Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মিরপুর ইনডোরে আগুন!

| প্রকাশের সময় : ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : ঘটনাটা রীতিমতো ভয়াবহ। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে চলছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে আন্তর্জাতিক ভলিবল টুর্নামেন্ট। অথচ দেশের খেলাধুলায় অভিভাবক সংস্থা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজের জন্য বিদেশী দলগুলোর সামনে লজ্জায় পড়তে হলো আয়োজকদের! হঠাৎ করেই খেলা চলাকালে এ স্টেডিয়ামে আগুন লেগে চারিদিকে ভীতি ছড়িয়ে পড়লো। প্রশ্ন উঠলো এনএসসি’র দায়িত্ব নিয়ে। গতকাল বিকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ঘটলো এমন ঘটনা। এসময় এখানে বঙ্গবন্ধু সিনিয়র পুরুষ সেন্ট্রাল জোন আন্তজাতিক ভলিবল টুর্নামেন্টে মালদ্বীপ ও আফগানিস্তানের ম্যাচ চলছিলো। দ্বিতীয় সেটে দু’দলেরই পয়েন্ট যখন সমান (১৫-১৫) তখনি ঘটলো অনাকাঙ্খিত ঘটনাটি। দক্ষিণ দিকের একটি ফ্লাইড লাইটের বাল্বে শর্টসার্কিট শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিকট শব্দে আগুনের ফুলকি নীচে পড়তে থাকলে দুই বিদেশী দলের খেলোয়াড়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তারা দিক-বিদিক ছুটতে থাকেন। তাৎক্ষণিক খেলার কোর্ট থেকে খেলোয়াড়রা সরে গেলে পরে এই ইনডোরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বিদ্যুতায়ন করতে তৎপর হন। শেষ পর্যন্ত তারা সফল হলেও সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। তা ক্রমশ বাড়তে থাকলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাচক দলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে পেরিয়ে গেছে আধঘন্টারও বেশী সময়। তবে দীর্ঘ ৪০ মিনিট অন্ধকারে থাকার পর অবশ্য আলো জ্বলে মিরপুর ইনডোর স্টেডিয়ামে। আর খেলা শুরু হয় পৌঁনে এক ঘন্টা পর।
ঘটনাটি সম্পর্কে বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নামে চলছে এই টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক এ টুর্নামেন্টের আগে আমরা যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং এনএসসি’র মতো অভিভাবক সংস্থাকে জানিয়েছি। এ আসরের খেলা যাতে নির্বিগ্নে চলতে পারে তার ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি তাদের। এই স্টেডিয়াম সম্পর্কে সব কিছুই তাদের নখদর্পণে রয়েছে। আমার মনে হয় ঘটনাটি সম্পর্কে এই ইনডোরের ইঞ্জিনিয়ার সাহেবই বিস্তারিত বলতে পারবেন। তবে স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে দায়িত্ব নিয়ে ফায়ার সার্ভিস ডেকে এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। সমস্যাও কেটে গেছে।’ ফায়ার সার্ভিসেস সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবদুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘এটা একটি শর্টসার্কিটজনিত সমস্যা। অতিরিক্ত হিটে ওই দু’টি লাইটে আগুন ধরে গিয়েছিল। পরে ওই দু’টি লাইটকে বিদ্যুৎ সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাই সমস্যার সমাধানও হয়ে গেছে।’ স্টেডিয়ামের প্রশাসক শিহাব উদ্দিনের কথা, ‘এই ফ্লাডলাইটগুলো বেশ ক’বছর আগের। তাই শর্টসার্কিট হতেই পারে। তাছাড়া এত উপরে গিয়ে কারো পক্ষে আগুন নেভানো সম্ভব নয়। তারপরও আমি আগে প্রধান সুইচ বন্ধ করে লোক পাঠিয়ে ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা করেছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিরপুর

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ