Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি

সুন্দরগঞ্জের উন্নয়ন বঞ্চিত চরাঞ্চল

| প্রকাশের সময় : ৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উন্নয়ন বঞ্চিত চরাঞ্চলের পরিবহন মাধ্যম একমাত্র ঘোড়ার গাড়ি। চরঞ্চলের জনগণের কাছে তাই ঘোড়ার গাড়ির কদর বেড়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন তিস্তা নদীর চরে কৃষিপণ্য থেকে শুরু করে যেকোনো মালামাল পরিবহনের বাহন হিসেবে একমাত্র সম্বল ঘোড়ার গাড়ি। চরের খানাখন্দে ভরা বালুময় রাস্তায় যেখানে ভ্যান, রিকশা, ট্রলি, ট্রাক যেতে পারে না সেই সকল রাস্তায় জনপ্রিয় বাহন হিসেবে ঘোড়ার গাড়ির কদর বেড়েছে। এ উপজেলার ২০টি চরেই সিংহভাগ রবি শস্য উৎপাদন হয়। পাট, আলু, বাদাম, ভুট্টা, গম, ডাল এসব অর্থকরী ফসল পরিবহনে কৃষকরা ঘোড়ার গাড়িই ব্যবহার করছেন। কৃষকরা এখন তাদের উৎপাদিত ফসল ঘোড়ার গাড়িতেই হাটবাজারে নিয়ে বিক্রি করছেন। আর ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের কাছে কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হয় না। উপজেলার ৬ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কৃষকরা একদিকে যেমন উৎপাদিত ফসল হাটবাজারে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনি কৃষি উপকরণ সার-বীজসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করে ঘোড়ার গাড়ি করেই নিয়ে যাচ্ছেন। ঘোড়ার গাড়ির মালিকরাও অর্থ উপার্জন করে সুন্দরভাবে সংসার চালাচ্ছেন। ঘোড়ার গাড়ি চালক আমজাদ হোসেন জানান প্রতিদিন গাড়ি দিয়ে ৭/৮ শত করে টাকা উপার্জন করা যায়। ঘোড়ার পিছনে দৈনিক এক থেকে দেড়শ টাকা খরচ হয়। বাকি টাকা তার দৈনিক আয় থাকে। ঘোড়ার গাড়ি চালক সাইদুর রহমান জানান বগুড়া, রাজশাহী, ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে শ্রমিকের কাজ করেও সংসার ঠিকভাবে চালানো সম্ভব হতো না। এখন ঠিকভাবে সংসার চালিয়ে আয় করতেছি ঘোড়ার গাড়ি দিয়ে। এখন শ্বশুর বাড়িও যাই দাওয়াত খেতে ঘোড়ার গাড়িতে পরিবার-পরিজন নিয়ে। দৈনিক যে আয় হয় তাতে আর কারো মুখাপেক্ষি হতে হয় না। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ ও জামা-কাপড় চাওয়ার আগেই দিতে পারতেছি। এ উপজেলার বিভিন্ন চরে প্রায় ৩শ ঘোড়ার গাড়ি পরিবহন কাজে ব্যবহার হচ্ছে। বেলকা চরের কৃষক আনারুল ইসলাম জানান, ঘোড়ার গাড়িতে এখন ধান, পাট, গম, ভুট্টা ও শাকসবজি সরাসরি বাজারে নিয়ে বিক্রি করছি। তাতে দাম ভালো পাচ্ছি। ফড়িয়া ব্যরসায়ী আর আমাদের ঠকাতে পারছে না। মোটকথা ঘোড়ার গাড়ি চরাঞ্চলবাসীর পরিবহনের একমাত্র সম্বল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ