Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের লংমার্চ করতে দেয়নি পুলিশ

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ২৩ ডিসেম্বর বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা

| প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

হয়রানি ও গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা
স্টাফ রিপোর্টার : মিয়ানমার অভিমুখে পূর্ব ঘোষিত ইসলামী আন্দোলনের লংমার্চ শুরু করতে যাত্রাবাড়ীর কাজলায় গতকাল সকালে আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণকারীদের জমায়েত হতেই দেয়নি পুলিশ। লংমার্চ করতে না দেয়ায় ইসলামী আন্দোলন পল্টন এলাকায় প্রতিবাদ সমাবেশ করে আগামী ২৩ ডিসেম্বর জেলায় জেলায় প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ পুলিশ প্রশাসনের মৌখিক অনুমতি নিয়েই জাতীয় প্রেসক্লাবে’র লংমার্চ শুরুর স্থান নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু পুলিশের অনুরোধে লংমার্চ শুরুর জমায়েতের স্থান যাত্রাবাড়ী কাজলায় স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছিল। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত সেই মোতাবেক লংমার্চের প্রস্তুতি চলছিল। ঢাকা বিভাগসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের লংমার্চে অংশগ্রহণকারী অনেকেই তখন ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। অনেকেই ছিল পথে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে যখন লংমার্চ-এর জন্য জমায়েত হতে না দেয়ার খবর দেয়া হল, ততক্ষণে গভীররাত। ফলে এ বিষয়টি আগত কাউকেই অবগত করানো যায়নি। ফলে লংমার্চে অংশগ্রহণকারী শত শত বাস, পিকআপ, মাইক্রো, হাইয়েজে ঢাকায় উপস্থিত হয়েছে। লংমার্চ শুরুর পূর্বে সমাবেশ শুরু করার জন্য কাউকেই সুযোগ দেয়নি পুলিশ। এ পরিস্থিতিতে বেলা ১০টার পর সিদ্ধান্ত হয় পল্টন এলাকায়ে লংমার্চে বাধার প্রতিবাদে সমাবেশ হবে। এ খবর পেয়ে অংশগ্রহণকারীরা পল্টনের দিকে আসতে থাকে। দেখতে দেখতে পল্টন, দৈনিকবাংলা, জিপিও এলাকা লোকেলোকারণ্য হয়ে যায়। একদিকে লংমার্চ-এ অংশগ্রহণকারী মানুষের চাপ, অপরদিকে তাদের ব্যবহৃত যানবাহনের ফলে স্বাভাবিক চলাফেরা বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত। উল্লেখ্য কাজলা এলাকায় লংমার্চ পূর্ব সমাবেশে যোগদানের জন্য যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ পল্টন, কলাবাগান, যাত্রাবাড়ী থেকে প্রায় অর্ধশত কর্মীকে গ্রেফতার করে। লংমার্চে বাঁধার প্রতিবাদে পল্টনে সমাবেশের সিদ্ধান্ত হলে পল্টন এলাকায় হাজার হাজার নেতাকর্মী জমা হয়। ফলে দৈনিক বাংলা, পল্টন মোড়, জিপিও এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ই্উনুছ আহমাদ, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, কেএম আতিকুর রহমান, প্রচার সম্পাদক আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা নেছার উদ্দিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল শেখ ফজলে বারী মাসউদ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বায়তুল মোকাররম সড়কে ট্রাকের উপর থেকে সমাবেশের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন।
সমাবেশে শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, আপনার পরিবারের উপর নির্মমতার কারণে আপনি বক্তব্য দেয়ার সময় কাঁদেন। কিন্তু মিয়ানমারের হাজার হাজার মুসলমান নারী, শিশু, পুরুষকে ইতিহাসের সবচেয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে, আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এখন আপনার মন কি একটুও কাঁদে না? আশ্রিত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি আপনি সদয় হোন। পীর সাহেব চরমোনাই্ জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃত্বকে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
লংমার্চ বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, নব্য হিটলার অং সান সুচির হাত মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত। সুচির নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নিতে হবে।
নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, আমরা মুসলমান, রোহিঙ্গারাও মুসলমান। তাদের বসতভিটা আরাকান বাংলাদেশের অংশ। আরাকানকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে হবে।
অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেন, নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে দূর্বল মনে করলে ভুল হবে। অনুমতি দেয়ার পরও কোন শক্তির ইশারায় অনুমতি বাতিল করা হলো তা খুঁজে বের করতে হবে।



 

Show all comments
  • Abu Abdullah ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:৩৪ এএম says : 1
    ata akdom e thik hoy nai.
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াকুব ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৫:০১ এএম says : 0
    ami somirtho kori
    Total Reply(0) Reply
  • sofik ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৬:৩১ এএম says : 0
    sarkar ata balo korinay
    Total Reply(0) Reply
  • Dentalist Fajlul Karim ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৭:৫৬ এএম says : 1
    মিয়ানমার অভিমুখে ইসলামী আন্দোলনের লংমার্চ করতে দেয়নি পুলিশ News dear jonno thanks
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মুন্নাফ হোসেন ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:০৩ এএম says : 0
    নিন্দা জানাই
    Total Reply(0) Reply
  • Md al zihad ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:৩৮ এএম says : 0
    পত্রিকায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খবর দেয়ার জন্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply
  • এ কে মোক্তার হোসাইন ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ পিএম says : 0
    ........... সরকার আপনি ডরাইছেন চরমোনাই পীরকে তাই তার লংমার্চ কে বন্দ করে দিয়েছেন, আপনি ভুলে গেলে চলবে না এটা মুসলিম দেশ, আপনাকে এ জাতি ভয় পায়না, এক মাত্র আল্লাহ ছাড়া। আপনাকে নামানো হবে আজ হয়তো কাল আপেক্ষায় থাকেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahmudul hasan ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০৯ পিএম says : 1
    নিন্দা জানাই
    Total Reply(0) Reply
  • Sale ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:১৫ পিএম says : 0
    আপনার পরিবারের উপর নির্মমতার কারণে আপনি বক্তব্য দেয়ার সময় কাঁদেন। কিন্তু মিয়ানমারের হাজার হাজার মুসলমান নারী, শিশু, পুরুষকে ইতিহাসের সবচেয়ে পৈশাচিকভাবে হত্যা করা হচ্ছে, আগুনে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে, এখন আপনার মন কি একটুও কাঁদে না?
    Total Reply(0) Reply
  • Abdullah ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:২৩ পিএম says : 1
    আল্লাহ বিশ্ব মুসলিমদের হেফাজত করুন।আমিন।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ ওসমান গনি ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৯ পিএম says : 1
    লংমার্চ ছিল মিয়ারমার মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে,এটাতো সরকার বিরোধী আন্দোলন নয়,এটাতো ছিল মুসলমানের ঈমানী দায়ীত্ব,বাদা দেওয়া ঠিক হয়নি,এখানে সরকার বুল করেছে
    Total Reply(0) Reply
  • Md.Kaed sarder ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:০০ পিএম says : 1
    ইন্নালিল্লাহ... কোন দেশ যেখানে ৯২ ভাগ মুসলমান সেখানে ধর্মের কাজে বাধা? ধিক তারে শতধিক নিরলজজ যেজন ধামবেনা আনদোলন!
    Total Reply(0) Reply
  • masum billah ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:৪০ পিএম says : 1
    je kono kaj amader boro Ulamaderke sathe niye manoniyo prodhan montrir sathe boithok kore 1 ta samadhane powchano jete pare
    Total Reply(0) Reply
  • মুহাম্মাদ উল্লাহ ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৪:০১ পিএম says : 3
    সরকারের এহেন ভুমিকায় জালিমগোষ্ঠি খুশি হয়েছে। দেশের সমস্ত মুসলমান আঘাত পেয়েছে
    Total Reply(0) Reply
  • ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৬:৫৭ পিএম says : 0
    সরকার এটা ঠিক করেনাই এটা মুসলমানদের দেশ আল্লাহ তুমি এই সরকারকে হেদায়েত দান করো আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • shawrav ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৭:৩৩ পিএম says : 0
    Kub karap laglo
    Total Reply(0) Reply
  • mainuddin ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৮:৫৬ পিএম says : 0
    আল্লাহ সরকারকে হেদায়েত দান করূন।
    Total Reply(0) Reply
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৭:০০ এএম says : 0
    এটা করা ঠিক হইনি
    Total Reply(0) Reply
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:০৩ এএম says : 0
    সরকারের এরূপ করা উচিত হয় নি .তারপরেও মুসলমানের অানদোলন কোনো শকতি থামিয়ে রাখতে পারবে না.
    Total Reply(0) Reply
  • dilruba ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৬:২৮ পিএম says : 0
    Allah apni sobai ke hedaet dan korun
    Total Reply(0) Reply
  • ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৬:৪০ পিএম says : 0
    সরকারের নিষ্ঠুর আচরণে কেঁদেছে মানবতা, হেঁসেছে দানবতা ৷ উৎসাহ পেয়েছে সন্ত্রাস, মর্মাহত হয়েছে মানবসমাজ ৷
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ সাহ আলম ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৯:৩৯ এএম says : 0
    আমরা যেহতু মুসলিম তাই রোহিঙ্গাদের উপর যে পাশবিক অত্যাচার করে মা বোন মেয়ে কিছু বাদ রাখেনা পানিতে চুবিয়ে আগুনে পুরে যে ভাবে মুসলমানদেরকে মিয়ান মারের সেনাবাহিনিরা মারতাছে তার একটা বীহিত করা উচিত বলে আমার মনে কয় বিশ্বের সব মুসলিম জাতির একটু এই বিষয় ভাবা উচিত বলে আমার ধারনা। আমার জন্য যদি এক জন মুসলিম যাতি বাচে তাতো আমার চাওয়া উচিত বলে বললাম।
    Total Reply(0) Reply
  • abdul aziz ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১১:০৯ এএম says : 0
    লংমার্চ করতে না দিয়ে সরকার সরাসরি মসলমানদের বিরোদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • md mohiuddin ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১:০০ এএম says : 0
    আমরা আর কিছু পারি আর না পারি মুসলমানদের পখ্খে থেকে পুরতিবাত তো করেছি।ওদের সাথে তো থেকেছি
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ