Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পিটার হাসের নিরাপত্তায় ঘাটতি ছিল না

সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:৫৪ এএম

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্ত যে প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে বিট পুলিশ রয়েছে। খবর শোনার পর স্থানীয় থানার ওসি ড্রেস না পরেই সেখানে দৌড়ে গিয়েছেন। গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সমন্বয়, ব্যবস্থাপনা ও আইনশৃংখলা সম্পর্কিত জাতীয় কমিটির ষষ্ঠ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সভায় দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুল হকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত যে একটি বাড়িতে গিয়েছিলেন, সেই তথ্য কীভাবে ফাঁস হলো আমরা জানি না। তার অফিস থেকেও ফাঁস হতে পারে। সেখানে কীভাবে খবর পেয়ে কিছু লোক তাদের একটা দাবি নিয়ে গিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের আমলে কিছু লোককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা ও ফাঁসি দেওয়ার বিষয়ে তারা জানাতে গিয়েছিলেন বলে শুনেছি।

বল প্রয়োগে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর ভেতরে ও বাইরে যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে, সেগুলো যাতে আর না ঘটে সেজন্য আমরা গোয়েন্দাদের নজরদারি বাড়াতে বলেছি। এছাড়া সেখানকার ক্যাম্পগুলোকে কেন্দ্র করে যে অপরাধীদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে সেগুলো নজরদারি করার জন্য আমরা একটা কমিটি করে দিয়েছি। সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য ইতোমধ্যে ক্যাম্পগুলোতে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের নেতা, যাদের মাঝি বলা হয়; তাদের অনেককে হত্যার দৃশ্য আমরা ইতোমধ্যে দেখেছি। এ বিষয়ে আমাদের আইনশৃংখলা বাহিনীগুলোকে আরো সতর্ক অবস্থানে থাকার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পগুলোর চারপাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণের জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, সেটারও ৯৯ ভাগ কাজ শেষ হয়ে গেছে। শুধু মনিটরিংয়ের জন্য যে ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে, সেগুলোর মনিটরিং রুমের কাজ বাকি রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য সেখানে একটি হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ চলছে। রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম ছাড়াও বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাজ চলমান রয়েছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ অন্যান্য মন্ত্রণালয় তাদের নিয়ে কাজ করছেন। রোহিঙ্গাদের কর্মক্ষম করে তুলতে ব্র্যাকসহ অনেক এনজিও কাজ করছে।

রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ আমরা সবাই কাজ করছি। যাতে তারা দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যেতে পারে। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটি দেশ অল্প কয়েকজনকে তাদের দেশে নিয়েছে। যা একেবারেই হাতেগোনা (সংখ্যায় কম)। আমরা সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি, রোহিঙ্গাদের হারানোর আর কিছু বাকি নেই। সেজন্য ষড়যন্ত্রকারীদের যেকোনও খপ্পরে তারা পড়তে পারে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমসহ যেকোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়তে পারে। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ