Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বাংলাদেশের শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

| প্রকাশের সময় : ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নিউইয়র্ক থেকে এনা : প্রতিবছরের মত এবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবনা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গত শুক্রবার সাধারণ পরিষদের এক সভায় উপস্থিত সকল সদস্য রাষ্ট্রের সমর্থনে এই প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রস্তাবটি সকল কো-স্পন্সর দেশের পক্ষ থেকে উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাব উপস্থাপনকালে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, মানুষের জন্য স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য ধর্ম,  বর্ণ, জাতি ও গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বাড়াতে হবে। শিক্ষার প্রসার এবং একদর্শী চিন্তাধারার পরিবর্তন করে মানুষের সামগ্রিক উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার দেশে শান্তির সংস্কৃতি বিকাশে বদ্ধপরিকর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রদত্ত শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থান, সামাজিক ন্যায়বিচার, দারিদ্র্য, ক্ষুধা, বঞ্চনা ও আগ্রাসনমুক্ত একটি বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, জাতীয়ভাবে এ লক্ষ্য অর্জনে সরকার সন্ত্রাস ও উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে।
উল্লেখ্য, “শান্তির সংস্কৃতি” প্রস্তাবটি ১৯৯৭ সালে প্রথম উপস্থাপিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে “শান্তির সংস্কৃতি দশক” বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়। ২০০১ থেকে প্রতি বছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এ প্রস্তাবটি উপস্থাপন করে আসছে এবং তা প্রতিবছরই সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। এই প্রস্তাবের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে - অসহিষ্ণুতা ও ঘৃণা সমাজ থেকে দূরীভূত হলে বিশ্বে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। এবারের প্রস্তাবে যুব শক্তি ও নারীর জন্য কর্ম প্রক্রিয়ার ভূমিকাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বে মমত্ববোধ বাড়বে। মানুষে মানুষে হিংসা-বিদ্বেষ এবং যুদ্ধবিগ্রহ হ্রাস পাবে। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালবাসা দৃঢ় হবে। যা সব দেশ ও বিশ্বের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে।
সাধারণ পরিষদের সভাপতি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবনায় জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক জঙ্গী আক্রমণ ও অসহিষ্ণুতা মোকাবেলায় শান্তির সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। বিশ্ব ব্যবস্থায় নানামুখী টানাপোড়েন সত্ত্বেও এবছরের প্রস্তাবে বিপুল সমর্থন এটাই প্রমাণ করে যে বাংলাদেশের প্রস্তাবনার প্রতি বিশ্ববাসীর গভীর আস্থা অটুট আছে এবং বিশ্ব উন্নয়নে সকল মানুষকে সম্পৃক্ত করার জন্য শান্তির সংস্কৃতির বিকল্প নেই।
উল্লেখ্য, এ বছর ইউরোপীয় অনেক দেশসহ সবকটি মহাদেশের ১০০ এর অধিক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাবের কো-স্পন্সর করেছে। ২০টি দেশের প্রতিনিধি এই প্রস্তাবের উপর বক্তব্য দিয়েছেন। সকলেই প্রস্তাব বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ