চীনা নজরদারি বেলুন: ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে যা জানালো যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস চীনা নজরদারি বেলুন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা চীনের পাঁচ মহাদেশ জুড়ে চালানো
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের আটক না করতে গতকাল সোমবার চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ সামলাতে চীন সরকারের চালানো পদক্ষেপের প্রেক্ষাপটে এ আহ্বান জানায় সংস্থাটি।
শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য কাউকে আটক করা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
‘শূন্য কোভিড নীতি’ বিরোধী বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয়েছে শি চিন পিং সরকার। গত সপ্তাহের শেষ দিন থেকে দেশটির বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়া লকডাউনবিরোধী বিক্ষোভ দমনে শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়েছে। চলছে ধরপাকড়।
জাতিসংঘ মানবাধিকার দপ্তরের মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মেনে বিক্ষোভকারীদের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে আমরা চীনকে আহ্বান জানাচ্ছি। শান্তিপূর্ণভাবে নিজের মতামত প্রকাশের জন্য নির্বিচারে আটক করা উচিত হবে না।’
চীনে সরকারের কঠোর কোভিড নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সম্প্রতি দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দেশের বৃহত্তম শহর সাংহাইতে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বিক্ষোভকারীরা। রাজধানী বেইজিং ও নানজিংয়েও ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে শামিল হয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও।
টানা তিন বছর ধরে একের পর এক লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধে অতিষ্ঠ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনেও শক্ত বাধা সৃষ্টি করছে বেইজিং। বিক্ষোভ বন্ধ করতে মরিয়া কমিউনিস্ট শাসকরা। বিপরীতে ফুঁসে উঠেছে নাগরিকরাও।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।