Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাঠ্যপুস্তকে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী বিষয় মানুষ মেনে নেবে না

জাতীয় প্রেসক্লাবে মতবিনিময় সভায় হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা : নতুন কারিকুলামের বিতর্কিত বই শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের প্রত্যাখান কল্পিত, বিবর্তনবাদ, বেহায়াপ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

নতুন পাঠ্যপুস্তক থেকে নীতি-নৈতিকতা, ইসলামী আদর্শ বিবর্জিত কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কারিকুলাম বাদ দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহর সভাপতি হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী। তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ২০২৩ সালে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণিতে যে পাঠ্যপুস্তক আসছে তা নিয়ে দেশের সচেতন মহলে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ সকল পাঠ্যপুস্তকে ইসলামী বিশ্বাস, আদর্শ, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে পাশ কাটিয়ে ভিনদেশী কৃষ্টি-কালচার তুলে ধরা হয়েছে। এমনকি মিথ্যা, কল্পিত ও বিতর্কিত বিবর্তনবাদসহ কোরআন সুন্নাহ বিরোধী বহু বিষয় এগুলোতে সংযোজন করা হয়েছে। এগুলো পরিকল্পিতভাবে ইসলাম নিয়ে মহলবিশেষের সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্রের ফল। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় হিন্দুত্ববাদী এ সকল ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না। গতকাল সোমবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।

দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামা, ইসলামী চিন্তাবিদ ও মাদরাসা প্রধানদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে হযরত মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক পাঠ্যপুস্তক স্কুল ও মাদরাসায় মেনে নেয়া হবে না। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এ সকল পাঠ্যপুস্তক বেহায়াপনা, নির্লজ্জতা, নগ্ন মূর্তি, ভাস্কর্য ও নগ্ন ছবি দিয়ে ভরপুর। এতে নৈতিকতা শিক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই, নেই আগামী দিনের জন্য আদর্শ মানুষ গঠনের নির্দেশনা। এ সকল পাঠ্যপুস্তক নীতি-নৈতিকতা ও আদর্শবিবর্জিত খেল-তামাশায় মত্ত অযোগ্য, অদক্ষ একদল নাগরিক গঠন ছাড়া অন্য কোনো কাজে আসবে না। এমন পাঠ্যপুস্তক দেশে নতুন সঙ্কট সৃষ্টি করবে। নতুন প্রজন্ম এই পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষা গ্রহণ করলে দেশ আদর্শ মানুষ ও আদর্শ নেতৃত্ব শূন্য হবে। জাতির এ সঙ্কট মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

দেশের মাদরাসা শিক্ষার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর নানা উদ্যোগের চিত্র তুলে ধরে মাওলানা হুছামুদ্দীন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আরবী বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছিলেন। কুরআন সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন হবে না মর্মে অঙ্গীকার করেছিলেন। আরবী বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পূরণ হয়েছে। তার সাথে সাক্ষাৎ করে অনতিবিলম্বে আমরা পাঠ্যপুস্তক নিয়ে আমাদের দাবিগুলো পেশ করবো। আশা করি তিনি (প্রধানমন্ত্রী) আমাদের দাবি রক্ষা করবেন। এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান দাবি এ বইগুলো যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে না যায়। আমরা এগুলো দেখতে চাই না। এ বছর আমরা পুরাতন বইগুলো পড়াবো। দেশের মানুষ বিতর্কিত নতুন পাঠ্যপুস্তক গ্রহণ করবে না। এ দেশের মানুষ সন্তানদের পৌত্তলিকতা শিক্ষা দিতে চায় না। সকল মাদরাসা ও স্কুলে বিতর্কিত নতুন বইগুলো প্রত্যাখ্যানের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটিসহ সকলকে সজাগ ও সতর্ক হতে হবে। দাবী বাস্তবায়ন না হলে আমরা ঘরে বসে থাকবো না। ঈমান, ইসলাম রক্ষায় প্রয়োজনে আমরা জীবন বিলিয়ে দিতে প্রস্তুত আছি।

মাওলানা শাব্বীর আহমদ মোমতাজী বলেন, নতুন কারিকুলাম দেশের কোনো মুসলমানের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আগে মাদরাসা বোর্ডের উপর বইয়ের দায়িত্ব ছিল। পরবর্তীতে এনসিটিবিকে সাধারণ বইগুলোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন কর্মশালায় নতুন বইয়ের বিষয়ে আলিম-উলামা আপত্তি জানিয়েছেন। মাদরাসা সংশ্লিষ্টদের ধোঁকা দিয়ে এ বইগুলো করা হয়েছে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি যে, জনগণ এ ধরনের বই গ্রহণ করবে না। প্রধানমন্ত্রীর কাঠে স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করি তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

মাওলানা আ.খ.ম আবু বকর সিদ্দীক বলেন, বিভিন্ন কর্মশালায় আলেম-উলামার মতকে উপেক্ষা করে নতুন কারিকুলাম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করা হয়েছে। অথচ আমরা মাদরাসা শিক্ষার স্বকীয়তার কথা বলেছি, স্কুলের মতো ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছি। মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র কারিকুলামের রূপরেখাও শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়েছি। মাদরাসায় নাচ-গান প্রয়োজন নেই। তাই নতুন এ বইগুলো যেন এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে না যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা এ দাবি জানাচ্ছি। আমাদের সব হক্কানী দরবার এক হওয়া প্রয়োজন। কারণ আমরা ব্যক্তিস্বার্থে কথা বলছি না। ঈমানের জন্য, দ্বীন ও দেশের জন্য কথা বলছি। আমাদের গুনাহের কারণে, পর্দা রক্ষা না করা, সহশিক্ষা ইত্যাদির কারণে আমাদের উপর বিপদ আপতিত হচ্ছে কি না এ বিষয় চিন্তা করা দরকার। আমরা মহিলাদের শিক্ষার বিরুদ্ধে নই। মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র মহিলা মাদরাসা কিংবা আলাদা মহিলা শাখা করার দরকার। মহিলা মাদরাসায় শতভাগ মহিলা শিক্ষক নিয়োগ হবে। সহশিক্ষা থাকলে মাদরাসার রূহানিয়াত নষ্ট হবে, মাদরাসা স্বকীয়তা হারাবে।

ড. মাওলানা একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, নতুন কারিকুলামের বইগুলো শুধু মাদরাসায় নয় বরং ৯১ ভাগ মুসলমানের এ দেশে স্কুলেও চলতে পারে না। যারা এই বইগুলো করেছে তাদের পরিকল্পনায় এ দেশে সব থাকবে কিন্তু ইসলাম থাকবে না। এটি হতে দেয়া হবে না। মাদরাসা শিক্ষার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিক। তারপরও কারা মাদরাসা শিক্ষা ও ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করছে সরকারের প্রয়োজনেই তাদেরকে খুঁজে বের করতে হবে।

সভায় নতুন পাঠ্যপুস্তকের অসঙ্গতি নিয়ে একটি লিখিত বক্তব্য ও ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করা হয়। এতে ছয় দফা দাবি পেশ করা হয়। এগুলো হলো, ১.বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি ও বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামার সমন্বয়ে মাদরাসার জন্য অবশ্যই স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। অনতিবিলম্বে একটি সমন্বিত কমিটি গঠন করে এ কাজ শুরু করতে হবে। ২.প্রতিটি পুস্তক রচনায় মাদরাসা সংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামাকে কমিটিতে রাখতে হবে এবং বিষয় নির্বাচন ও কন্টেন্ট তৈরিতে তাদের অভিমতকে প্রাধান্য দিতে হবে। ৩.স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নতুন পাঠ্যপুস্তক রচনার পূর্ব পর্যন্ত বর্তমানে চলমান বই পাঠদান অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। ৪.সাধারণ শিক্ষায় দশটি বিষয়ে ১০০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাদরাসা শিক্ষার জন্য মাদরাসার মূল বিষয়সমূহ ঠিক রেখে সাধারণ বিষয়সমূহের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ১০০০ নম্বর নির্ধারণ করতে হবে। ৫.দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বিশ^াস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির আলোকে জাতীয় শিক্ষাক্রম, পাঠ্যসূচি ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও পরিমার্জন করতে হবে। বিশেষজ্ঞ আলিম-উলামার সমন্বয়ে এ কাজ সম্পাদন করতে হবে। এক্ষেত্রে ইসলামী বিশ^াস ও আদর্শবিরোধী এবং সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের জীবনাচারের সাথে সাংঘর্ষিক কোনো বিষয় যেন স্কুলের পাঠ্যপুস্তকেও না থকে সে বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। ৬.এসএসসি’র বোর্ড পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক হিসাবে অন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খানের পরিচালনায় মাদরাসার জন্য স্বতন্ত্র শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন এবং দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংখ্যাগরিষ্ট মানুষের বিশ্বাস, মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির আলোকে জাতীয় পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের মহাসচিব মাওলানা শাব্বির আহমদ মোমতাজী, ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদরাসা চাঁদপুর এর প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা এ কে এম মাহবুবুর রহমান, ঢাকা দারুন নাজাত সিদ্দিকিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আ খ ম আবু বকর সিদ্দীক, করুণা মোকামিয়া কামিল মাদরাসা বরগুনার প্রিন্সিপাল মাওলানা শাহ মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস, ঢাকা নয়াটোলা এ.ইউ কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল হক, ঢাকা গাউছিয়া ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ ইজহারুল হক, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের মহাাসচিব অধ্যাপক আব্দুর রহমান ও বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান আহমদ।

সংগঠনের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা এ কে এম মনোওর আলী ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা মঈনুল ইসলাম পারভেজের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে সূচিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহাখালী হোসাইনিয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল ড. মাওলানা নজরুল ইসলাম খান আল মারুফ, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ এর সহ সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা ছরওয়ারে জাহান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ হাসান চৌধুরী ফুলতলী, মাহমুদা খাতুন মহিলা কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা বদিউল আলম সরকার, ঢাকা সাহেব আলী আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবু জাফর মুহাম্মদ সাদেক হাসান, মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শামসুল ইসলাম, নয়াটুলা এ.ইউ কামিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শাব্বির আহমদ, সিলেট হযরত শাহজালাল দারুচ্ছুন্নাহ ইয়াাকুবিয়া কামিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ ছালেহ মুহাম্মদ কুতবুল আলম, ঢাকা গাউসিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আ.ন.ম মাহবুবুর রহমান, বুরাইয়া কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুছ ছালাম, ছাতক জালালিয়া আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল আহাদ, রাখালগঞ্জ সিনিয়র মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শেহাব উদ্দিন আলিপুরী, এলাহাবাদ আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবূ তাহির মুহাম্মদ হুসাইন, কুলাউড়া রবির বাজার আলিম মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল জব্বার, ঢাকা গাউসিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আখতার ফারুক, দুর্বাটি কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. মাওলানা মোরশেদ আলম ছালেহী, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ জামী, মাওলানা কবি আবূ জাফর ছালেহী, আনজুমানে আল-ইসলাহর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাওলানা আজির উদ্দিন পাশা, অফিস সম্পাদক মাওলানা আতাউর রহমান, মাসিক পরওয়ানার সম্পাদক মাওলানা রেদওয়ান আহমদ চৌধুরী ফুলতলী, জকিগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, তালামীযে ইসলামিয়ার সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাবেক সহ সভাপতি মাওলানা মুহিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল করিম মহসিন প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আনজুমানে আল আল ইসলাহর কেন্দ্রীয় সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা কাজী এম হাসান আলী, কেন্দ্রীয় সদস্য মাওলানা মকবুল হোসাইন খান, মাওলানা মুজিবুর রহমান মাদানী, হাফিয আব্দুল ওয়াহাব, সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা তাজুল ইসলাম আলফাজ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মাহবুবুর রহমান তাজুল, ঢাকা মহানগরী সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক মাওলানা শাহিদ আহমদ, তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আল জামিল, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এস এম মনোয়ার হোসেন, সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক কবির আহমদ, স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক রেদওয়ান রাশেদ, সহ-স্কুল ও কলেজ বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান সাকের, সৈয়দ মাজহার আহমদ রাহাত, সদস্য শেখ কাদের আল হাসান, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. ইমাদ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান বাপ্পি, হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি সাদেক রহমান, সিলেট মহানগরী সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজু, সিলেট পূর্ব জেলা সাধারণ সম্পাদক কুতুব আল ফরহাদ, কিশোরগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফুল হুসাইন, নারায়নগঞ্জ জেলা সভাপতি কামিল হোসাইন প্রমুখ।###



 

Show all comments
  • ছৈয়দুল মোস্তফা ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
    জরুরী ব্যবস্তা নিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • ছৈয়দুল মোস্তফা ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:১২ এএম says : 0
    জরুরী ব্যবস্তা নিতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • Jamal Hossain Mizi ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩১ এএম says : 0
    মাদরাসার পাঠ্য পুস্তকে ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির যে সমস্ত বই স্কুল ও মাদরাসার বাধ্যতামূলকভাবে পড়ানোর জন্য এনসিটিবি নির্দেশনা জারি করেছে তা ধর্মপ্রাণ মুসুলমানদের মর্মাহত এবং তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে শঙ্কিত করে তুলেছে। ওইসব বইয়ে কুরআন, সুন্নাহ, সাহাবায়েকেরাম, আহলে বাইত, মুসলিম মনিষী, বিজ্ঞানী, কবি, সাহিত্যিকদের বাণী, উদ্বৃতি, নীতি-নৈতিকতা সৃষ্টিকারী কোন বিষয় স্থান পায়নি। উপরন্ত বিজ্ঞান বইয়ে উলঙ্গ নারী-পুরুষের ছবি, ছেলেমেয়েদের বিভিন্ন অঙ্গের বর্ণনা দিয়ে শিক্ষার্থীদের ঈমান হারা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে যা ইউরোপীয় সংস্কৃতির অংশ বিশেষ। তাছাড়া সামগ্রিক বিবেচনায় ৯১% মুসলমানের দেশে পাশ্চাত্য ও দেব-দেবীর বিশ্বাস ও তাদের আরাধনার শিক্ষা সংস্কৃতির আদলে তৈরী বইগুলো স্কুলের জন্যও উপযোগী নয়। মাদরাসায় এ সব বই পাঠ্যপুস্তক হিসেবে গ্রহণ ও ব্যবহার করা সম্ভব নয়
    Total Reply(0) Reply
  • Anwarul Haque ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩১ এএম says : 0
    এই দাবি যৌক্তিক। মানতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahdi Hassan ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    পরিকল্পিত ভাবে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Samir Islam ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    মাগো ওরা বলে শিক্ষা থেকে ইসলাম বাদ দিয়ে দিবে???? খুব হাস্যকর মাগো খুবই হাস্যকর! ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা যায় দীর্ঘস্হায়ী সফলতা আশা করা যায়না।কারণ সৃষ্টিকর্তার মনোনীত একমাএ ধর্মইতো "ইসলাম"
    Total Reply(0) Reply
  • Abdur Razzak ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পূর্ণ সমর্থন করছি এবং সকল দাবি পুরনের জন্য আহবান জানাচ্ছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Ulama Forum ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    100% Right. It is the demand of all muslims,who belive the rule of almighty Allah should be maintained in every sphere of life.
    Total Reply(0) Reply
  • Jalal Hosen ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩২ এএম says : 0
    ৯১ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এই বাংলাদেশে কুরআন-সুন্নাহ ও মুসলিম ঐতিহ্য-কৃষ্টি লালিত সংস্কৃতির সাথে সমন্বয় করে একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রণয়ন করা হবে এটা দেশের আলেম ওলামাদের প্রত্যাশা
    Total Reply(0) Reply
  • kamal ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    আঞ্জুমানে আল ইসলাহের এই দাবী মানতে হবে। মানতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Parves Hossain ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
    Total Reply(0) Reply
  • touhid ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    মাদ্রাসা শিক্ষাকে ধংস করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পরিকল্পিতভাবে দাদাদের চর বসে রয়েছে। বোর্ডেও রয়েছে। এদের হাত থেকে মাদ্রাসা শিক্ষা বাঁচাতে জমিয়াতুল মোদারেসিনের কঠোর কর্মসূচী চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Yeasin Arafat ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৩ এএম says : 0
    শিক্ষামন্ত্রনালয় কর্তৃক প্রণীত ২০২৩ সালের পাঠ্যসূচিতে ইসলামী ঐতিহ্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিরোধী এবং নাস্তিক্যবাদী বই প্রনয়ন করা হয়েছে, যা আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতি ও নাস্তিক্যবাদী বানানোর অপচেষ্টায় শুধু নয়, বরং তা ঈমানের সাথে সাংঘর্ষিক এবং ইমানে আঘাত করার শামিল।
    Total Reply(0) Reply
  • আব্দুল মোকাররম ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
    It's a great sorrow and mystery because what has happened with the madrasa education during this period of a l government. Deeply shocked to hear what they have planned to execute and destroy the madrasa education system like general education as well. I aaj the government to fulfill all the demands immediately or else face the consequences.
    Total Reply(0) Reply
  • Rezaul ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৪ এএম says : 0
    বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে নাস্তিকরা না সরলে এ ব্যাপারে সমাধান কার্যকর হবে না
    Total Reply(0) Reply
  • Kobitar Khata ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    /আমার মনে হয় বাংলাদেশ বিনাশী কোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্র জাতীর শিক্ষার মেরুদণ্ড ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই শিক্ষায় এমন গোঁজামিল করছে ।সরকার এখানে ক্রিড়ানক মাত্র
    Total Reply(0) Reply
  • imam ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    আল ইসলাহের এই দাবী দেশের ১৬ কোটি মানুষের দাবী। এ দাবী না মানলে সরকারকে আগামী নির্বাচনে কড়া মূল্য দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • বিপ্লব উদ্দিন ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮:৩৫ এএম says : 0
    ২০২৩ সালের পাঠ্যসূচি অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করি
    Total Reply(0) Reply
  • Mijan ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০:১৭ এএম says : 0
    এই দাবি ১৬ কোটি মুসলমানের। সুতরাং এই দাবি মানতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুছামুদ্দীন চৌধুরী ফুলতলী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ