আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক মামুনুর রশিদের গোল্ডেন ভিসা লাভ করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্ট লাইন যোদ্ধার দুঃসাহসিক অবদানের স্বীকৃতি

আরব আমিরাতে করোনাকালীন সময় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ, সতর্কতা, কর্মদক্ষতা, সাহসিকতা, মানবিকতা, মনোবল, দায়িত্ববোধ ও সততায়
গতকাল আরব আমিরাতের ৫১তম জাতীয় দিবসে আমিরাত প্রবাসী বাংলাদেশি আজাদ মিয়া প্রায় ২ হাজার দিরহাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৬০ হাজার টাকা) খরচ করেছেন ব্যতিক্রমী সাজে তার রিকশা সাজাতে। আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, আরব আমিরাতের সাবেক ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসকসহ বিভিন্ন প্রদেশের শাসকদের অনেকগুলো ছবি চমৎকারভাবে তার রিকশায় সাজিয়ে দেশটির আলআইন প্রদেশ থেকে গত বৃহস্পতিবার প্রায় ১৪০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে রাতে রাজধানী আবুধাবিতে পৌঁছেছেন। এরপর বিখ্যাত শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় শেষে মসজিদের পাশেই শায়িত আমিরাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের কবর জিয়ারত করে আবুধাবির বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় রাস্তায় তার অপূর্ব সাজের রিকশা চালিয়ে দেশটির জাতীয় দিবসকে স্বাগত জানিয়ে সবার নজর কাড়েন। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ আমিরাতের প্রতি তার ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ দেখে অবাক হন দেশটির নাগরিক, প্রশাসন ও ভিনদেশীরাও। এতে সম্মান বয়ে আনেন বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
আজাদ মিয়ার বাড়ি সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ জেলার সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে। দু’ছেলে এক মেয়ের জনক তিনি। তিনি প্রায় ৩১ বছর ধরে আছেন আমিরাতের গ্রীনসিটি আলআইনে। আরব আমিরাতের রূপকার সাবেক প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ও আমিরাত ভক্ত আজাদ মিয়া ইনকিলাবকে বলেন, আরব আমিরাতের প্রতি মমত্ববোধ ও কৃতজ্ঞতায় দেশটির ৫১তম জাতীয় দিবসকে স্বাগত জানিয়ে শ্রদ্ধা-সম্মান প্রদর্শনের জন্যই মূলতঃ ব্যতিক্রমী সাজে তার এ আয়োজন। উল্লেখ্য আজাদ মিয়া গত বছরও এভাবে দেশটির ৫০তম জাতীয় দিবসে সম্মান প্রদর্শন করেন।
প্রবাস জীবন বিভাগে সংবাদ পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।