Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত হবে চরম আত্মঘাতি

কক্সবাজার বিমানবন্দরের নাম করণেও প্রধানমন্ত্রী আশাকরি ঐতিহ্য ধরে রাখবেন

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৫৩ পিএম

কাওমী আলীয়ার ওলামারা একই বৃন্তের দুইটি ফুল

কক্সবাজারে আল্লামা উবায়দুর রহমান খান নদভী


বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার বাংলাদেশ কাওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড
বেফাকুল মদারিসিল আরাবিয়ার মহাপরিচালক ও দৈনিক ইনকিলাবের সিনিয়ার সহকারী সম্পাদক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন,
রাজনীতিতে দেশ ও জাতির স্বার্থকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। এব্যাপারে সরকারী দল-বিরোধী দল সবাইকে সতর্ক থেকে কাজ করা দরকার।

তিনি বলেন, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হবে চরম আত্মঘাতি। এই ধরণের যে কোন আত্মঘাতি কার্যক্রমের প্রভাব সুদূর প্রসারী। সরকার যেন এই ধরণের আত্মঘাতি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে।

মাওলানা উবায়দুর রহমান নদভী (২ ডিসেম্বর) জুমাবার কক্সবাজার শহরের লিংকরোড ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের বার্ষিক মাহফিলের সমাপনী দিবসের শেষ অধিবেশনে প্রধান বক্তার
আলোচনায় একথা বলেন।

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী আরে বলেন, দেশের কাওমী-আলীয়া দুই ধারার আলেম ওলামারা যেন একই বৃন্তের দুটি ফুল। দুই ধারার ওলামায়ে কেরামই শান্তিপ্রিয়। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিতে অবদান রেখে চলেছেন। তাই ছোটখাটো মতবিরোধ ভুলেগিয়ে এই দুই ধারার ওলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ জাতি ও সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করা দরকার। শাহ ওয়ালিল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলবী এই দুই ধারারই মুল উৎস।

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহ্য ধারণ করে
দেশের সবকটি বিমানবন্দর দেশের পীর আওলিয়াদের নামে নামকর করে দৃৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঢাকা বিমানবন্দরকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রাজশাহী বিমানবন্দরকে শাহ মখদুম, খুলনা বিমানবন্দরকে খানজাহান আলী ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দরকে শাহ আমানত বিমানবন্দর নাম করণ করে প্রসংশিত হয়েছেন। তিনি কক্সবাজার বিমানবন্দরকে এই এলাকার সুপরিচিত শাহ বদর রহ. এর নামে 'কক্সবাজার শাহ বদর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর' নাম করণের দাবী জানান। বৃটিশ বেনিয়াদের প্রতিভূ ক্যাপ্টেন কক্স এর নামে শাহ বদরের এই এলাকার নামকরণ লজ্জার বিষয় বলেও জানান নদভী।

দুইদিনব্যাপী মাহফিলে প্রধান অতিথি ছিলেন, আন্জুমানে এত্তেহাদুল মদারিস এর মহাচসিব পটিয়া আল জামেয়া ইসলামিয়ার মহাপরিচালক আল্লামা ওবায়দুল্লাহ হামজা। দুই দিনের এই মাহফিলে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শাইখ ছালাহুল ইসলাম।

মাহফিলের বিভিন্ন অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকার উপ-পরিচালক আল্লামা ড. মুশতাক আহমদ। জামেয়া রেলওয়ে স্টেশন, তেজগাঁও, ঢাকার পরিচালক আল্লামা ইয়াহিয়া মাহমুদ, জামেয়া রেলওয়ে স্টেশন, তেজগাঁও, ঢাকার পরিচালক, আল্লামা মুজিবুর রহমান, আল্লামা বুরহান উদ্দিন জালালাবাদী, চট্টগ্রাম জামিয়া দারুল মা'আরিফ আল-ইসলামিয়া,
মুহাদ্দিস আল্লামা মুফতি মাসুম বিল্লাহ কাসেমী, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া, পটিয়ার শিক্ষক
আল্লামা মুফতি বুরহান উদ্দিন,
জিরি আল-জামিয়াতুল আরবিয়্যাতুল ইসলামিয়ার মাও. মো. শোয়াইব ও আল্লামা মুফতি আবুল কাশেম আশরাফী।

সমাপনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন, চট্টগ্রাম জামেয়া দারুল মায়ারিফ আল ইসলামিয়ার নায়েবে মুদির আল্লামা ফুরকানুল্লাহ খলিল। তিনি বলেন, ইমাম মুসলিম ইসলামিক সেন্টার অজপাড়া গাঁয়ে একটি আলোক বর্তিকা। এটি এলাকাবাসীর জন্য একটি বড় নেয়ামত। তিনি এলাকাবাসীকে এজন্য শুকরিয়া আদায় করার আহবান জানান। তিনি ইমাম মুলিম ইসলামিক সেন্টারকে এখন থেকে 'জামেয়া ইমাম মুসলিম' লেখার জন্য প্রস্তাব করেন।

মাহফিলে দেশবরেণ্য অনেক আলেম ওলামা ও হাজারো দ্বীন দরদী মানুষ উপস্থিত ছিলেন। মাহফিলে এই প্রতিষ্ঠান থেকে হেপজ শেষ করা ২৫জন হাপেজে কুরআনকে দস্তারে ফজিলত বা পাগড়ি প্রদান করা হয়।



 

Show all comments
  • মো এহসানুল হক ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ৯:১৮ পিএম says : 0
    হেপজ, হাপেজে বানান দুটি ঠিক করে লিখুন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ