Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুষ্টিয়ার কুমারখালী আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে চিঠিতে হুমকি, বোমা ও কাফনের কাপড়

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রির্পোটার | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১১:০২ পিএম

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক কার্যালয়ের সামনে থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমা সাদৃশ্য লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা, ফাঁটানো বোমের বস্তু ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করেছে পুলিশ। সোমবার (০৩ অক্টোবর) সকালে ইউনিয়নের চর বানিয়াপাড়া বাজার আওয়ামী লীগ কার্যালয় এলাকা থেকে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

কিন্তু কে বা কারা কাকে বা কাদেরকে উদ্দেশ্য করে এগুলো রেখে গেছে তা এখনো জানা যায়নি। তবে ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা বলছেন,একদল দুষ্কৃতকারীরা এলাকার শান্তি নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য এমন অপকর্ম করতে পারে। এলাকায় এই নিয়ে চরম আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।

ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে, খান,,,,,ছেলেরা তোরা যখন এলাকায় ছিলিনি তখন সব ঠিকঠাক ছিলো। কিন্তু তোরা যা করছিস তা ঠিক না। আজ নমুনা দিয়ে গেলাম। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তোর জন্য বেশি না দুটো গুলিই যথেষ্ট। যা তুই উপহার পাবি। আর কাফনের কাপড়টা ঠিক করে রাখিস। যা তোর কাজে লাগবে। সাবধান, সাবধান, সাবধান।'

আজ বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, সকালে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বোমা, চিঠি, কাফনের কাপড় দেখে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এ গুলো নিয়ে গেছেন। তবে কে বা কাহারা কি উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী আক্তার হোসেন বলেন, 'অফিসটিতে আমি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বসেন। কে বা কাহারা রাতের আধাঁরে অফিসের সামনে কাফনের কাপড়, বোমা, চিঠি রেখে গেছেন তা জানিনা। পুলিশ সেগুলো নিয়ে গেছেন।

ওই আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশেই বসবাস করেন ভ্যানচালক সিয়াম। তাঁর স্ত্রী আনিছা খাতুন বলেন, 'রাতে বিকট শব্দ শুনতে পাই। ভাবলাম ভ্যানের চাকা ফেঁটে গেছে। পরে সকালে জানতে পারলাম ককটেল বোমা ফেঁটেছে।

স্থানীয় কাপড়ের ব্যবসায়ী আবু তালেব বলেন, 'এলাকাবাসী খুব শান্তিতে আছেন। এখানে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন গ্রুপিং রয়েছেন। হয়তো শান্তি নষ্ট করার জন্য এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ফাঁসাতে এমন কাজ করেছেন। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা বের হওয়া দরকার।'

এ বিষয়ে কয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন বলেন,আমি শহর আওয়ামী লীগের সাবেক জ্যৈষ্ঠ সহ-সভাপতি ছিলাম। আমার কর্মীর কার্যালয়ের সামনে এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে একদল দুষ্কৃতকারীরা। এলাকার শান্তি নষ্ট ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষে এমন অপকর্ম করতে পারে তারা।

কুমারখালী থানার (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, চর বানিয়াপাড়া বাজার এলাকার আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে কাফনের কাপড়, ককটেল বোমা সাদৃশ্য লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা ও হাতে লেখা একটি চিঠি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ দিকে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে কাফনের কাপড় ও ককটেল বোমা সাদৃশ্য লাল টেপে জড়ানো একটি কৌটা ও হাতে লেখা একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে উপজেলা এলাকাজুড়ে এই নিয়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ