পটুয়াখালীতে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকা নিহত
পটুয়াখালীর লোহালিয়া- বাউফল সড়কের শৌলায় মোটরসাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে স্কুল শিক্ষিকা ইসরাত জাহান উর্মি প্রাণ হারিয়েছেন । বুধবার বিকেলে জেলার বাউফল উপজেলায় মোটরসাইকেল যোগে গ্রামের বাড়ীতে
বাড়িতে পিতার লাশ রেখে পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে গিয়েছিল সুমাইয়া আক্তার সুইটি। পরীক্ষা শেষ করে বাড়িতে পৌঁছেই হাউমাউ করে কেঁদে বলছিল,বাবা আমি পরীক্ষা দিয়ে এসেছি। তুমি চোখ খোলো, ও বাবা। সেই সুমাইয়া এবার এসএসসিতে পেয়েছে জিপিএ ৫। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াপাড়ার এ শিক্ষার্থী কনেশতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী ছিল।
বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার আগের রাতে সুমাইয়ার গাড়িচালক বাবা আবুল কাশেমের মৃত্যু হয়। তিনি তিন মেয়ে ও দুই ছেলে রেখে যান, যাদের মধ্যে সবার বড় সুমাইয়া।
কনেশতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, সুমাইয়া খুবই মেধাবী ছাত্রী। সে স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটের প্রতিনিধি। ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি একজন ভালো সংগঠক।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন,আমি যখন জানতে পারি মেয়েটির বাবা মারা গেছেন, বাড়িতে বাবার লাশ রেখেই পরীক্ষা দিতে এসেছে, তখন হলের শিক্ষকদের বলেছি মেয়েটি যেন নার্ভাস না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে। পরীক্ষা শেষে যেন সুমাইয়াকে বাড়ি পৌঁছে দেয়া হয়। সুমাইয়ার ফলাফলে আমি খুবই আনন্দিত।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে সুমাইয়া বলে,বাবা বেঁচে থাকলে আজ কত খুশি হতো। বাবার স্বপ্ন ছিল আমি যেন শিক্ষক হই। আমি বাবার স্বপ্নপূরণে এগিয়ে যাব। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।