পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভোটাররা
মোঃ হাফিজুর রহমান মিন্টু, নারায়ণগঞ্জ থেকে : আজ দেশে এই প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে নাসিক নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়াকে কেন্দ্র করে দলীয় প্রতীকপ্রেমি ভোটারদের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে, নগরবাসীর মাঝে মেয়র প্রার্থীদের নিয়ে শঙ্কা না থাকলেও কাউন্সিলর প্রার্থীরা তাদের শঙ্কার কারণ হয়ে উঠেছে।
অপরদিকে সিটি করপোরেশন স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এই প্রথম দলীয় প্রতীকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জাতীয় নির্বাচনের প্রভাব এখানে স্পষ্ট আর এ নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নিজেদের মর্যাদার ‘লড়াই’ হিসেবেই নিয়েছে। এর মধ্যে, খালেদা জিয়া নেতাকর্মীদের কঠোর নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, ‘‘ধানের শীষ” প্রতীকের জয় নিশ্চিত করে ফিরে এসো’’। অপরদিকে ক্ষমতাসীন দলের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ‘নৌকা’র জয় নিশ্চিত’ করার জন্য নেতাকর্মীদেরকে কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
নির্বাচনে ৭ জন মেয়র প্রার্থী অংশ নিলেও এলডিপির কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াতকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মাঠে রয়েছেন ৫ জন মেয়র প্রার্থী। এর মধ্যে মূল লড়াইটা হচ্ছে ‘নৌকা’ প্রতীকের সেলিনা হায়াৎ আইভীর সঙ্গে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী সাখাওয়াতের। এ মর্যাদার লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপি উভয় দলই জয় নিয়ে আশাবাদী।
আর এই জয়-পরাজয়ের হিসাব নিয়ে নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশবাসীর দৃষ্টি এখন নাসিক নির্বাচনের দিকে। আজ (বৃহস্পতিবার) নারায়ণগঞ্জ সিটির বাসিন্দারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত করবেন তাদের নগরপিতা। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ১৭৪টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৩০৪টি ভোটকক্ষে ভোট গ্রহণ করা হবে। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। ভোট গ্রহণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে চার হাজারের বেশি নির্বাচন কর্মকর্তা। কাজী রকিবউদ্দিন আহমদের নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের বিদায় বেলার নির্বাচন হিসাবে নাসিকের ভোট শেষ ভালোর নজির স্থাপনের চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন দেশবাসী।
ভোট সুষ্ঠু হবে তো? এমন প্রশ্ন না. গঞ্জের ভোটার ও পর্যবেক্ষকদের মনে রয়েই গেছে। এ যাবৎ ভোটের চূড়ান্ত সময় পর্যন্ত পরিবেশ-পরিস্থিতি ভালোর মধ্য দিয়েই এগিয়েছে। তারপরও ভোটের দিন এই পরিবেশ কতটা বজায় থাকবে, একটা শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সুষ্ঠু ভোটে একেবারেই নিশ্চিত হতে পারছেন না ভোটাররা।
নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার প্রচারণার শেষ দিনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আইভী বলেন, আর কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ শুনব না। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও করব না। আমিও চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক। ভোটাররা যাতে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে সেজন্য সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা করতে হবে। যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছে সেটা এখন ভোটকেন্দ্রে গিয়েই থামবে। মানুষ এখন ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। ভোটারদের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ চাই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চাই।’
অপরদিকে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, ‘মানুষ ধানের শীষে ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে আছে। লোকজন ধানের শীষকেই ভোটে পাস করাবে। কিন্তু এটা বুঝতে পেরেই সরকার ষড়যন্ত্র করছে। যে কারণে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বারবার সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন সেটি করেনি। নির্বাচনের দিন যদি কোনো সহিংসতা হয় তার দায় নির্বাচন কমিশনকেই নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ভোট নিয়ে শঙ্কায় আমি। নির্বাচনের শুরু থেকেই আমি সেনাবাহিনী মোতায়েন চেয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেটা করেনি। এ কারণে সাধারণ ভোটাররাও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে। আর সরকারও চাচ্ছে না সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হোক। সরকারের অবস্থান নির্বাচনের দিন সকালেই বোঝা যাবে। তারপরও আমি চাই সুষ্ঠু ভোট হোক।’
গত মঙ্গলবার উভয় দলের নেতারাই নিজ প্রার্থীর জয়ের প্রত্যাশা করেছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টুইটে সাখাওয়াত হোসেন খানের ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। আগের দিনও বিবৃতিতে ভোটারদের প্রতি নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
অপরদিকে গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তিন কারণে নৌকা মার্কার প্রার্থী বিজয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ইলেকশন ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার হলে নৌকাই বিজয়ী হবে, ইনশাআল্লাহ। এখানে আমাদের তিনটি বিষয় রয়েছে তা হলো আমাদের প্রার্থী জনপ্রিয়, দ্বিতীয়ত সেখানে শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের জোয়ার আছে আর আমাদের সাংগঠনিক শক্তি। এ তিনটির সমন্বয়ে নৌকার পাল্লাটাই ভারি, সেটা আমার মনে হয় সবাই স্বীকার করবে। আমাদের দল একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে। এটাই আমরা চাই। এটাই আমাদের নেত্রীর নির্দেশ।’
নাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং বিএনপির অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ছাড়াও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন ও ইসলামী ঐক্যজোট মনোনীত প্রার্থীও মেয়র পদে ভোট লড়াইয়ে শামিল হয়েছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পাটির প্রার্থী।
২৭ ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ সিটিতে ৩৮ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর ও ১৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। গত ৫ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর থেকে আনুষ্ঠানিক গণসংযোগে শুরু হয়। আশার কথা, তফসিল ঘোষণা থেকে গতকাল পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এদিকে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। নির্বাচনী এলাকায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির প্রায় দশ হাজার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। ভোট উপলক্ষে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী এলাকায় সরকারি ছুটি।
কে কোথায় ভোট দিবেন
এবারের নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি এদিন এই ওয়ার্ডের শিশুবাগ স্কুলে সকাল সাড়ে ৯টায় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী অ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খান নগরীর ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি এদিন আদর্শ হাইস্কুল কেন্দ্রে সকাল ৯টায় নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. তৈমূর আলম খন্দকার ১৩ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি সকাল ৮টায় ইসলামীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এছাড়া বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াসউদ্দিন ৫ নং ওয়ার্ডের ভোটার। তিনি রেবতী মহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট সাকল সাড়ে ৮টার সময় ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল ১২নং ওয়ার্ডে ফিলোসফিয়া স্কুলে সকাল ৮টায় ভোট প্রদান করবেন।
অপরদিকে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য কোথায় ভোট দিবেন তা জানতে চাইলে তিনি এ ব্যাপারে কিছু না জানিয়ে বলেছেন, কাল বলবো কোথায় ভোট দেব। এদিকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ১৪নং ওয়ার্ডে পানি ট্যাঙ্কি কেন্দ্রে ভোট প্রদান করবেন। এছাড়া জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কাদির ১৭ নং ওয়ার্ডে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
ইসির আন্তরিক ভূমিকা কামনা
মুফতী মাছুম বিল্লাহ
পীর সাহেব চরমোনাই মনোনীত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, আমি গত ৬ ডিসেম্বর, থেকে ২০ ডিসেম্বর, পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে হাতপাখা মার্কা নিয়ে প্রত্যেক ভোটারের দ্বারে দ্বারে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। জনমনে একটাই প্রশ্ন ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তো? আমরা আমাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবো তো? আমি ইসিকে অনুরোধ করবো আপনি যদি আন্তরিক হন তাহলে আপনার শেষ নির্বাচন হিসেবে নাসিক নির্বাচন ইতিহাস হয়ে থাকবে।
কাউন্সিলর প্রার্থীর আস্তানায় পুলিশের অভিযান
এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসন ১ (ওয়ার্ড ১. ২ ও ৩) এর নারী কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমা বেগমের মাদকের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের মুক্তিনগরে এ অভিযান চালায় এপিবিএন পুলিশ। এ সময় নাজমার দুই মাদক বিক্রেতা বাবু (২০) ও রবিন (২২) কে ৩০পিস্ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরো কয়েক মাদক বিক্রেতা পালিয়ে যায়।
এদিকে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে জানায়, ওই ইয়াবাগুলো কাউন্সিলর প্রার্থী নাজমার। তার ছেলে রাজু এগুলো তাদের দিয়ে বিক্রি করায়। গ্রেপ্তারকৃত বাবু জেলার বাগমারা এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে ও রবিন মুক্তি নগর এলাকার আব্দুলের ছেলে। অভিযান পরিচালনা করেন এপিবিএন পুলিশের ইন্সপেক্টর কবির।
বাড়িতে বসেই খোঁজখবর নিলেন আইভী
নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী প্রচারণা বন্ধ থাকায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভী নিজ বাসায় বসে খোঁজখবর নিয়েছেন। বুধবার তিনি সারাদিন বাসা থেকে বের হননি। সকাল থেকেই দেওভোগের আলী আহামাদ চুনকা সড়কের ১৭৯/২ নম্বর বাড়ির তিনতলায় অবস্থান করছেন তিনি। বেলা সাড়ে ১১টার পর কিছু সময়ের জন্য তিনি বাসার তিনতলা থেকে নিচতলায় নেমে আসেন। এ সময় বাড়ির সামনে খোলা জায়গায় দলীয় নেতাকর্মীরা দেখা করতে এলেও তিনি সবাইকে সময় দেননি।
এদিকে পুলিশ এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের তার বাড়ি এবং তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে। যদিও আগে থেকে তার বাড়িতে পুলিশের একটি ছোট ক্যাম্প আছে। এর বাইরে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাড়তি পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। সকাল থেকেই দারোয়ান ভবনে কাউকে প্রবেশের অনুমতি দিচ্ছেন না। তবে ঘনিষ্ঠরা আলোচনা সাপেক্ষে আইভীর সঙ্গে দেখা করছেন।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ভবনের নিচতলার পেছনের দিকে নেমে আসেন আইভী। সেখান থেকেই নেতাকর্মীদের সালামের জবাব দিচ্ছেন। এ সময় নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কেন্দ্রে দলীয় এজেন্টদের তালিকা আইভীকে দেখিয়ে অনুমোদন নিয়ে যাচ্ছেন। পরে বেলা ১টার পর আইভী আবারও ভবনের তিনতলায় নিজ কক্ষে চলে যান।
সকালে পরিস্থিতি বোঝা যাবে : সাখাওয়াত
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ এখনও সুষ্ঠু ও ভালো আছে। তবে প্রশাসন ও সরকারের ওপর নির্ভর করছে বৃহস্পতিবার সকালের পরিবেশ কেমন থাকে।’ বুধবার বিকালে মুঠোফোনে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় সাখাওয়াত এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত নির্বাচনগুলোয় নারায়ণগঞ্জের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমি না, সবাই চাচ্ছে অন্তত বৃহস্পতিবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যেন মানুষ ভোট দিতে পারে। সুষ্ঠুভাবে ভোট হলে আমি নিশ্চিত ধানের শীষের জয় ঘটবে।’
বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘অনেকে এখনও শঙ্কা প্রকাশ করছেন ভোট দিতে পারবে কিনা। সব কর্মীকে আমরা নির্দেশ দিয়েছি যেন তারা মানুষকে ভোট দেয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত করেন। সব এজেন্টকে আমাদের দলের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে যেন কোনোভাবেই ভয়ভীতির বশবর্তী হয়ে কেন্দ্র ছেড়ে না যায়।’
সাখাওয়াত বুধবার সকাল থেকে শহরের ঐতিহ্যবাহী বোসকেবিনে নাস্তা সেরে শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে যান। পরে সেখান থেকে আসেন শহরের শায়েস্তা খান সড়কে বিএনপির মিডিয়া সেলে। বিকালে সেখানেই ছিলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।