নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
হ্যামিল্টন থেকে বার্বাডোজের দূরত্ব বিশাল। আর সময়ের হিসেবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডেতে জয়ের দূরত্বটাও তেমনই দীর্ঘ ছিল সর্বশেষ ম্যাচের আগে। ২০১৪ সালে সর্বশেষ হ্যামিল্টনে কিউইদের বিপক্ষে জয়ের মুখ দেখেছিল ক্যারিবিয়ানরা। মাঝের সময়ে ৫ ম্যাচ খেলে সবগুলোতে হেরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অবশেষে গতকাল ভোরে ব্রিজটাউনে সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিউইদের বিপক্ষে ৫ উইকেটে জেতে নিকোলাস পুরান বাহিনী। আর তাতে ওয়ানডে সুপার লিগে ১০ ম্যাচ খেলে এই প্রথম হারের স্বাদ পেল কিউইরা।
টসে জিতে সফরকারীদের ব্যাটিংয়ে পাঠান পুরান। তার সিদ্ধান্তকে যথার্ত প্রমাণ করেন স্বাগতিক বোলাররা। পিচের অতিরিক্ত বাউন্স দারুণভাবে কাজে লাগান জোসেফ-আকিলরা। তাতেই ২৮ বল বাকি থাকতে ১৯০ রানে অলআউট কেন উইলিয়ামসের দল। এরআগে কিউইরা সর্বশেষ ২০২০ সালের ১৩ মার্চ ওয়ানডেতে অলআউট হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। রান তারা করতে নেমে ব্রুকসের ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতকে ভর করে ৫ উইকেট ও ১১ ওভার হাতে রেখে ম্যাচ জেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতেই স্বাগতিক ওপেনার কাইল মায়ার্স ফেরেন ট্রেন্ট বোল্টের সুইংয়ে পরাস্ত হয়ে। শেই হোপের দারুণ আত্মবিশ্বাসী শুরুটা বড় হয়নি। ছন্দ হারিয়ে সাউদির বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ টি চার ও ১ ছক্কায় ২৬ রান করেন এই ওপেনার। তবে অপর প্রান্তে সামারা ব্রুকস এদিন ছিলেন দারুণ প্রত্যয়ী। ম্যাচসেরা এই ব্যাটার মাঝে কার্টিকে নিয়ে ৩৭ রানের জুটি গড়েন। এরপর ম্যাচের গতি পরিবর্তনীয় ৭৫ রানের পার্টানরশিপটা উপহার দেন অধিনায়ক পুরানকে নিয়ে। স্বাগতিকদের ইনিংসে বারবার বৃষ্টির বাগরাও ব্রুকসের মনোযোগে চির বসাতে পারেনি। ৭৯ রান করে বোল্টের দ্বিতীয় উইকেটে পরিণত হওয়ার আগে দলকে রেখে যান জয় থেকে মাত্র ২৯ রান দূরে। ব্ল্যাকউড এবং হোল্ডার মিলে বাকিটা পথ নিরাপদে পৌঁছে দেয় স্বাগতিকদের।
অন্যদিকে প্রথমে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে দারুন শুরু এনে দেন গাপটিল ও অ্যালেন। কোন উইকেট না হারিয়ে তারা ৪১ রান তুলে ফেলেন। এরপরেই আকিল হোসেনের ঝলক শুরু। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে ফেরান দুই ওপেনারকেই। সফরকারী কাপ্তান এক প্রান্তে দাঁড়িয়ে গেলেও কনওয়ে, লাথাম বা মিচেল, কেউই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। দুই অভিষিক্ত স্পিনার ক্যারিয়াহ ও সিনক্লিয়ার অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দেন। উইলিয়ামসন দলীয় সর্বোচ্চ ৩৪ রান করে ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ৩০ ওভারের শেষ বলে। কিউদের সংগ্রহ তখন ১২২। সেখান থেকে ব্রেসওয়েল ও স্যান্টনারের ৪০ রানের পার্টারশিপে ১৯০ রানের পুঁজি পায় সফরকারীরা। আকিল ও জোসেপ পান ৩টি করে উইকেট। আর হোল্ডারের শিকার ২ কিউই ব্যাটার।
ম্যাচ শেষে পরাজিত অধিনায়ক উইলিয়ামসনও কৃতিত্ব দিলেন স্বাগতিক বোলারদেরই, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান বোলাররা যেভাবে বোলিং করেছে তাতে কৃতিত্ব তাদের দিতেই হয়। পিচ থেকে ওরা সুবিধা পেয়েছে এবং তাদের পরিকল্পনাগুলো দারুনভাবে প্রয়োগ করতে পেরেছে। বলতেই হয় দারুণ ক্রিকেট খেলেছে তারা।’ আজ রাতে একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নামবে দুই দল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।