Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সৈয়দপুরের শুঁটকি মার্কেটে ক্ষতিকর পদার্থ

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারী জেলার সৈয়দপুরে সবচেয়ে বড় শুঁটকি আড়তের শুঁটকি যায় রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারীসহ উত্তর জনপদের বিভিন্ন জেলায়। এসব আড়তে পোকা দমনে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক বিষাক্ত রাসায়নিক পাউডারের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। তবে শুঁটকি ব্যবসায়ীরা মানতে নারাজ। তাদেও দাবি কোন কেমিক্যাল বা বিষ প্রয়োগ করা হয় না। দীর্ঘদিন শুঁটকি ব্যবসা মন্দাভাব বিরাজ করায় পুঁজি হারিয়ে এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে অনেকেই নিঃস্ব হয়ে গেছে। অনেকেই চলে গেছেন নিজ গ্রামে। এরপরেও শুঁটকির মৌসুম এলেই জমে উঠে আড়ত। শুঁটকির বেচা-কেনা চলবে আগামী মাঘ পর্যন্ত। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ভেজালবিরোধী অভিযানে সৈয়দপুরে বেশকিছু শুঁটকির আড়তে অভিযান চালানো হয়। করা হয় লাখ লাখ টাকা জরিমানা। শুঁটকিতে ডিডিটি পাউডার মিশানোর দায়ে অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীলগালা কর হয়েছিল। বর্তমানে শুঁটকির আড়তে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা অবাধেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের রমরমা বাণিজ্য। শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮৩ সালে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল (নিয়ামতপুর) এলাকায় গড়ে উঠে এ শুঁটকি মাছ ব্যবসায়ীর আড়ত। প্রথমাবস্থায় এখানে ১০ থেকে ১৫ জন আড়তদার ছিল। বর্তমানে দেশের ২য় বৃহত্তম শুঁটকি মাছের বন্দর এটি। এখানে শুঁটকির দোকান রয়েছে ৬০টি ও আড়তদার রয়েছে ১৩ জন। প্রতিদিন অর্ধ কোটি টাকার শুঁটকি মাছ কেনা-বেচা হয়ে থাকে এখানে। মাছ আসে দেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী এবং পাবনা থেকে। এর পাশাপাশি ভারতীয় শুঁটকি মাছ আসে বৈধভাবে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। বর্তমানে এখানে টেংরা, পুঁটি, গচি, চিংড়ি, টাকি, শোল, বোয়াল, রুইয়ের পাশাপাশি মিঠা পানি ও সামুদ্রিক বিভিন্ন প্রজাতির শুঁটকি মাছ কেনা-বেচা হয়ে থাকে। শুঁটকি আড়তের কারণে এলাকার প্রায় ২ শতাধিক নারী-পুরুষ কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। শুঁটকি সংরক্ষণে বিষাক্ত পদার্থ মেশানোর কথা অস্বীকার করে আড়তদাররা বলেন, নিমপাতার রস ও শুকনো মরিচ গুঁড়ো শুঁটকিতে মিশিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। যাতে মৌসুম শেষ হওয়ার পরেও সেসব শুঁটকি বেচা-কেনা করা যায়। এজন্য অনেক ব্যবসায়ী এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণও নিয়েছেন বলে তারা উল্লেখ করেন। সৈয়দপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিষ মেশানো শুঁটকি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। চর্মরোগসহ নানা জটিল শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ