Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বপ্নপূরণ না হলেও খুশি সিদ্দিকুর

| প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস রিপোর্টার : শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণ হলো না দেশসেরা গলফার সিদ্দিকুর রহমানের। ঘরের মাটিতে এশিয়ান ট্যুর শিরোপা জিততে পারলেন না তিনি। লিডারবোর্ডের দ্বিতীয়স্থানে থেকে রানারআপ ট্রফি জিতেই শেষ করলেন বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেন গলফ টুর্নামেন্ট। গতকাল কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে টুর্নামেন্টের শেষ দিনে ছয়টি বার্ডি ও একটি বগি পান সিদ্দিকুর। পারের চেয়ে ১৩ শট কম খেলে নিশ্চিত করেন রানারআপ ট্রফি। অন্য দিকে পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলে প্রথমবারের মতো এশিয়ান ট্যুর শিরোপা জিতে নেন থাইল্যান্ডের জাতাওয়ানান্দ। তার মোট স্কোর হলো- ৬৪+৬৭+৬৯+৬৭=২৬৭। আর সিদ্দিকুরের স্কোর হলো- ৭১+৬৬+৬৮+৬৬=২৭১। এতে বুঝা যায়, প্রথম রাউন্ডের বাজে পারফরমেন্সই সিদ্দিকুরের শিরোপা না পাওয়ার একমাত্র কারণ।
কাল কুর্মিটোলা গলফ কোর্সে শেষ রাউন্ডের শুরুটা দুর্দান্তই করেন সিদ্দিকুর। ১ নম্বর হোল থেকে রাউন্ডের শুরু করেন তিনি। পরের হোলেই দেখা পান কাক্সিক্ষত বার্ডি। চার পারের এই হোলটি বেশ ফুরফুরে মেজাজেই শেষ করেন তিন পারে।
এই টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরে প্রথম দিন ২৯তম, দ্বিতীয় দিন পঞ্চম এবং তৃতীয় দিনে তৃতীয়স্থানে ছিলেন সিদ্দিকুর। লিডারবোর্ডের এই অবস্থানই বলে দেয় ধাপে ধাপে উন্নীত হয়েছে তার। শেষ রাউন্ডে চার পারের হোল তিন পারে শেষ করে তিন নম্বর হোলটি পারের সমান খেলে পরেরটিতেই বার্ডি তুলে নেন সিদ্দিকুর। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি দেশসেরা এই গলফারকে । পাঁচ ও ছয় নম্বর হোল সতর্কতার সঙ্গে পারের সমান খেলার পরে সাত নম্বর হোলে এসে দেখা পান দিনের তৃতীয় বার্ডির। এরপর টানা পাঁচটি হোল পারের সমান খেলে ১৩ নম্বর হোলে এসে দিনের প্রথম বগির সাক্ষাত মেলে। তবে ছন্দে ফিরতে খুব বেশি সময় নেননি লাল-সবুজের কৃতি গলফার। ১৪ ও ১৫ নম্বর হোলে টানা বার্ডি নিয়ে খেলায় ফেরেন সিদ্দিকুর। ১৬ ও ১৭ নম্বর হোল পারের সমান খেলে ১৮ নম্বর হোলে বার্ডি করে নিশ্চিত করেন বসুন্ধরা বাংলাদেশ ওপেনের প্রথম রানারআপ ট্রফি। জিতে নেন ৩৩ হাজার ডলার প্রাইজমানি। অন্য দিকে প্রথম রাউন্ড থেকেই লিডারবোর্ডে শীর্ষে থাকা থাইল্যান্ডের গলফার জাতাওয়ানান্দ পরের রাউন্ডগুলোতে কোনো ভুল করেননি। পারের চেয়ে ১৭ শট কম খেলেই এশিয়ান ট্যুরের প্রথম শিরোপা নিশ্চিত করেন থাইল্যান্ডের এই গলফার।
অন্য দিকে পারের চেয়ে পাঁচ শট কম খেলে বাংলাদেশের দুলাল হোসেন যৌথভাবে ১৫তম এবং পারের সমান শট খেলে জামাল হোসেন মোল্লা ২৬তম স্থান পেয়ে আসর শেষ করেন। টুর্নামেন্টে রানারআপ হলেও নিজ পারফরমেন্সে দারুণ খুশি সিদ্দিকুর। খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমি এমন ভালো খেলিনি। দারুণ একটি সপ্তাহ কাটালাম। ঘরের কোর্সে অনেক দর্শকের সামনে খেলেছি। তাদের সমর্থন পেয়েছি। আমি এই দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। আমিও খুশি তাদের সামনে ভালো পারফরমেন্স করতে পেরে।’ তিনি যোগ করেন, ‘আমি অনেক ভালো গলফ খেলেছি। যদিও সপ্তাহের শুরুতে ফুড পয়জনিং আমাকে যথেষ্ট ভুগিয়েছে। আমি যথেষ্ট প্রস্তুতি নিতে পারিনি। তবে আমি কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। খুশি খেলা শুরুর আগে সুস্থ হতে পারায়।’
শিরোপা জয়ী থাই গলফার জাতাওয়ানান্দ বলেন,‘ শেষ পর্যন্ত শিরোপা জিততে পেরে খুব ভালো লাগছে। কারণ এশিয়ান ট্যুরে এটাই আমার প্রথম সেরা সাফল্য। এ সাফল্য ভবিষ্যতে আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বপ্নপূরণ

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
৫ জানুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ