Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে কসবায় গৃহবধূর আতœহত্যার অভিযোগ, থানায় মামলা

কসবা ( ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০২২, ৭:২৮ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক বছরের এক পুত্র সন্তানের জননী নাছিমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (০৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের কাশিরামপুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই রিয়াজ মাহমুদ বাদী হয়ে নিহতের শশুড়, শাশুড়ী ও ননদকে আসামী করে আতœহত্যার প্ররোচনার একটি মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেন।

নিহত নাছিমা আক্তার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার মেয়ে।

নিহতের পরিবার, মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাছিমা আক্তারের সাথে একই ইউনিয়নের ছবি মিয়ার ছেলে মোহন মিয়ার চার বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের আবদুল্লাহ নামের এক বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।

মোহন মিয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী। বিয়ের সময় তিনি শশুড় বাড়ি থেকে কোন যৌতুক নেয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয় পরিবারে অন্য সদস্যরা। মোহন মিয়া সিঙ্গাপুরে চলে যাওয়ার পর থেকে চালানো হয় তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা বৈঠকও হয়েছে। মোহন মিয়া সিঙ্গাপুর থেকে দেড় বছর আগে ছুটিতে এসে সব ঝামেলা মিটিয়ে বউকে বাবার বাড়ি থেকে এনে আবার সংসার জীবন শুরু করেন।

মোহন মিয়া পূণরায় সিঙ্গাপুরে চলে যাওয়ার পর থেকে শুরু হয় যৌতুকের জন্য নির্যাতন। গত শনিবার রাতে একমাত্র সন্তানের কোন খাবার ঘরে ছিল না। নাছিমা তার শশুড়কে সন্তানের খাবার এনে দিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গালি-গালাজ অপমান করতে থাকে। গৃহবধূ নাছিমা আক্তার বিষয়টি টেলিফোনে তাঁর বাবার বাড়িতে এবং প্রবাসী স্বামীকে জানায়।

এতে তার স্বামীও ক্ষিপ্ত হন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার দুপুরে নাছিমা আক্তার অপমানের জ্বালা সইতে না পেরে রাগে ক্ষোভে স্বামীর ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করেছে।

কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, নিহত গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে কসবা থানায় রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ সোমবার সকালে ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। আতœহত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে শশুড়, শাশুড়ী ও ননদের বিরুদ্ধে আতœহত্যার প্ররোচনার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ