Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খুলনায় বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের শতভাগ পাঠ্যবই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা

| প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : সারাদেশে গতকাল বৃহস্পতিবার জেএসসি ও পিইসি’র ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। বিদ্যালয়গুলোতে ইতিমধ্যেই ফল প্রকাশ করেছে। শেষ হয়েছে শিক্ষাবর্ষ। মাত্র একদিন পরই নতুন বছর। খুলনা জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর বার্ষিক পরীক্ষাও শেষ হয়েছে। বেশকিছু স্কুলের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, আরও কিছু স্কুলের বাকি রয়েছে। এখন নতুন ক্লাসের বই পেতে মরিয়া শিক্ষার্থীরা। এ জন্য নতুন বছরের প্রথম দিনের অপেক্ষা। ওই দিন দেশজুড়ে চলবে বই উৎসব। খুলনার শিক্ষার্থীদের মাঝেও সেই উৎসবের ছোঁয়া লাগবে। নতুন বই হাতে নিয়ে নতুন স্বপ্নের বীজ বুনবে শিক্ষার্থীরা। নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীর উচ্ছ¡াস ছুঁয়ে যাবে শিক্ষক-অভিভাবকদেরও।
তবে গত বুধবার পর্যন্ত মাধ্যমিকের বেশিরভাগ বই পাওয়া গেলেও সময়মতো প্রাথমিকের বই পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। একই অবস্থা এবতেদায়ীরও। খুলনা জেলায় প্রাথমিকের মোট চাহিদার ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ বই এসেছে। বাকি ৩৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ বই এখনও পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে বেশিরভাগ উপজেলায় চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির বই অনেক উপজেলায় এখনও পৌঁছায়নি। মাধ্যমিকের এসেছে ৯১ শতাংশ। আর দাখিলের শতভাগ বই পাওয়া গেলেও এবতেদায়ীর এসেছে ৬০ শতাংশ। এখনও বাকি রয়েছে ৪০ শতাংশ। এসএসসি ভোকেশনালের ৩২ শতাংশ বই এসেছে। বাকি রয়েছে ৬৮ শতাংশ বই। তবে বাকি দু’দিনের মধ্যেই সকল বই পাওয়া যাবে এমনটা দাবি করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানান, খুলনা জেলার ৯টি উপজেলা ও সদরে এবার প্রাথমিকের মোট বইয়ের চাহিদা ১২ লাখ ১৮ হাজার ১৫৩টি। এর মধ্যে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পাওয়া গেছে মাত্র ৭ লাখ ৮০ হাজার ৩৩৩টি। যা চাহিদার ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় শতভাগ বই পেলেও বাকী ৬টি উপজেলা ও সদরে ১ম থেকে ৩য় শ্রেণির বই পেয়েছে। এসব স্থানে পাওয়া যায়নি ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণির বই। এর মধ্যে কয়রা উপজেলার ডুমুরিয়া, তেরখাদা ও দাকোপ উপজেলার চাহিদার শতভাগ বই এসে পৌঁছেছে। তবে খুলনা সদর, কয়রা, দিঘলিয়া, পাইকগাছা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও রূপসা উপজেলায় চাহিদার প্রায় অর্ধেক বই এখনও এসে পৌছায়নি।
খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পারভীন জাহান বলেন, চাহিদার ৬৪ দশমিক ৪ শতাংশ বই এসেছে। বাকীগুলো পাঠ্যপুস্তক উৎসবের আগেই এসে পৌছাবে বলে তিনি আশাবাদী।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, জেলার জেলার ৯টি উপজেলা এবং সদরের কোতয়ালী ও খানজাহান আলীর মাধ্যমিকের মোট চাহিদা ২৫ লাখ ২৮ হাজার ১৫৬টি। চাহিদার বিপরীতে বই এসেছে ২২ লাখ ৯৬ হাজার ৮৭৫টি। যা মোট চাহিদার ৯১ শতাংশ। এর মধ্যে কোতোয়ালীতে ৯০ শতাংশ, খানজাহান আলীতে ৯৩ শতাংশ, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৯২ শতাংশ, কয়রায় ৮৮ শতাংশ, পাইকগাছায় ৯০ শতাংশ, রূপসায় ৯৮ শতাংশ, ডুমুরিয়ায় ৯০ শতাংশ, দাকোপে ৯২ শতাংশ, ফুলতলায় ৯০ শতাংশ, তেরখাদায় ৯১ শতাংশ ও দিঘলিয়ায় ৮২ শতাংশ বই এসেছে। এছাড়া জেলায় দাখিলের চাহিদার শতভাগ বই আসলেও এবতেদায়ীর চাহিদার ৪০ শতাংশ বই এখনও এসে পৌছায়নি। এবতেদায়ীর ২ লাখ ৬৩ হাজার ৭২২টি বইয়ের চাহিদার বিপরীতে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১২৪টি বই এসেছে। এছাড়া এসএসসি ভোকেশনালে ৩২ শতাংশ এসেছে। তাছাড়া দাখিল ভোকেশনালেরও চাহিদার শতভাগ বই এসে পৌঁছায়নি। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রুহুল আমীন বলেন, মাধ্যমিকের চাহিদার ৯১ ভাগ বই এসেছে। বাকি দু’দিনের মধ্যে অন্যান্য বইগুলো এসে যাবে এমনটাই আশা করছেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: খুলনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ