Inqilab Logo

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

এক সপ্তাহে যা যা করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

| প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট তার রাজনৈতিক ক্ষমতা প্রদর্শনে একতরফা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আইন তৈরিতে অনেক সময় লেগে যায়, কিন্তু হোয়াইট হাউজ কলমের খোঁচাতেই সরকারের নীতিতে ব্যাপক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের এই ক্ষমতা প্রয়োগে এক মুহূর্তের জন্যও সময় নষ্ট করেননি। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেয়া প্রধান প্রধান প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একের পর এক নির্দেশনা জারি করে চলেছেন।
গত ছয়দিনে যেসব নির্দেশনা জারি করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Ñ
মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল
২০১৫ সালের জুন মাসে প্রেসিডেন্ট হিসাবে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার দিনেই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন তার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে মেক্সিকো থেকে অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো। একের পর এক নির্বাচনী প্রাচরণায় তিনি বলে গেছেন দক্ষিণের সীমান্তে ‘শক্ত, উঁচু, সুন্দর’ দেয়াল তুলবেন। ক্ষমতা নিয়েই সেরকম এক নির্দেশনায় সই করে দিয়েছেন তিনি। টানা ২,০০০ মাইল দেয়াল তোলা হবে। অতিরিক্ত ১০ হাজার অভিবাসন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হবে। এ ছাড়া লস এঞ্জেলেস বা নিউইয়র্কের মতো যেসব কসমোপলিটান নগরে অবৈধ অভিবাসীদের আশ্রয় মেলে সেসব শহরগুলোতে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল কমিয়ে দেয়ার একটি সিদ্ধান্তও নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। মি. ট্রাম্প এখনও দাবি করছেন দেয়াল তোলার খরচ তিনি মেক্সিকোর কাছ থেকে আদায় করবেন। কিন্তু মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট সোজা বলে দিয়েছেন টাকা দেয়ার প্রশ্নই আসে না।
দু’টি সিদ্ধান্ত, দু’টি পাইপলাইন
ক্ষমতা নেয়ার দ্বিতীয় দিনে মি. ট্রাম্প দু’টি নির্দেশে সই করেন। নির্দেশগুলো ছিল দুটো বহু বিতর্কিত জ্বালানি পাইপলাইন তৈরির কাজ এগিয়ে নেয়া। এর মধ্যে একটি হলো- কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শোধনাগারে জ্বালানি তেল আসার জন্য ১১৭৯ মাইল একটি পাইপলাইন নির্মাণ। পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণে ২০১৫ সালে প্রেসিডেন্ট ওবামা ওই কাজ স্থগিত করেছিলেন।
অন্য পাইপলাইনটির কাজও গত বছর বন্ধ হয়ে যায় যখন নর্থ ডাকোটা অঙ্গরাজ্যের আদিবাসীরা-এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। তাদের দাবি ছিল, এই পাইপলাইন নির্মাণে তাদের জীবন-জীবিকা ঐতিহ্য নষ্ট হবে। মি. ট্রাম্প পরিবেশ বা ঐতিহ্য কোনোটাই আমলে নেননি।
ওবামা কেয়ার দুর্বল করার নির্দেশ
স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতি লম্বা একটি নির্দেশনা জারি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দারিদ্র্য মানুষের জন্য সহজ শর্তে যে স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা করেছিলেন বারাক ওবামা, সে গুলোতে সরকারি ভর্তুকি দেয়ার ব্যাপারে নানা বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে ওই নির্দেশনায়। ভর্তুকি ছাড় করার বেলায় ‘দেরি, সাবধান হওয়া বা বাতিল’ করার সুযোগ খুঁজতে বলা হয়েছে।
গর্ভপাতে সাহায্য নিষিদ্ধ
সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ১৯৮৪ সালে প্রথমবার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন যে, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় গর্ভপাতে সহায়তা করার কর্মসূচিতে সাহায্য দেয়া যাবে না। এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রে সবসময় একটি বিতর্কিত ইস্যু। ডেমোক্রেটরা ক্ষমতায় এলেই তা বাতিল করে, আবার রিপাবলিকান আবার তা সক্রিয় করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ওই নিষেধাজ্ঞা আবার চালু করেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়োগ বন্ধ
নতুন করে কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত নিয়োগ নিষিদ্ধ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ব্যতিক্রম থাকবে সেনাবাহিনী। ডোনাল্ড ট্রাম্প চাইছেন সরকারের ঋণ এবং আয়তন কমাতে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তিনি বার বার সরকারি আমলাতন্ত্রকে আক্রমণ করেছেন।
ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি চুক্তি থেকে প্রত্যাহার
প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার কিছু দেশের সাথে এই বাণিজ্য চুক্তিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছিলেন ওবামার সরকার। মার্কিন কংগ্রেস অবশ্য একে এখনও এতে অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু মি. ট্রাম্প এখন এই চুক্তিকে ইতিহাসে ছুড়ে দিলেন। সূত্র : বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ