Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্মৃতির আয়নায় ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার

হাসান মজুমদার বাবলু | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

স্মৃতির আয়নায় ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার মূলত একটি পাঠকনন্দিত স্মারকগ্রন্থ। ১৯৫২ সালের ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী কুমিল্লার ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের জীবন ও কর্ম নিয়ে ৫৮ জনের বাণী ও লেখাসমৃদ্ধ এই স্মারকগ্রন্থটি মুজিববর্ষ ২০২১ এ প্রকাশিত হয়।মূলতঃ মরহুম ভাষাসৈনিকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীকে (১২ এপ্রিল ২০২১) সামনে রেখে এই স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়। ২০২২ সালের বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলায় প্রথম আসা ১৬০ পৃষ্ঠার এই গ্রন্থটির সম্পাদনা করেছেন ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের সদস্য সচিব ও ইনকিলাব সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে সাউন্ডবাংলা।দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা।

ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার ‘নুরুল আমিনের রক্ত চাই, মাতৃভাষা বাংলা চাই’ প্রভৃতি শ্লোগানের মাধ্যমে ঐতিহাসিক ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে মিছিল-মিটিংয়ে নেতৃত্ব দেন। তার স্মৃতিময় উত্তাল দিনগুলোর কথা ওঠে এসেছে তারই সহযোদ্ধা বাবু নেপাল চন্দ্র রায় ও রেয়াছত আলী মাস্টারের লেখাতে।এছাড়া তার জীবন ও কর্ম নিয়ে লিখেছেন অনেকেই। জীবিত থাকা অবস্থায় তিনি সরকারিভাবে ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি ও গেজেটভুক্ত করা, উচ্চ আদালতের রায় বাংলায় প্রদান, বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে পেতে বিদেশি মিশনগুলোর ব্যাপক তৎপরতা ও বাংলা ভাষার উৎকর্ষ সাধনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের কার্যকর ভূমিকা দাবি করে বিভিন্ন সময়ে পত্র-পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে দেশব্যাপি আলোচিত হন।
স্মারকগ্রন্থে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এমপি, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি, সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম আবদুল মতিন খসরু, সাবেক এমপি মরহুম অধ্যাপক মো. ইউনুস, ঢাবির সাবেক ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক, ভাষাসৈনিক মোহাম্মদ আবদুল গফুর, মরহুম ভাষাসৈনিক রেজাউল করিম, একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা, বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাবি অধ্যাপক ড. আবদুল জলিল চৌধুরী, অধ্যাপক ড. এএসএম আতীকুর রহমান ও অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা ও দায়রা জজ ফারুক আহমেদ, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ মোহসীন, বুড়িচং উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আখলাক হায়দার, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা আবদুল জলিল, তারাব পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম,তৎকালীন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমরুল হাসান, শিক্ষাবিদ প্রিন্সিপাল আবু ছালেক মো. সেলিম রেজা সৌরভ, প্রধান শিক্ষক রৌশল আলী খান, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক সাজ্জাদ হোসেন ও ঢাকা সাব এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি মামুন ফরাজীসহ ৫৮ জনের লেখা ও বাণী স্থান পেয়েছে।
উল্লেখ্য, ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার উত্তর জগতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তার পূর্বে বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং উপজেলার মাশরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। আলোকিত শিক্ষক হিসেবে তিনি এলাকায় সমধিক পরিচিত ছিলেন।ভাষাসৈনিক আবদুর রাজ্জাক মাস্টার স্মৃতি পরিষদের আহŸায়ক কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ মহসীন এক বিবৃতিতে মরহুম এই ভাষাসৈনিকের নামে কুমিল্লার একটি সড়কের নামকরণের দাবি করেন। ইতোমধ্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত কবি অসীম সাহা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিকের উপস্থিতিতে গ্রন্থটির দুটি মোড়ক উম্মেচন অনুষ্ঠান হয়।গ্রন্থটির বহুল প্রচারের জন্য তাঁর দীর্ঘকালের কর্মস্থল বুড়িচং মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্মরণসভা আয়োজন ও সচেতন নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়।সাউন্ডবাংলা, ৩৩, তোপখানা রোড ছাড়াও রকমারী ডট কম থেকে গ্রন্থটি পাওয়া যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভাষাসৈনিক


আরও
আরও পড়ুন