Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারের কাচিন ও শান রাজ্যে চলছে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন

| প্রকাশের সময় : ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের পাশাপাশি অন্য সংখ্যালঘু ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর নির্যাতন চলছে। দেশটির উত্তরাঞ্চলে কাচিন ও শান রাজ্যে বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ চলছে। সেনাবাহিনীর নির্যাতনে সীমান্তবর্তী কয়েকটি প্রদেশের প্রায় কয়েক হাজার মানুষ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে চীনে। জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা সমন্বয় বিষয়ক অফিসের (ওসিএইচএ) মুখপাত্র পিয়েরে পারোন এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে (রাখাইন রাজ্যে) দু’মাসেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলোর কাজে বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে। সেখানে সরকারি বাহিনী শুরু করেছে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা শান রাজ্যে অভিযান আরও জোরদার করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, গত এক মাসে শান রাজ্যে কমপক্ষে ১৭০ বার সশস্ত্র গ্রুপগুলোর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে সরকারি বাহিনী।
ওসিএইচএ বলেছে, ২০ নভেম্বর থেকে শান রাজ্যের উত্তরাঞ্চল থেকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ শরণার্থী হয়েছে। এর বাইরে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২৪০০ মানুষ। কাচিন ও শান রাজ্যে লড়াইরত এলাকায় ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানো খারাপ থেকে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ২০ নভেম্বর সেনাবাহিনী ও পুলিশি পোস্টের ওপর হামলা চালায় চারটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপের জোট। তারপর থেকেই ওই এলাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্ত বাণিজ্য বিঘিœত হচ্ছে। নিজেদের ভূখ-ের ভেতর গোলা ও বুলেট পড়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের উত্তরের সীমান্ত পাহাড়ময়। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে চলা এই লড়াই এখন নতুন করে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এর ফলে যে পরিমাণ মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে তাতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুচি তার প্রশাসন শুরু করার সময় শান্তি প্রতিষ্ঠাকে প্রধান অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। পর্যবেক্ষকদের আশঙ্কা অং সান সুচির বেসামরিক প্রশাসন সেনাবাহিনীকে টপকে কিছু করতে সক্ষম হচ্ছে না। কারণ সেনাবাহিনী কৌশলে রাজনৈতিক ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। বেসামরিক সরকার কী করছে তাতে তাদের পাখির চোখের মতো দৃষ্টি রয়েছে। পিয়েরে পারোন বলেছেন, কাচিন ও শান রাজ্যে লড়াইরত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এখন গত কয়েক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন পর্যায়ে রয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষের কাভে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছাতে পারছে না মানবিক সংগঠনগুলো। বিবিসি,



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ