Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

বিএনপিবঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে ৪০ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল.. আমির হোসেন আমু

জাতিসংঘ প্রতিনিধিকে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি জানাল

ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০২২, ৭:২৬ পিএম

ঝালকাঠিতে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ১৪ দলের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের উপদেস্টা পরিষদ সদস্য আলহাজ¦ আমির হোসেন আমু (এমপি) বলেছেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে এ দেশকে ৪০ বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছিল । ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু চট্রগ্রামের বেতবুনিয়ায় প্রথম স্যাটেলাইট স্টেশন নির্মান করেছিলেন । ৭৫ এর পর অনেক সরকার ক্ষমতায় এসছে কিন্তু কেউ স্যাটেলাইট নিয়ে আর ভাবেনি । তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর ২০১৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার বঙ্গবন্ধুর নামে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হয়েছে । বঙ্গবন্ধুকে যদি হত্যা করা না হতো তাহলে আরও ৪০ বছর আগে তাঁর নেতৃত্বেই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হতো । বুধবার বিকাল সাড়ে চারটায় শহরের সাধনার মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মোঃ শাহ-আলমের সভপাপতিত্বে শোক সভায় আরও বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ব্যারিস্টার সুমাইয়া হোসেন অদিতী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহবায়ক রেজাউল করিম জাকির, যুগ্ম আহবায়ক মোঃ কামাল শরীফ, জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ মধু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তরিকুল ইসলাম পারভেজ । অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, খান আরিফুর রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ সালেক, যুগ্মসম্পাদক মুজিবুল হক আকন্দ, নুরুল আমিন খান সুরুজ, তরুন কর্মকার, শহর আওয়ামী লীগ সভাপতি মোঃ লিয়াকত আলী তালুকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুর রশিদ প্রমুখ । প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমির হোসেন আমু আরও বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে শুধু মাত্র একটি পরিবারকে হত্যা করা হয়নি হত্যা করা করা হয়েছে একটি জাতিকে, কারণ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনি মোসতাক- জিয়ার নেতৃত্বে ইনডেমনিটি আইন পাস করা হলো যে এ দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করা যাবে না । অনেকঘাত প্রতিঘাতের পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার আওয়ামী লীগ ঘুরে দাড়ালো। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠন হলে ইনডেমনিটি বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার শুরু হলো। ২০০৯ সালে যদি আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় না আসতো তাহলে এ দেশে বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের ফাঁসি কার্যকর হতোনা। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফাঁসি এবং যুদ্ধ অপরাধীদের বিচার শুরু হওয়ার পর বিএনপি ও জামাত জোটের মাথা খারাপ হয়ে যায় । তাঁরা আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানোর জন্য নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যেতে থাকে । বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারনে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিএনপি নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে । তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিশ^ যুদ্ধের পর সারা বিশে^ যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল আজ বিশে^ সে রকমের একটি অবস্থা বিরাজ করছে । শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বের কারনে দেশে এখনও কোন খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি । দেশের একটি মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি । জিনিসপত্রের দাম যতটুক বেড়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সহনীয় পর্যায় আনা সম্ভব হবে ইনশল্লাহ ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ