায়, ৪৬ থেকে ৪৮ টাকার আঠাশ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৫৪ টাকায় আর স্বর্ণা ৫ জাতের চাল ৩৮-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা চাল বিক্রেতারা বলছেন,অটো চাল মিল মালিকরা ধানের মজুদ গড়ে তুলেছেন। তারা চাল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় বাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে। একারণে খুচরা বাজারে কেজিতে সব ধরণের চালের দাম ৬-৮ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে টানা প্রায় ১০ মাস বন্ধ থাকার পর (গত ২৩ জুলাই শনিবার) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুরু হয় ভারতীয় নন-বাসমতি চাল আমদানি। ভারতে চালের দাম বৃদ্ধি ও ডলার রেট উঠানামা করায় লোকসানের আশঙ্কায় চাল আমদানিতে আগ্রহ নেই এই বন্দরের আমদানিকারকদের।
শতকরা ২৫ শতাংশ শুল্ককর দিয়ে সরকারের স্বর্তাবলি মেনেই মোটা চাল প্রতি মেট্রিক টন ৩৭০ থেকে ৩৮০ ডলার এবং চিকন চাল প্রতি মেট্্িরক টন ৪২৫ থেকে ৪৭০ ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে আমদানি করছে আমদানিকারকেরা।
এই বন্দরের ১০ জন আমদানিকারক ৩০ হাজার মেট্টিক টন চাল আমদানির অনুমতি পেলেও তার বিপরীতে গেলো কয়েক সপ্তাহে এ পর্যন্ত ভারতীয় ২০০ টি ট্রাকে ৮ হাজার টন চাল প্রবেশ করেছে এই বন্দরে দিয়ে।
এদিকে আগে ব্যাংক গুলোতে ১০ ভাগ মার্জিনে এলসি দিলেও বর্তমানে ৫০ থেকে ৭০ ভাগ মার্জিনে দিতে হচ্ছে ফলে চাল আমদানি করতে আগ্রহ নেই আমদানিকারকদের।তবে চাল আমদানিতে শুল্ক ফ্রি করে দিলে বাড়তে পারে চালের আমদানি বলছেন এই বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, বাংলাদেশের চেয়ে ভারতে চালের দাম বেশি।বিধায় যে পরিমানের চাল আমদানি হওয়ার কথা সে পরিমানের চাল আমদানি হচ্ছেনা। আমরা আমদানির চেষ্টা করছি,ভারতে যদি দাম কিছুটা কমে কিংবা সরকার ডিউটি কম নেয় তা হলে পুরো দমে চাল আমদানিকরা সম্ভব হবে।
হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক প্রতাব বলেন, দেশের বাজার স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকৃত চালগুলো বাজারজাত করতে কাস্টমসের সকল প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে চাল ছাড়করণ করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমদানিকারক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ