Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মার্কিন নাগরিকদের ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ

ফের বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি করছে ইউক্রেনীয় সেনারা কিয়েভের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্টের :: রুশ সেনা ডিনিপ্রো নদীর উপর সেতু নির্মাণ শুরু করেছে :: যুদ্ধে ৯০০০ সেনা হারিয়েছে ইউক্

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১২:০০ এএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমবার একটি নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করেছে যে, রাশিয়া আগামী দিনে, বিশেষ করে আজ বুধবার ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে হামলা চালানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে। এর পরে কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস ইউক্রেনে অবস্থানরত সব মার্কিন নাগরিককে অবিলম্বে দেশটি ছেড়ে যেতে বলেছে। এদিকে, রাশিয়ার হামলা থেকে বাঁচতে ফের বেসামরিক নাগরিকদের মানব ঢাল হিসাবে ব্যভহার করছে ইউক্রেনীয় সেনারা।

গোয়েন্দাদের বরাতে একজন মার্কিন কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া ক্রমবর্ধমানভাবে ইউক্রেনের বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করবে বলে স্থির করেছে। গোয়েন্দাদের একটি অনুসন্ধানে এই দাবি করার পরে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট সতর্কতা জারি করেছে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট তার সতর্কবার্তায় বলেছে, ‘যদি আপনি বিকট বিস্ফোরণ শুনতে পান বা সাইরেন সক্রিয় হয়, অবিলম্বে আশ্রয়ের সন্ধান করুন।’ সোভিয়েত ইউনিয়নের শাসন থেকে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসের সাথে মিল রেখে বুধবার ইউক্রেনে রাশিয়ার অভিযান ছয় মাসে পড়বে। তার আগেই নতুন এ গোয়েন্দা তথ্য এসেছে। কিয়েভের মার্কিন দূতাবাস, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসকে ঘিরে আগামী দিনে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলার বর্ধিত সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছে, আবারও আমেরিকান নাগরিকদের তারা যদি পারে তবে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ফের বেসামরিক নাগরিকদের জিম্মি করছে ইউক্রেনীয় সেনারা : সোমবার রাশিয়ার ন্যাশনাল ডিফেন্স ম্যানেজমেন্ট সেন্টারের প্রধান মিখাইল মিজিনসেভ বলেছেন, ইউক্রেনীয় বাহিনী আর্টিওমভস্ক শহরের বিভিন্ন বাড়িতে আর্টিলারি মোতায়েন করেছে এবং বেসামরিক নাগরিকদের জোর করে তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে ও জিম্মি করছে। ‘ইউক্রেনীয় বাহিনী আর্টিওমভস্ক শহরে (ইলিচা স্ট্রিট) একটি পরিবারিক বাড়িতে আর্টিলারি এবং এমএলআরএস মোতায়েন করেছে যেগুলি তারা নিয়মিতভাবে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর অবস্থানগুলিতে গোলা বর্ষণ করতে ব্যবহার করে ও পাল্টা গুলি চালায়। একই সময়ে, জঙ্গিরা বেসামরিক নাগরিকদের তাদের বাড়িতে আটকে রেখেছে। তারা জোর করে বাড়িগুলোকে কার্যকরভাবে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে তাদের ব্যবহার করছে,’ তিনি বলেন।

মিজিনটসেভ বলেছেন যে, ইউক্রেনীয় জাতীয়তাবাদীরা সøাভিয়ানস্কের একটি স্কুলের কাছে একটি সড়ক সেতু খনন করেছে, যা তারা উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছে এবং রাশিয়াকে দোষারোপ করার পরিকল্পনা করছে। ‘এছাড়াও, নির্ভরযোগ্য তথ্য অনুসারে, ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিকের সøাভিয়ানস্কে ইউক্রেনীয় সশস্ত্র সংগঠনের জঙ্গিরা স্কুল নং ১৫ (সোবডি স্ট্রিট) এর কাছে কাজেনি টোরেটস নদীর উপর একটি সড়ক সেতু খনন করেছিল, যা তারা উড়িয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল এবং তারপরে, একটি সাজানো পরিস্থিতিতে ইউক্রেনীয় এবং পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমের ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে, রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন অবকাঠামোতে নির্বিচারে হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে,’ জেনারেল বলেছিলেন।

কিয়েভের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান যুক্তরাষ্টের : রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য করা ইউক্রেনের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তারা বলেছে যে, ওয়াশিংটন রাশিয়ার ভিন্নমতাবলম্বী এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অন্যদের আশ্রয়ের পথ বন্ধ করতে চাইবে না। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই মাসের শুরুতে ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে একটি সাক্ষাতকারে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, রাশিয়ানদের ‘তাদের দর্শন পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিজস্ব পৃথিবীতে বেঁচে থাকা উচিত’। তারপরে জেলেনস্কি কয়েক সপ্তাহ আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর জন্য রাশিয়ান নাগরিকদের ভিসা নিষিদ্ধ করার জন্য আরেকবার অনুরোধ করেছিলেন যাতে রাশিয়ানরা সেখানে প্রবেশ করতে না পারে।

তবে সোমবার, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন মুখপাত্র বলেছেন যে, বাইডেন প্রশাসন ইতিমধ্যে ক্রেমলিন কর্মকর্তাদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে তবে তারা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করা এবং তাদের জবাবদিহি করার দিকে এর ফোকাস থাকবে। ‘যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ভিন্নমতাবলম্বী বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে থাকা অন্যদের জন্য আশ্রয় ও নিরাপত্তার পথ বন্ধ করতে চাইবে না,’ মুখপাত্র বলেছেন। তিনি যোগ করেছেন, ‘আমরা এটাও পরিষ্কার করেছি যে রাশিয়ান সরকারের পদক্ষেপ এবং ইউক্রেনে তার নীতি এবং রাশিয়ার জনগণের মধ্যে একটি রেখা আঁকা গুরুত্বপূর্ণ।’ কিছু ইইউ নেতা যেমন ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী,সানা মারিন এবং তার এস্তোনিয়ান সমকক্ষ কাজা ক্যালাস, ইইউ-ব্যাপী ভিসা নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর, ওলাফ শলৎজ সোমবার এর বিরোধিতা করে বলেছেন, রাশিয়ানরা যদি তাদের সরকারের সাথে একমত না হয় তবে তাদের নিজ দেশ থেকে পালাতে সক্ষম হওয়া উচিত।

রুশ সেনা ডিনিপ্রো নদীর উপর সেতু নির্মাণ শুরু করেছে : ইউক্রেনের যুদ্ধ সম্পর্কে সর্বশেষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা আপডেটে, দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমওডি) সতর্ক করেছে যে, সপ্তাহান্তে, রাশিয়ান বাহিনী ডিনিপ্রো নদীর উপর একটি উল্লেখযোগ্য ভাসমান সেতু নির্মাণের অবস্থানে বার্জগুলি সরানো শুরু করতে পারে। এমওডি বলেছে যে, ‘রুশ-অধিকৃত খেরসন এবং পূর্বের মধ্যে মূল সংযোগ’ স্থাপণ করবে এই সেতু। বর্তমানে শুধুমাত্র ফেরি ব্যবহারের মাধ্যমেই সেখানেই পারাপার করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যদি রাশিয়া ইম্প্রোভাইজড ব্রিজটি সম্পূর্ণ করে, তবে এটি ফেরির তুলনায় ক্রসিং পয়েন্টের ক্ষমতা প্রায় অবশ্যই বাড়িয়ে দেবে।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে যে, এই ভাসমান সেতু ‘সম্ভবত এখনও ইউক্রেনীয় আক্রমণাত্মক পদক্ষেপের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে’। কিয়েভ বুধবার সোভিয়েত শাসন থেকে স্বাধীনতার বার্ষিকীতে রাজধানীতে জনসাধারণের উদযাপন নিষিদ্ধ করেছে, তারা আশঙ্কা করছে যে এ দিন রাশিয়া আরও জোরালো হামলা চালাতে পারে।

যুদ্ধে ৯০০০ সেনা হারিয়েছে ইউক্রেন : রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে ছয় মাস ধরে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যুদ্ধে ইউক্রেনের কমপক্ষে ৯ হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। সোমবার দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কমান্ডার ভ্যালেরি জালুঝনি এ তথ্য জানান। ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, একটি ফোরামের বক্তব্যে ভ্যালেরি বলেন, বিশেষ করে শিশুদের প্রতি মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। তাদের বাবারা ফ্রন্টলাইনে থেকে যুদ্ধ করছেন এবং তাদের মধ্যে ৯ হাজারের কাছাকাছি দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। সোমবার ইউক্রেনের সামরিক সদস্য নিহত হওয়ার এ ঘোষণা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর দেয়া অনুমানের বিপরীত। গত ২৫ মার্চ রাশিয়া জানিয়েছিল যুদ্ধের প্রথম মাসে ১ হাজার ৩৫১ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।

ইউক্রেনে গোপনে অস্ত্র পাঠাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র : সোমবার পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটনে এ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে প্রশাসন প্রকাশ্যে যা ঘোষণা করেছে ইউক্রেনকে তার চেয়েও বেশি অস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন কর্তৃপক্ষ কিয়েভে প্রকাশ্যে কোন অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দেয় না। গত শুক্রবার, পেন্টাগনের একজন উচ্চ পদস্থ প্রতিনিধি এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, ‘প্রকাশ্যে ঘোষণা না দিয়েই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনে রাডার বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র প্রেরণ করছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘যখন আমরা প্রথমবার হার্ম ক্ষেপণাস্ত্রের প্রাথমিক বিধান ঘোষণা করেছিলাম, তখন যেভাবে এটিকে বৈশিষ্ট্যযুক্ত করেছিলাম তা নির্দিষ্ট ছিল না। আমরা বর্ণনা করেছি যে আমরা একটি পাল্টা রাডার প্রদান করছি।’

পলিটিকো, ইয়াহু নিউজের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এটিএএমএস নির্দেশিত কৌশলগত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েয়ে। এটি এখনো স্পষ্ট নয়, তবে যদি সত্য হয় তাহলে এটি প্রশাসন প্রকাশ্যে যা বলেছে তার বিরুদ্ধে যাবে।’ পলিটিকোর উৎসগুলো আরো বলেছে ,‘গত সপ্তাহে কিয়েভকে ঘোষণা করা সামরিক সহায়তার নতুন প্যাকেজে এক্সক্যালিবার গাইডেড আর্টিলারি শেল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পেন্টাগনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় তাদের আলাদাভাবে উল্লেখ করা হয়নি। অধিকন্তু, পলিটিকো অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি পেয়েছে যে মার্কিন প্রশাসন সাম্প্রতিক সহায়তা প্যাকেজ সম্পর্কে কংগ্রেসের কাছে হস্তান্তর করেছে। ’

পারমাণবিক ঝুঁকি কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর : জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সোমবার বলেছেন, পারমাণবিক ঝুঁকি বর্তমানে কয়েক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি বৈঠকেও তিনি একথা জানান। পরমাণু অস্ত্র রয়েছে এমন দেশগুলোকে অবশ্যই সেসব অস্ত্র ‘প্রথম ব্যবহার না করার’ প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার জোর দাবি জানিয়েছেন তিনি। তাদের অবশ্যই আশ্বস্ত করতে হবে যে, যেসব রাষ্ট্রের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই, তারা তাদের বিরুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না বা ব্যবহারের হুমকি দেবে না এবং সর্বত্র স্বচ্ছ থাকবে। পারমাণবিক শক্তি প্রদর্শন (সেবার র‌্যাটলিং) বন্ধ করতে হবে। সবশেষে মহাসচিব বলেন, আমাদের সকল রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় পুনরায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে। উত্তেজনা কমাতে এবং পারমাণবিক অস্ত্রের প্রতিযোগিতা একেবারে শেষ করার জন্য আলোচনার টেবিলে আসার চেষ্টা করতে হবে।

রাশিয়ার বিশেষ অভিযানে ন্যাটোর আকাঙ্খা পূরণ হয়নি : রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের জন্য ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের সম্ভাবনা শূন্যের সমান। গতকাল তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে এ মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ। ‘এটা সবার কাছে পরিষ্কার যে কোনো প্রতিবেশী তাদের কোনো গ্যারান্টি দিতে পারবে না, যতই তারা রাশিয়াকে ঘৃণা করুক না কেন। এবং এখন কেউই ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের বিষয়ে রাজি হবে না। যদিও জোটে কিছু রুসোফোবিয়া আছে, তারা আত্মঘাতী নয়। এটি বিশেষ সামরিক অভিযানের সরাসরি ফলাফল,’ মেদভেদেভ লিখেছেন।

কিয়েভের শাসনব্যবস্থা নিজের জন্য কিছু ধরণের ‘নিরাপত্তা গ্যারান্টি’ উদ্ভাবন করে চলেছে যা তারা ভবিষ্যতে উপভোগ করতে চায়। ‘সময় সময় তারা স্বতন্ত্র তুচ্ছ প্রতিবেশীদের সাথে মিটিং করে, অথবা আবার ন্যাটোকে প্রত্যাহার করে,’ তিনি উল্লেখ করেছেন। বলা হচ্ছে, মেদভেদেভ নিশ্চিত যে, ‘শুধুমাত্র রাশিয়ার সাথে একটি চুক্তি তাদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে।’

জাপোরোজিয়ে প্ল্যান্টে ইউক্রেনের হামলায় সম্মতি ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের : জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ইউক্রেনের হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মত ছিল। গতকাল জাপোরোজিয়ে অঞ্চলের সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের কাউন্সিলের সদস্য ভøাদিমির রোগভ এ তথ্য জানিয়েছেন। ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এ আক্রমণগুলোর জন্য তারা আমেরিকান এবং ব্রিটিশদের সাথে একমত হয়েছিল যে, এটি (ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির) জেলেনস্কির ব্যক্তিগত উদ্যোগ নয়,’ তিনি রসিয়া-২৪ টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন।

তিনি উল্লেখ করেছেন যে, পারমাণবিক কেন্দ্রে পশ্চিমা তৈরি অস্ত্র থেকে গোলা বর্ষণ করা হচ্ছে। তিনি এর আগে বলেছিলেন যে, ইউক্রেনীয় সৈন্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে জাপোরোজিয়ে পারমাণবিক প্ল্যান্টের কুল্যান্ট সিস্টেমকে লক্ষ্যবস্তু করছে। তারা যথেষ্ট সচেতন যে, এটি চুল্লির অতিরিক্ত উত্তাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে, যা অনিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়াগুলিকে ট্রিগার করতে পারে। ‘স্পষ্টতই, কিয়েভ বিশেষজ্ঞদের সাথে এ বিষয়ে পরামর্শ করা হয়েছে, সম্ভবত, পশ্চিমাদের সাথেও,’ রোগভ উল্লেখ করেছেন। সূত্র : আল-জাজিরা, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য গার্ডিয়ান, তাস, এএফপি।



 

Show all comments
  • আবির ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১:৩২ এএম says : 0
    আমেরিকার কারণেই ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হয়েছে। বিশ্বকে অশান্তি সৃষ্টির জন্য তারাই দায়ি।
    Total Reply(0) Reply
  • আবির ২৪ আগস্ট, ২০২২, ১:৩৩ এএম says : 0
    আমেরিকা বিশ্বে শান্তি চাইলে তারা যুদ্ধ বাধাইতো না।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ