পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) ও ইসলামী চিন্তাবিদ সৈয়দ আশরাফ আলী ফুসফুস সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়াা ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।
রাজধানীর ইডেন মাল্টিকেয়ার হাসপাতালের মঙ্গলবার ভোরে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি স্ত্রী ও ১ ছেলেসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন।
দুই সপ্তাহ আগে সৈয়দ আশরাফ আলীকে ফুসফুসে জটিলতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। সৈয়দ আশরাফ আলী ১৯৩৯ সালে ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কলকাতার সাবেক মেয়র ও ভারতের লোকসভার সাবেক সদস্য সৈয়দ বদরুদ্দোজা ও রাকিয়া বদরুদ্দোজার সন্তান ছিলেন। কলকাতার সেইন্ট জেভিয়ার্স কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানে এসে পাকিস্তান রেডিওতে যোগ দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। আশরাফ আলী ১৯৭১ সালের মার্চে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে চট্টগ্রামে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতারকেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখেন। বিভিন্ন টেলিভিশনে নিয়মিত ইসলাম বিষয়ক অনুষ্ঠান পরিচালনাও করেছেন তিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও এটিএন বাংলায় তাকে ইসলামবিষয়ক অনুষ্ঠানে বেশি দেখা গেছে।
পাশাপাশি ইসলামের উপর তার লেখা কয়েকটি বই প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় সংবাদপত্রে ধর্ম ও সঙ্গীতসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধও লিখেছেন সৈয়দ আশরাফ আলী। বাদ যোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে তার লাশ মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরহুমের নামাজে জানাজায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের মুসল্লিগণ অংশ নেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।