Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অগ্রগতি ৬৮ ভাগ

ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর রেললাইন প্রকল্প

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। তবে এই প্রকল্পে বাধা এখনও কাটেনি। ফলে প্রকল্পের কাজে কাঙ্খিত অগ্রগতি যেমন হয়নি, পাশাপাশি এর সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন যাত্রীরা।

প্রকল্পসূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যেতে ও আসতে ঢাকা-টঙ্গী ও টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশন সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্ত এ সেকশন দুটিতে যথাক্রমে দুটি ডুয়েল গেজ লাইন এবং একটি ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন রয়েছে। যার ফলে চাহিদা থাকা সত্তে¡ও বেশি ট্রেন পরিচালনা করা যায় না। তাই অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বাড়াতে প্রকল্পের আওতায় সিগন্যালিং ও টেলিকম কাজসহ ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েল গেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে দ্বিতীয় ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ৩৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার লুপলাইনসহ ১১৬ কিলোমিটার ও চারটি স্টেশন পুননির্মাণ প্রকল্পে খরচ মোট ১ হাজার ১০৬ কোটি টাকা। এছাড়াও রয়েছে দুটি ব্রিজ, ২২টি কালভার্ট, ১৮টি প্ল্যাটফর্ম, ১১ প্ল্যাটফর্ম শেড ও সাতটি ফুটওভার ব্রিজ। প্রকল্পটি এ বছরের জুনে শেষ করার কথা রয়েছে। মালামাল সাপ্লাইয়ে বিলম্ব, ভ‚মি হস্তান্তর, ইউটিলিটি শিফটিং ও কোভিড-১৯ মহামারিসহ বেশকিছু সমস্যার কারণে অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রধানতম বাধা বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত নির্মাণধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। কমলাপুর থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনের মধ্যে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ঢাকা এলিভেটেড প্রকল্পের কাজ হচ্ছে রেল লাইনের ওপরে। নতুন রেলপথের কাজের এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের ক্রেন ও অন্যান্য ভারী যন্ত্রপাতি চলাচল করে। এ কারণে প্রায় ৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া, এক্সপ্রেসওয়ের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ব্যাচিং প্ল্যান্ট থাকায় বনানী স্টেশন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এদিকে বিভিন্ন সংস্থার ইউটিলিটি শিফটিংয়ের কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হচ্ছে।

ট্রেন চলাচলে নিরাপত্তার জন্য কম্পিউটার বেজড ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন প্রয়োজন। প্রকল্পের আওতায় সাতটি স্টেশনে এ সিগন্যালিং কাজের সংশোধিত ডিপিপি এখনও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়নি। তাই প্রয়োজনীয় বাজেট সংস্থান না থাকার কারণে সিগন্যালিং প্যাকেজ ডউ২ এর জন্য প্রস্তাবে কোনোরকম কার্যক্রম গ্রহণ না করেই ফেরত পাঠানো হয়েছে।

জানুয়ারি পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৬৮ ভাগ। মোট ৫৫ কিলোমিটার এমব্যাংকমেন্টের মধ্যে ৪৪ কিলোমিটার নির্মিত হয়েছে। আর ৯৬ কিলোমিটারের ট্র্যাকের মধ্যে নির্মাণ হয়েছে ১৭ দশমিক ৬৭ কিলোমিটার। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কারণে তেজগাঁও ও বনানী স্টেশনের কাজই শুরু হয়নি। আর টেলিকমিউনিকেশনসহ সাত স্টেশনের কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনই হয়নি।

ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে তৃতীয় ও চতুর্থ ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক নাজনীন আরা কেয়া ইনকিলাবকে বলেন, এবছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা। তবে এইসময়ের মধ্যে কাজ পুরোপুরি শেষ হবে না। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজের জন্য বিলম্ব হতে পারে। আমাদের জয়দেবপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত কাজ এগিয়েছে। কিন্তু এক্সপ্রেসওয়ের কারণে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর অংশের কাজে আমরা পিছিয়ে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ