Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ডিস্ট্রিবিউশন ডিপোতে সৌরবিদ্যুৎ: ইউনিলিভারের আরেকটি টেকসই পদক্ষেপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৭:১৪ পিএম

ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) বগুড়ায় তাদের ওয়্যারহাউজ ডিস্ট্রিবিউশন ডিপোতে প্রথমবারের মতো সোলার প্যানেল স্থাপন করেছে। এই সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে, ইউবিএল বাংলাদেশে তার বিতরণ নেটওয়ার্ককে নবায়নযোগ্য শক্তির আওতায় নিয়ে আসার যাত্রা শুরু করলো। সৌর বিদ্যুতের এই প্ল্যান্টটি, বছরে ৫৩,৫৬০ কেডব্লিউএইচআর বিদ্যুৎ উৎপাদন করবে। এই উদ্যোগ, আগামী ১৫ বছরে ২০২ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইউবিএল-এর দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যপূরণে ভূমিকা রাখবে। এগারো বছর আগে চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ইউবিএল তার সর্ববৃহৎ কারখানায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার শুরু করে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশে ইতোমধ্যে বিশ্বের অন্যতম সফল ‘অফ-গ্রিড রিনিঅ্যাবল এনার্জি’র কার্যক্রম রয়েছে। যদিও জাতীয় বিদ্যুৎ চাহিদার মাত্র ৩ শতাংশ পূরণ হয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে। ইউবিএল এর প্রাথমিক লক্ষ্য টেকসই উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখা এবং প্রতিষ্ঠানটি ইতিবাচক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবসময়ই বাংলাদেশের ভোক্তাদের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে আসছে। এদেশে যাত্রার শুরু হতে ইউবিএল টেকসই উন্নয়নমূলক কার্যক্রমে অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে এবং কোম্পানির কার্যক্রমকে ভবিষ্যৎবান্ধব করতে উদ্যোগ নিচ্ছে। সোলশেয়ার এর কারিগরি সহযোগিতায় ডিস্ট্রিবিশন ডিপোতে সৌর বিদ্যুৎ অন্তর্ভুক্ত করা ইউবিএল-এর তেমনই প্রচেষ্টার অংশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশের সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার, সাপ্লাই চেইন ডিরেক্টর রুহুল কুদ্দুস, ন্যাশনাল লজিস্টিকস এর সিনিয়র ম্যানেজার দিলরুবা আহমেদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সোলশেয়ার এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কো ফাউন্ডার ড. সেবাশ্চিয়ান গ্রোহ।

ইউনিলিভার বাংলাদেশ(ইউবিএল)-এর সিইও অ্যান্ড ম্যানেজিং ডিরেক্টর জাভেদ আখতার বলেন, “জলবায়ু বিষয়ক কার্যক্রম গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রতি টন কার্বন নিঃসরণকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে। এ কারণে আমরা আমাদের ব্যবসার ফলে সৃষ্ট গ্রিন হাউজ গ্যাস ফুটপ্রিন্ট নির্ভুলভাবে পরিমাপ করছি, যাতে আমরা বুঝতে পারি কোথা থেকে এই নিঃসরণ হচ্ছে ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। ২০১৫ সাল থেকে আমরা আমাদের বিশ্বজুড়ে কার্যক্রমে কার্বন নিঃসরণ ৬৪ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি এবং এই অর্জনের ফলে ২০২৫ সাল নাগাদ কোম্পানির ৭০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ প্রশমনে নির্ধারিত অর্ন্তবর্তী বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আমরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি। বর্তমানে কালুরঘাট ফ্যাক্টরি (কেজিএফ) বাংলাদেশের অন্যতম টেকসই কারখানাগুলোর একটি এবং বিগত ১০ বছরে এটি প্রায় ১২ লাখ গিগাজুল(জিজে) (৩৩০ কে এমডব্লিউএইচ) বিদ্যুৎশক্তি সংরক্ষণের পাশাপাশি প্রায় ৭০ হাজার টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ কমিয়ে এনেছে। এখন আমাদের বর্ধিত ভ্যালু চেইন ডিকার্বোনাইজ করার সময় এসেছে। আমাদের প্রথম ডিস্ট্রিবিশন ডিপোতে ‘রুফটপ সোলার ইনস্টলেশন’ স্থাপনের মাধ্যমে আমরা পরিবেশবান্ধব ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক তৈরি ও আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ ‘নেট জিরো ইমিশন’-এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এগিয়ে গেলাম।”

সোলশেয়ার এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সেবাস্তিয়ান গ্রোহ বলেন, “ইউনিলিভার এর বিস্তৃত নেটওয়ার্কে প্রথমবারের মতো ‘রুফটপ সোলার ইনস্টলেশন’ স্থাপন করার এই প্রক্রিয়ায় আমাদের ওপর আস্থা রাখায় সোলশেয়ার এর পক্ষ হতে আমি প্রতিষ্ঠানটির প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। কার্বন নিঃসরণ প্রশমিত করে ‘নেট জিরো ইউনিলিভার’ প্রতিষ্ঠার ভিশন অর্জনে এই যৌথ উদ্যোগ আরো অগ্রগামী করতে আমরা আগ্রহী।”

শতভাগ গ্রিড ইলেকট্রিসিটি সক্ষমতার এর জন্য ইউনিলিভার ২০২১ সালে আইআরইসি (ইন্টারস্টেট রিনিউঅ্যাবল এনার্জি কাউন্সিল) সার্টিফিকেশন লাভ করে। আইআরইসি রিনিউঅ্যাবল এনার্জি সার্টিফিকেট (আরইসি) উদ্যোগের আওতায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের টেকসই ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ব্যবহারে উৎসাহিত করছে। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে শুধুমাত্র ২০২১ সালেই ইউনিলিভার বাংলাদেশ ২০,৮৮৯ গিগাজুল (জিজে) (৫৮০৩ এমডব্লিউএইচ) বিদ্যুৎ সংরক্ষণে সক্ষম হয়েছে, যেটি পরিবেশ সুরক্ষায় ১ লাখ ৫০ হাজার ২৫২টি বৃক্ষরোপণ এর সমতুল্য।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ