Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্তৃপক্ষের নীরবতায় দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ

প্রকাশের সময় : ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আশরাফুল আলম, রানীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) থেকে : ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈলে এলজিইডি ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের অবহেলায় ১৩-১৪ অর্থবছরের (ঝজওওচ) প্রকল্পের বরাদ্দকৃত  ২ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩০০-৩০৫০ কিঃ মিঃ দৈর্ঘ্য এবং ৩.৭ কিঃ মিঃ প্রস্ত  রাস্তাসহ ৪টি বক্সকার্লভাটের কাজ বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডি দপ্তর থেকে জানা যায়, উপজেলা সদর হতে প্রায় ১ কিঃ উত্তর পূর্ব দিকে মীরডাঙ্গী রোড অ্যান্ড হাইওয়ে হতে ভাংবাড়ী গ্রাম হয়ে কাতিহার হাট পর্যন্ত  ২ কোটি  ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩০০-৩০৫০ কিঃ মিঃ রাস্তা কার্পেটিংসহ ৪টি বক্সকার্লভাট  বরাদ্দ হয়। বরাদ্দকৃত ভাংবাড়ী এলাকায় ৭-৮ মাস যাবৎ প্রায় ২কিঃ রাস্তার মাটি খনন করে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার রজব আলী। এতে করে ওই এলাকার প্রায় ১০ হাজার মানুষকে পথ চলতে গিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছে। এ ব্যাপারে ওই এলাকার সাবেক ইউপি মেম্বার খালেদুর রহমান, আওয়াল, সালাম, আলেফা, ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, বরাদ্দকৃত রাস্তার মাটি খনন করে ফেলে রেখেছে ঠিকাদার। এতে করে আমাদের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা আরো বলেন, এলজিইডি অধিদফতর এ ব্যাপারে তাদের দায়িত্বে অবহেলা করছেন। নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানুর জানান, ঠিকাদার ধীর গতিতে কাজ করার জন্য তাকে একাধিক বার তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিন ইসলাম জানান, ঠিকাদার ধীর গতিতে কাজ করলেও আমাদের করার কিছু নেই। তবে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এবং হেলালকে বললে সব তথ্য পাওয়া যাবে। এবার উপসহকারী প্রকৌশলী হেলাল জানান, ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য বেশ কয়েকবার তাগাদাপত্র দেয়া হয়েছে। ঠিকাদার রজব আলী জানান, ভাটায় ইট না পাওয়ার কারণে রাস্তা এবং কার্লভাটের কাজ দেরী হচ্ছে। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শুরু করে দেয়া হবে। এনিয়ে এলাকার মানুষ ঠিকাদারের উপর চরম ক্ষুদ্ধ। এদিকে উপজেলার গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়নের নামে ১৪-১৫ অর্থবছরের জুনের শেষের দিকে পিডিপির প্রকল্প মারফত ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। জানা যায়, বরাদ্দকৃত টাকা দিয়ে উপজেলার নামে মাত্র আংশিক কাজ করার পর শিংহভাগ টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে। সরকার বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়ালেও কতিপয় অধিদফতরে দুর্নীতি বিন্দুমাত্র কমেনি বলে জানিয়েছে এলাকার সচেতন মহল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কর্তৃপক্ষের নীরবতায় দুর্ভোগে হাজার হাজার মানুষ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ