Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কটিয়াদীতে মাটি খেকো ধরতে অভিযান : ট্রাক্টর চালকের ৭ দিনের জেল, এস্কাভেটরসহ ট্রাক্টর জব্দ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৯:৪৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফসলি জমির মাটি খেকোদের ধরতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। সংবাদ পেয়ে চক্রের সদস্যরা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ সময় মাটি পরিবহনকারী ট্রাক্টর চালক রাসেল মিয়াকে (২৫)আটক করে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। রোববার উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের রামদী আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে এ দন্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, উপজেলার মসূয়া ইউনিয়নের রামদী নদীর পাড় ফসলী জমি থেকে অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে একটি চক্র। স্থানীয় ভাবে বাধা নিষেধ দিলেও মসূয়া ইউনিয়নের রামদী গ্রামের জহিরুল ইসলাম, আনোয়ার মিয়া ও ছাইদুল মিয়া জোর জবরদস্তি ও ভয় ভিতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ফসলী জমির মাটি লুট করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য ঘটনাস্থলে যেতে চাইলে মাটি ভর্তি ট্রাক্টর চালক রাস্তার মাঝখানে ট্রাক্টর রেখে গাড়ি থেকে নেমে দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে এবং মোবাইল ফোনে তাদের সহযোগিদের ম্যাজিস্ট্রেট আসার সংবাদ দিয়ে দৌড়াতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও আনসার তার পিছু নিয়ে গ্রামের ভিতর থেকে ট্রাক্টর চালক রাসেল মিয়াকে আটক করে। রাসেল মিয়ার মোবাইল ফোনের সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে এস্কাভেটর চালক ও অন্যান্য অপরাধীরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাটি ভর্তি ট্রাক্টর ও এস্কাভেটর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিকের জিম্মায় রাখার নির্দেশ দেন।এ সময় মসূয়া ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার ও পুলিশ ফোর্স উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, একটি সন্ত্রাসী দল আমার ও আশ পাশের জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি নিয়ে যাচ্ছে। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত সন্ত্রস্ত। কেউ মুখ খোলতে পারে না। মুখ খোললেই যে কোন ধরণের হামলা মামলার শিকার হতে পারে। নদীরপাড় ফসলী জমি থেকে ট্রাক্টর দিয়ে মাটি নেয়ার কারণে প্রাই দুই কি.মি. কাঁচা রাস্তা ভেঙে চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খানজাদা শাহরিয়ার বিন মান্নান বলেন, একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
এ সময় একজনকে আটক করে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড, মাটিকাটার এস্কাভেটর ও ট্রাক্টর জব্দ করা হয়। উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নেও মাটি খেকো একাধিক চক্র রয়েছে।তাদেরকে ধরতেও অভিযান অব্যাহত থাকবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ