Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সুন্দরগঞ্জে বই চোরদের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ

সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাধ্যমিক পর্যায়ের সাড়ে এগারো হাজার বই পাচারের ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ ঝাড়– মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে সুন্দরগঞ্জ পৌর শহরে উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজের আয়োজনে এ বিক্ষোভ ঝাড়– মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতঃস্ফ‚র্তভাবে ঝাড়– মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন।
বিক্ষোভ শেষে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সচেতন নাগরিক সমাজের আহŸায়ক প্রভাষক মাসুদুর রহমান প্রামানিক, যুগ্ম-আহŸায়ক ও উপজেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি সাজেদুল ইসলাম, যুগ্ম-আহŸায়ক ও উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোলাম কবির মুকুল, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম আহসান হাবিব মাসুদ, পৌর আ.লীগের সভাপতি আহসানুল করিম চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জাসদের সাবেক সভাপতি মুসলিম আলী মাস্টার, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি বীরেন সরকার মিন্টু, ছাত্রলীগ নেতা রতন মিয়া, সুমন মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বইয়ের গোডাউন থেকে সাড়ে ১১ হাজার বই চুরি করে মোটা অঙ্কের টাকার লোভে পাঁচার করেছে বই সংরক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা। এটি সরকারের ভাবমূর্তি ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। সরকারকে বেকায়দায় ফেলানোর জন্য এটি ঘটানো হয়েছে। এতোগুলা বই চুরি করা মাধ্যমিক অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদের একার পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা মনে করি এ ঘটনার সাথে দুর্নীতিবাজ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল জড়িত রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল প্রায় ১০ বছর ধরে সুন্দরগঞ্জে চাকুরী করছেন। তিনি বই চুরির দায় এড়াতে পারেন না। তাকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বই চুরির প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে মামলায় অন্তর্ভ‚ক্ত করার দাবি জানান বক্তারা।
উল্লেখ্য, সুন্দরগঞ্জ থেকে সাড়ে ১১ হাজার সরকারি বই ট্রাকে করে পাঁচারকালে গত ১৫ জানুয়ারি বিকাল ৪ টায় ড্রাইভার ও হেলপারকে আটক করে বইগুলো উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম থানা পুলিশ। এঘটনায় পরদিন ১৬ জানুয়ারি সুন্দরগঞ্জ থানায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন মন্ডল বাদি হয়ে তার অফিসের অফিস সহায়ক মাজেদ, ট্রাক ড্রাইভার শ্যামল ও হেলপার রাসেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে ডিবি পুলিশের উপর তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ