Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বোদায় আগের মতো চোখে পড়ে না মহিষের পাল

| প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বোদা (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : বোদাসহ পঞ্চগড় জেলায় কালের আবর্তে মহিষ বিলুপ্তির পথে। আগের মতো আর এ জেলায় মহিষ পালন চোখে পড়ে না। বোদা উপজেলাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে অল্প কয়েকটি মহিষের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ অঞ্চলে আগে প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারের কৃষকরা মহিষ পালন করত। এই মহিষ দিয়ে তারা কৃষি জমি চাষাবাদসহ মহিষের গাড়ি চালাত। এখন এ এলাকায় আর মহিষের গাড়ি চোখে পড়ে না। মহিষের গাড়ি বিলুপ্ত হয়ে গেছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের কৃষিতে এসেছে নানান পরিবর্তন। এখন আর কৃষকরা মহিষ অথবা গরুর হাল দিয়ে চাষ বাদ দিয়ে দিয়েছে। এই মহিষ পালন কমে যাওয়ায় এখন এর দাম অনেক। এখন একটি ছোট মহিষ কমপক্ষে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ক্রয় করতে হয়। এখন আর আগে মতো এ জেলার হাট-বাজারগুলোতে মহিষ বিক্রি হয় না। মহিষের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক অনুসন্ধানে জানা যায়, এখন মহিষ বিক্রি হয় প্রতি বছরের মেলা চলাকালীন সময়ে। প্রতি বছর কালী পূজার সময় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার দ-পাল ইউনিয়েনের কালীগঞ্জে কালী মেলা বসে। এই মেলায় মহিষ বিক্রি হতে দেখা যায়। অপরদিকে প্রতি বছর আটোয়ারী উপজেলার রাস পূর্ণিমাতে আলোয়াখোয়া মেলা বসে। মাসব্যাপী এই মেলায় মহিষ বিক্রি করতে দেখা যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আগের মতো আর মেলায় মহিষ বিক্রি হয় না। তাছাড়া অল্প পরিমাণ মহিষ বের হয় বলে মহিষের দাম অনেক বেশি। মহিষের পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আর মহিষের মাংস খেতে পারে না। আগের সময় মইক দিয়ে ঢোল বাজিয়ে হাট-বাজারগুলোতে মহিষের মাংস বিক্রি হতো। বর্তমানে সেই চিত্রটি বদলে গেছে। এক সময় মহিষের মাংস এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণ করত এবং এর মাংস খুবই সুস্বাদুু ছিল। মহিল পালন কমে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আমিষের চাহিদা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ অঞ্চলের সচেতন মানুষের ধারণা, যদি বিলুপ্তপ্রায় মহিষ পালনে এ অঞ্চলের মানুষদের আগ্রহী হিসেবে গড়ে তোলা যায়। তাহলে তারা আর্থিকভাবে লাভবান হবে আমাদের আমিষের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সহিদুল ইসলামে র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ উপজেলায় মহিষের খামার গড়ে ওঠেনি। আমাদের কাছে যদি কেউ এ মহিষ পালনের কথা বলতে আসে তাহলে আমরা তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের কথা বলি। তাছা তিনি আরো বলেন, এখন আর আগের মতো ঘাস না থাকায় মহিষ পালনে কেউ এগিয়ে আসে না। যদি পর্যাপ্ত ঘাসের ব্যবস্থা করা যায় এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে মহিষ পালন করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।  



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ