Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে-রাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

পঞ্চগড় জেলা ও তেঁতুলিয়া উপজেলা সংবাদদাতা : পঞ্চগড়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে লোক পারাপারের জন্য বহু প্রতীক্ষিত ইমিগ্রেশন চালু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী (ভারত) ইমিগ্রেশনের শুভ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জেনারেল (অব.) বিজয় কুমার সিং। এ সময় ভারতের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বেশ কিছু উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি সীমান্ত ক্রসিং পয়েন্টে ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট উদ্বোধনের পরই এই সীমান্তপথ দিয়ে মানুষ গমনাগমন করে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম দেশ, বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় সেই সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের পথে।
তিনি বলেন, ভারত স্বাধীনতার সময় এ দেশের মানুষের পাশে ছিল। ভারত স্বাধীনতার সময় যে ভাবে সহযোগিতা করেছে তা কখনও ভুলবো না। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উল্লেখ করে বলেন, এই দু’জনের মধ্যেকার সম্পর্ক আজ সেতুবন্ধনের দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন থাকবেন ততদিন ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে। তিনি বলেন, আজ ঐতিহাসিক দিন ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তর উত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে পঞ্চগড়-১ আসনের এমপি নাজমুল হক প্রধান, পঞ্চগড়-২ আসনের এমপি নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহম্মদ, রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি ছাড়াও স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে দীর্ঘ প্রত্যাশিত বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর খবর পেয়ে লাখো মানুষের ভিড় জমে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই মানুষের ভিড় জমতে থাকে।
১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তির আওতায় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ সরকারের তৎকালীন ও বর্তমান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও নেপালের তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী চক্র প্রসাদ বাসতুলা আনুষ্ঠানিকভাবে এর শুভ উদ্বোধন করেন।
নেপালের সাথে বাণিজ্য কার্যক্রম চলতে থাকলেও ভুটানের সাথে অদ্যাবধি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু হয়নি।
তারা এ বন্দর দিয়ে দুই দেশের বিভিন্ন পণ্য ব্যাপকভাবে আমদানি ও রফতানীর সুযোগসহ পরবর্তী ৩ মাসের মধ্যে ইমিগ্রেশনসহ পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর হিসেবে চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিন মাসের প্রতিশ্রæতির ৭০ মাস পর অবশেষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালু হয়েছে।
প্রথম দিনই পঞ্চগড় প্রেসক্লাবের সভাপতি এ রহমান মুকুল ও সাধারণ সম্পাদক সফিকুল আলম সফিক এর নেতৃত্বে ৩২ জন লোক পারাপারের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনের উদ্বোধন করেন।
পঞ্চগড় জেলা আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও পঞ্চগড় চেম্বারের নব নির্বাচিত পরিচালক মেহেদি হাসান খান বাবলা বলেন, খবরটি আমাদের জন্য খুবই আনন্দের। এই সুখবরটির জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হল ১৮ বছর। পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে লোক পারাপারের জন্য ইমিগ্রেশন চালু করতে অনেক দেন-দরবার করতে হয়েছে।
অনেক দিন ধরেই ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়টি নিশ্চিত হলেও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
বাংলাবান্ধায় ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় পঞ্চগড়বাসীর দীর্ঘদিনের একটি দাবি পূরণ হল।
তিনি আরো বলেন, এর আগে পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলার মানুষরা ভারতে যাওয়ার জন্য লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর ব্যবহার করত। বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ির যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হওয়ায় এখন সবাই বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ব্যবহার করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাবান্ধা ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক আরো সমৃদ্ধ হবে-রাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ