Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পাঞ্জাবের পর খাইবার প্রাদেশিক পরিষদও ভেঙে দিলেন ইমরান খান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:২৯ পিএম

পাকিস্তানে আগাম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফেডারেল সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে নির্ধারিত সময়ের আগেই পাঞ্জাবের প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্তির পর এবার খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক পরিষদও ভেঙে দিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের কথা উঠতেই পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পদত্যাগের নয় মাস পর বিরোধীদল পিটিআইর ৩৫ জন এমপির আসন শূন্য ঘোষণা করেছে। পাল্টা পদক্ষেপে সরকারকে আগাম নির্বাচনে বাধ্য করতে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত করেছে পিটিআই। খাইবার পাখতুনখোয়ার গভর্নর হাজী গুলাম আলী বুধবার সকালে প্রাদেশিক পরিষদ বিলুপ্ত ঘোষণা করে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর নাম প্রস্তাবের জন্য পিটিআই নেতা মাহমুদ খান ও বিরোধী দল জেইউআই-এফ নেতা আকরাম খান দুররানির কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন।

গভর্নরের চিঠিতে খাইবার প্রাদেশিক পরিষদে প্রধান সংখ্যাগরিষ্ঠ দল পিটিআই ও দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল জেআইআই-এফকে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজেদের মনোনীত ব্যক্তির নাম পাঠাতে ২১ জানুয়ারি শনিবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত মাহমুদ খান অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এর আগে গত রাতে মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দিতে গভর্নর হাজী গুলাম আলীকে চিঠি পাঠান। পরে এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, নতুন নির্বাচনে পিটিআই কেবল খাইবার পাখতুনখোয়া নয়, সমগ্র পাকিস্তানে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং নিজেদের পছন্দের সরকার গঠন করবে।

গত সপ্তাহের শেষে পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার পর পিটিআই নেতারা তাদের নিয়ন্ত্রিত খাইবার পাখতুনখোয়ায় একই ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দেন। যদিও দলীয় প্রধান ইমরান খানের চূড়ান্ত নির্দেশ না আসায় পিটিআই নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দিতে গভর্নরকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠাননি। বুধবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জাতীয় পরিষদে পিটিআই দলীয় এমপিদের মধ্য থেকে বেছে বেছে ৩৫ জনের আসন শূন্য ঘোষণা করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মাহমুদ খান খাইবার প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার উদ্যোগ নেন। রাতেই তিনি এ বিষয়ে গভর্নরকে সামারি (চিঠি) পাঠান।

গত বছরের ৮ এপ্রিল রাতে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হবার পরপর ওই রাতেই স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তার দলের সব এমপি। পিটিআই-দলীয় ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরী, যিনি সেদিন পার্লামেন্ট সভাপতিত্ব করছিলেন, তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া সঠিক হয়নি জানিয়ে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এতদিন পিটিআই এমপিদের আসন শূন্য ঘোষণা করতে কালক্ষেপণ করছিল। দলীয় এমপিদের আসন শূন্য ঘোষণা না করায় উদ্ভূত পরিস্থিতিকে সরকারের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা করেন ইমরান খান। শাহবাজ শরীফের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আসতে পারে বলে চলতি সপ্তাহের শুরুতে তিনি মন্তব্য করেন।

পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব এলে শাহবাজ শরীফ পদচ্যুত হতে পারতেন। তবে তার আগেই বুধবার সন্ধ্যায় পিটিআই দলীয় ৩৫ জন এমপির আসন শূন্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন। যাদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে তাদের মধ্যে ইমরান খানের মন্ত্রিসভার প্রায় সব সদস্য রয়েছেন। সূত্র: ডন, ট্রিবিউন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইমরান খান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ