Inqilab Logo

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষার নির্দেশনা সংসদীয় কমিটির

সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম-দুর্নীতি

| প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পঞ্চায়েত হাবিব : সারাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি।  অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে অনেক জেলা ও উপজেলা  কমপ্লেক্স নির্মাণকাজ স্থগিত করেছে মন্ত্রণালয়। অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং কমপ্লেক্স ভবন বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের  দ্বারা পরীক্ষা করার নির্দেশনা দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়, দেশের প্রতিটি জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। তা কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর পর্যন্ত ৪৩ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ শেষ হয় ২০১৬ সালে। আট জেলায় নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।এখনো  ১৫টি জেলায় নির্মাণকাজ এখনো শুরুই হয়নি। অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রসঙ্গে বলা হয়, লক্ষ্মীপুর, গাজীপুর, মাগুরা, সিলেট বিয়ানীবাজার, মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলাসহ সারাদেশে জেলায় কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগের তথ্য পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। এসব কারণে কয়েকটি জেলায় ভবন নির্মাণ কাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা গুলোর মধ্যে সুনামগঞ্জের শাল্লা, সিলেটের বিয়ানীবাজার, চাঁদপুরের কচুয়া, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছাসহ অনেক স্থানেই কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণে দুর্নীতি ও অনিয়ম হচ্ছে বলে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা অভিযোগ করেছেন। লক্ষ্মীপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন এক কোটি ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণে যথাযথ নিয়ম মানা হয়নি বলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডার আনোয়ারুল হক, ডেপুটি কমান্ডার কাজল কান্তি দাস ও নুরুজ্জামান মাস্টার।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক কমিটিকে দেয়া প্রতিবেদনে বলেছেন, দেশের প্রতিটি  জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রকল্প নিয়েছে সরকার। কয়েক দফা প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর পর ৪৩ জেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ। তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সস্তানদের কল্যাণে এ মুহূর্তে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করা হয়েছে। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণেও কয়েকটি জেলায় নির্মাণকাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেছেন, পিডব্লিউডিকে এ ব্যাপারে দায়িত্ব নিতে হবে।কারণ পিডব্লিউডি এ ভবন নির্মাণ করেছে এবং তারাই এর ডিজাইনও করেছে।
কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আফছারুল আমিন বলেছেন, গত বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছিলেন, এক মাসের মধ্যে মাগুড়া জেলা সদরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ব্যাপারে বুয়েট একটি প্রত্যায়নপত্র দিবে। কিন্তু আজও সে প্রত্যায়নপত্র পাওয়া যায়নি। কাজেউ সে ভবনে বিমের সাথে কলামের সংযোগ নেই। বুয়েটের বিশেষজ্ঞদের সুনিদিষ্ট মতামত ব্যতীত সে ভবন ব্যবহার করা সমীচীন হবে না। একইভাবে সারাদেশে এগুলো দেখার প্রয়োজন।
মহিলা এমপি কামরুল লায়লা জলি প্রতিবেদনে বলেছেন, মাগুড়া জেলার সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সেও সমস্যার বিয়টি দুই বছর ধরে কমিটিতে উত্থাপন করে আসছেন। কিন্তু তার কোনো সমাধান হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তÍর ছাড়াই  মুক্তিযোদ্ধারা উঠে পড়েছেন। সেখানে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে?। ত্রুটিপূর্ণ ও অনিয়ম কাজে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা এবং বুয়েটের বিশেজ্ঞদের দ্বারা পরীক্ষা করার দাবি করছি।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মাহমুদ রেজা খান প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পদ নিয়ে কেউ অনিয়ম-দুর্নীতি করলে তাকে ছাড় দেয়া হবে না। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দল গিয়েছিল। তারা  পরীক্ষা করেছে। ওই ভবনের তিন তলার বেশি করা হবে না।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ