Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়কে মিথ্যা বদনাম দিয়ে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র

প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:২৫ এএম, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের ঐতিহ্যবাহী আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যান্টিনে ‘বিফ’ বা গরুর গোশত পরিবেশন করা হচ্ছে, এই অভিযোগ ওঠার পর কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে জানিয়েছে ওটা আসলে ‘বাফেলো’ বা মহিষের গোশত।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যে মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিন আছে, তার মেনুতে ‘বিফ বিরিয়ানি’ নামে একটি পদ আছে আর সেই মেনুর ছবি গতকাল থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ে।
বিফ বা গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা নিয়ে গত বেশ কয়েক মাস ধরে ভারতে তুমুল বিতর্ক চলছে। নতুন করে বেশ কিছু রাজ্যে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করা হয়েছে, উত্তর প্রদেশে গরুর গোশত খাওয়ার মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে এক বয়স্ক মুসলমানকে পিটিয়েও মেরে ফেলেছে হিন্দু চরমপন্থীরা।
এই পরিস্থিতিতে বিফ বিরিয়ানির অভিযোগ নিয়ে আলিগড়েও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আলিগড় যে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে অবস্থিত সেখানে গরুর গোশত আগে থেকেই নিষিদ্ধ।
আলিগড়ের বিজেপি মেয়র শকুন্তলা ভারতী তার সঙ্গীসাথীদের নিয়ে পুলিশপ্রধানের দফতরের সামনে সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। কট্টর হিন্দুত্ববাদী নানা সংগঠনের কর্মীরাও ওই বিক্ষোভে যোগ দেন।
তাদের দাবি ছিল, বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করার অভিযোগে ওই ক্যান্টিনের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে এই বিক্ষোভের খবর পেয়ে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোক্টর এম মহসিন খান সঙ্গে সঙ্গে ওই ক্যান্টিনে ছুটে গিয়ে পরীক্ষা করেন বিফ বিরিয়ানি বস্তুটা আসলে কী?
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র রাহাত আবরার সাংবাদিকদের জানান, তারা পরীক্ষা করে দেখেছেন, ওই বিরিয়ানিতে গরুর গোশতের লেশমাত্রও নেই। ওখানে শুধুই বাফেলো বা মোষের গোশত ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যা বেআইনি নয় মোটেই।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামি ও মর্যাদাবাহী একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মিথ্যা বদনাম দিয়ে কলঙ্কিত করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও মি. আবরার অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, ওই ক্যান্টিনে খাবার পরিবেশনে ঠিকাদারের মেয়াদ ফুরোচ্ছে শিগগিরই। নতুন ঠিকাদারি করায়ত্ত করার জন্যই কিছু ‘স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী’ অহেতুক এই বিতর্ক সৃষ্টি করেছে বলে তারা ধারণা করছেন।
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় ভারতে একটি সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের স্বীকৃতি বজায় রাখতে পারবে কি না তা নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক চলছে। এর মধ্যে এই বিফ বিতর্ক যে তাদের নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা তাতে সন্দেহ নেই। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়কে মিথ্যা বদনাম দিয়ে কলঙ্কিত করার ষড়যন্ত্র
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ