Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর ফাঁকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, দাবি শাকিরার

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:১৮ পিএম

কলোম্বিয়ান পপ তারকা শাকিরার বিরুদ্ধে ১১৫ কোটি টাকারও বেশি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, যার কারণে আইনি জটিলতায় পড়েছেন এই গায়িকা। এ অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাকিরার আট বছরের জেল হতে পারে। পাশাপাশি ২.৩৫ কোটি ডলারেরও বেশি জরিমানা হতে পারে। তবে এই অভিযোগের বিপরীতে এতদিন চুপ থাকলেও এবার তিনি মুখ খুলেছেন। পাঁচ বছর পর গানের অ্যালবাম মুক্তিকে ঘিরে নানা অভিযোগ নিয়ে মুখ খুললেন ‘পপ সম্রাজ্ঞী’।

শাকিরার দাবি, কর ফাঁকির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাকে অকারণে ফাঁসানো হয়েছে।

আন্তজার্তিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, এর আগেও আয়কর দফতর থেকে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ১২১ কোটিরও বেশি কর বাকি দেখানো হয়েছিল। স্পেনের গায়িকা জানিয়েছিলেন, তিনি সেই সময় দেশে ছিলেনই না! তাই কর দেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না।

যদিও আদালতের নথি অনুসারে, শাকিরা সেই সময়সীমার মধ্যে স্পেনেরই নাগরিক ছিলেন। কারণ, তিনি ২০১২ সালে বার্সেলোনায় একটি বাড়ি কিনেছিলেন। কারাবাসের সময় ছাড়াও তাকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গায়িকা জানালেন, তার বিরুদ্ধে ভুয়া অভিযোগ আনার পর তিনি এবার ‘নীতিগতভাবে’ মামলায় লড়বেন। শাকিরার যুক্তি, কর দেওয়ার মতো উপযুক্ত সময় তিনি দেশে কাটানইনি। বললেন, ‌‘বিশ্বজুড়ে আমার পেশাদার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যস্ত ছিলাম...স্প্যানিশ সরকার আমার কাছে এক পয়সাও পায় না।’

গায়িকা আরো জানান, তিনি শুরু থেকে স্বচ্ছভাবে কাজ করছেন। তার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার। সেগুলো আদালতের সামনে পেশ করবেন। আরও বলেন, ‘মামলা দায়ের করার আগেই আমার যা যা কর বাকি ছিল, তা সবই মিটিয়ে দিয়েছি।’

উল্লেখ্য, বার্সেলোনার ফুটবলার জেরার্ড পিকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর ২০১১ সালে স্পেনে বসবাস শুরু করেন শাকিরা। ২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে স্পেনের সাধারণ নাগরিক ছিলেন এই গায়িকা। ২০১২ সালের মে মাসে বার্সেলোনায় বাড়ি কিনেছিলেন তিনি। সেই সময়ে ১২১ কোটিরও বেশি টাকার কর বাকি দেখানো হয়েছিল। যদিও শাকিরার তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৫ সাল পর্যন্ত বাহামসের করদাতাদের তালিকায় ছিল তার নাম।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ