Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

নাসিক নির্বাচনে ভোট ডাকাতি নয়,ভোট চুরি হয়েছে -গয়েশ্বর

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে ভোট ডাকাতি নয়, ভোট চুরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যিনি ওই নির্বাচন পরিচালনার দলের প্রধান সমন্বয়ক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় তিনি এই দাবি করেন।
গয়েশ্বর বলেন, এবার নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি হয়নি। দিনের আলোতে যা হয়েছে, তা হলো সুন্দর। রাতের অন্ধকারে যা ঘটেছে, তা অজ্ঞাত। তবে এসব কারণে মনে হয়, ভোট ডাকাতি হয়নি, ভোট চুরি হয়েছে। আমি আগেই বলেছি, দৃশ্যত ইলেকশন ইজ ফেয়ার, বাট রেজাল্ট ইজ আন ফেয়ার। কারণ, এই নির্বাচনের ফলাফলের যে ব্যবধান তা বিশ্বাসযোগ্য না। এই নির্বাচনটা নারায়ণগঞ্জে হয়েছে, টুঙ্গিপাড়ায় হয় নাই।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ভয়েস অব ডেমোক্রেসি সংগঠনের উদ্যোগে ‘শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচনকালীন সরকার : প্রেক্ষিত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ভোটের আগের দিন রাত্রি বেলা একটা বিশেষ টিম ছিলো নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের বিভিন্ন কক্ষে। আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একজন আওয়ামী লীগ নেতাকে কিছু বলা হয়েছিলো, তিনি উত্তরে বলেছেন, আমি চুরিতে বিশ্বাস করিনা, আমি ডাকাতিতে বিশ্বাস করি না। অতীতে অন্যান্য নির্বাচনে ডাকাতি হয়েছে, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে চুরি হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক নেতার বক্তব্যে তাই বুঝায়। আমি নিজের কানে শুনিনি। যে দু-একজন সাংবাদিক ক্লাবে ছিলো, তাদের কাছে প্রকাশ করেছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা, তার থেকে শুনা উদ্ধৃতি দিয়ে আপনাদের বলছি।
নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনে ভোটের ফলাফল বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, সেখানে ৩৯% থেকে শুরু করে ৭৩% পর্যন্ত ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে। কিন্তু কোনো ভোট কেন্দ্রে সকাল ৯টার আগে ভোটার আসেনি, সংখ্যা কম, ধীরে ধীরে বাড়ছে। বিকাল ২/৩ টার পর ভোট কেন্দ্রগুলো খালি। এখানে টেলিভিশনের যারা সাংবাদিক আছেন, সেদিন তারা অনেকে সেখানে দায়িত্বে ছিলেন, আপনারা দেখেছেন। আপনারা বলেন, যেখানে ৩৯% ভোট কাস্ট হয়েছে, সেখানে বাকী ভোটাররা কলেরায় মারা গেছে। আর যেখানে ৮৩% ভোট কাস্ট হলো, কিভাবে হলো কোত্থেকে আসলো? একটি কেন্দ্রে ৬০% উপরে যদি ভোট দিতে হয়, সেই কেন্দ্রে ভোট ৮টায় শুরু হলে বিকাল ৪টায় মধ্যে সকল ভোট দেয়া সম্ভব হয় না, সেজন্য এক্সট্রা সময় দিতে হয়। নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ৩টার পর ছিলো খালি। সেখানে ৮৩% ভোট আসে কি করে?
ভোটের ফলাফলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘অসমর্থিত’ সূত্রে বরাত দিয়ে ভোটের ফলাফল প্রকাশের কঠোর সমালোচনা করেন গয়েশ্বর।
পাশাপাশি তিনি বলেন, আসলে কি আমাদের ফলাফলটা এরকম, না অন্য কিছু তা জানার জন্য আমরা ফলাফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি। কাউন্সিলর আমরা বেশি পেয়েছি। তাদের ভোটের সাথে দলের মেয়র প্রার্থীর ভোটের ব্যবধানটা বেশি। এই হিসাবটা আমাদের দেখতে হবে। প্রত্যেকটা কেন্দ্রের ফলাফল, পোলিং এজেন্ট, প্রার্থীর সবার সাথে কথা বলেছি, আমরা যাচাই-বাছাই করছি।
সংগঠনের ফেলো এডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে মাহফুজ কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, ট্যাক্সসেস বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ