Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কিশোরগঞ্জে রাস্তা বন্ধ করায় চলাচলে দূর্ভোগ

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ৪:০৬ পিএম

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা ইউনিয়নের দক্ষিণ চাঁদখানা চরকবন্দ গ্রামে চলাচলের রাস্তার উপর চাটি দিয়ে বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার তিন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ওই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ওই এলাকার চারটি পরিবারের ২৫জন সদস্যের। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছয়ফুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অভিযোগ দিলেও অভিযুক্তরা কোনো কিছু মানতে নারাজ। রাস্তা বন্ধ করার অভিযুক্তরা হলেন- ওই এলাকার মৃত সহির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল মজিদ, আব্দুল হামিদ ও আতোয়ার রহমান। স্থানীয়রা এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করলেও অভিযুক্তরা তা মানতে নারাজ। দ্রুত এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সরেজমিনে গেলে এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে ছয়ফুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওই রাস্তার উপর বাশের চাটি লাগিয়ে দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেয় অভিযুক্তরা। স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যাক্তি ও চেয়ারম্যান বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করলেও বিষয়টির কোনো সুষ্ঠু সমাধান হয় নি।
ভুক্তভোগী ছয়ফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীঘদিন থেকে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। তারা হঠাৎ করে আমাদের অর্ধেক রাস্তার উপর ঘর নির্মাণ করে তার সাথে চাটির বেড়া লাগাই রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে আমরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছি না। রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের কে লাঠি দিয়ে ভয়ভিতি দেখায়। বলে আসলে পা ভেঙে দেবো।’
অভিযুক্তদের মামী রাবেয়া বেগম বলেন,‘ছয়ফুলেরা দীর্ঘদিন থেকে এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু হঠাৎ করে তাদের মধ্যে যে কি হলো রাস্তা বন্ধ করলো এতে করে তাদের চলাচলে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আতোয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ‘তারা তাদের ইচ্ছা মত রাস্তা চাইলে হবে না। আমার জমিতে আমি চাটি দিয়েছি।’
জানতে চাইলে চাঁদখানা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফিজ বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে বিষয়টি সমধানের চেষ্টা করা হলেও সমাধান করা সম্ভব হয় নি। স্বয়ং কিশোরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসেও সমাধানের চেষ্টা করলেও কেউ কারো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে চায় না।’
কিশোরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূর্ভোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ