Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমার সঙ্কটে জাতিসংঘের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মালয়েশিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে বলেছেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদ উল্লেখযোগ্য কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তাদের কাছ থেকে এমন প্রতিক্রিয়া ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশীয় প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, কারও কারও মতে, নিরাপত্তা পরিষদ [মিয়ানমারের] বিষয়টিতে হাত ধুয়ে ফেলেছে এবং সেটি যেন আসিয়ানের (দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট) হাতে তুলে দিয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা এটিকে ‘নতুন গৃহযুদ্ধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যাতে কয়েক হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইসমাইল সাবরি আরও বলেছেন, আসিয়ানের ‘পাঁচ-দফা ঐকমত্য’ প্রস্তাবকে নতুন করে প্রাণ দেওয়া দরকার। ওই প্রস্তাবনায় অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ, একজন বিশেষ দূত নিয়োগ এবং সব অংশীদারদের নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আসিয়ানের অন্যতম সদস্য মালয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ প্রস্তাব বাস্তবায়নে কোনো অর্থপূর্ণ অগ্রগতি না থাকায়, বিশেষ করে মিয়ানমারের জান্তার দিক থেকে হতাশ মালয়েশিয়া। বর্তমান রূপ নিয়ে আসিয়ানের ‘পাঁচ দফা ঐকমত্য’ আর চলতে পারবে না। মিয়ানমারের সামরিক শাসকদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপের দাবিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অন্যতম সোচ্চার কণ্ঠ মালয়েশিয়া। তারা শুরু থেকেই মিয়ানমার জান্তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের সরকারের (এনইউজি) সঙ্গে আলোচনায় বসতে আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া এবং সিঙ্গাপুরও ক্ষমতা ছাড়ার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণার জন্য মিয়ানমারের জেনারেলদের চাপ দিচ্ছে। আল-জাজিরা, রয়টার্স।



 

Show all comments
  • Sʜʌʜ Dʌʀʌ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩৮ এএম says : 0
    আন্তজার্তিক ভাবে শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর পক্ষপাতদুষ্ট নীতি কারণেই রহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ্যদিন ঝুলে আছে৷
    Total Reply(0) Reply
  • Nizam Uddin Sumon ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩৭ এএম says : 0
    আরাকান রাজ্য যে কনো প্রভাবশালী দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ , আরাকান রাজ্যে চীন চায় নৌঘাঁটি করতে , ভারত চায় নৌপথে সেভেন সিসটার রাজ্য গুলোর সাথে যোগাযোগ পথ তৈরি করতে, আমেরিকার চায় সেনা ঘাটি তৈরি করে বংঙপসাগর আর চীনের উপর চাপ রাখতে। কথিত মানবাধিকার সংগঠন গুলো চায় সংকট টিকিয়ে রেখে তাদের ব্যবসা দীর্ঘ মেয়াদি করতে।
    Total Reply(0) Reply
  • Hossain Ahmed ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৬:৩৭ এএম says : 0
    ছোট্ট এ দেশটিতে এমনিতেই জনবিস্ফোরণ দেখা দিয়েছে। ক্ষুদ্র এ ভুখন্ডে প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাস, যেখানে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ দেশ রাশিয়া (১১৬ টি বাংলাদেশের সমান) তে জনসংখ্যা মাত্র ১৫ কোটি এর কাছাকাছি। এতগুলো বছর পেরিয়ে গেলেও আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলো ১২ লক্ষাধিক এসব উদ্ধাস্তু মানুষের জন্য কার্যকর কোন ভূমিকাই রাখতে পারে নি। বরং মানবতা দেখানো জনবহুল ক্ষুদ্র এ দেশটিকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিল। অনতিবিলম্বে এসব বাস্তুহারা মানুষগুলোকে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন এর ব্যবস্থা না করা হলে পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ